পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ss शकिथध्ध्टप्रश्न ७धचौबलौ করাইয়া, চন্দ্রচূড় ঠাকুরের সঙ্গে একটু বিচার করিয়া, সীতারাম তখন দ্রুতবেগে স্তামপুরের অভিমুখে যাহা কৰ্ত্তব্য, তাহা করিবেন । কিন্তু পরদিনের চলিলেন । খামপুরে পৌঁছিয়া দেখিলেন যে, গঙ্গারাম “ঘটনাস্রোতে সে সব অভিসন্ধি ভাসিয়া গেল। তাহার প্রতীক্ষা করিতেছে। প্রথমেই সীতারাম উচ্ছ্বসিত অনুরাগের তরঙ্গে বালির বাধ সব ভাঙ্গিয় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “গঙ্গারাম ! তোমার eeeeS BBS BBS BBB BB BB BBSBBB BBB BBB S BBBB BBB DDS BBB గొల్లి! করিল, “আমি কি জানি ?" 3. উVসহস\নৈশ অন্ধকারে অদৃষ্ঠ হইলে সীতারামের সীতারাম বিষণ্ণ হইয়া বলিলেন, “সব গোল যথায় যেন বজ্ৰাঘাত পড়িল । হইয়াছে। সে এখানে আসে নাই ?” সীতারাম গাত্ৰোখান করিয়া যে পিকে ঐ বনমধ্যে অন্তষ্ঠিত হইয়াছিল, সেই দিকে দ্রুতবেগে ধাবিত হইলেন ; কিন্তু অন্ধকারে কোথাও তাঁহাকে দেখিতে পাইলেন না। বনের ভিতর তাল তাল অন্ধকার বাধিয়া আছে, কোথাও শাখাচ্ছেদ জন্য বা বৃক্ষ বিশেষের শাখার উজ্জল বর্ণ জন্য যেন শাদা বোধ হয়, সীতারাম সেই দিকে দোঁড়িয় যান ; কিন্তু ত্রকে পান না। তখন ত্রর নাম ধরিয়া সীতারাম তাহাকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিলেন । নদীর উপকুলবর্তী বৃক্ষরাজিতে শব্দ প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল—বোধ হইল যেন, সে উত্তর দিল । শব্দ লক্ষ্য করিয়া সীতারাম সেই দিকে যান—আবার শ্ৰী বলিয়া ডাকেন, আবার অন্ত দিকে প্রতিধ্বনি হয়—আবার সীতারাম সেই দিকে ছুটেন—কই, শ্ৰী কোথাও নাই ! হায় ঐ ! হায় শ্ৰী ! হায় শ্ৰী ! করিতে করিতে রাত্রি প্রভাত হইল—শ্ৰী মিলিল না । কই, যাকে ডাকি, তা ত পাই ন । যা খুজি, তা ত পাই না । যা পাইয়াছিলাম, হেলায় হারাষ্টয়াছি, তা ত আর পাই না । রত্ন হারায়, কিন্তু হারাইলে আর পাওয়া যায় না কেন ? সময়ে খুজিলে হয় ত পাইতাম—এখন আর খুজিয়া পাই না । মনে হয়, বুঝি চক্ষু গিয়াছে, বুঝি পৃথিবী বড় অন্ধকার হইয়াছে, বুঝি খুজিতে জানি না । তা কি করিব,— আরও খুঁজি। যাহাকে ইহজগতে খুজিয়া পাইলাম না, ইহজীবনে সেই প্রিয়। এই নিশ-প্রভাতকালে ঐ সীতারামের হৃদয়ে প্রিয়ার উপর বড় প্রিয়া, হৃদয়ের অধিকারিণী ত্রর অনুপম রূপমাধুরী, র্তাহার হৃদয়ের তরঙ্গে তরঙ্গে ভাসিয়| উঠিতে লাগিল । ঐর গুণ এখন তাহার হৃদয়ে জাগরূক হইতে লাগিল । যে বৃক্ষারূঢ়া মহিষমৰ্দ্দিনী অঞ্চল সঙ্কেতে সৈন্যসঞ্চালন করিয়া রণজয় করিয়াছিল, যদি সেই ঐ সহায় হয়, তবে সীতারাম কি না করিতে পারেন ? সহসা সীতারামের মনে এক ভরসা হইল। স্ত্রর স্থাই:গঙ্গারামকে খামপুরে তিনি যাইতে আদেশ ふ , গঙ্গারাম অবগু খামপুরে গিয়াছে। গঙ্গা । না । সীতা । তুমি এইক্ষণেই তাহার সন্ধানে যাও। সন্ধানের শেষ না করিয়া ফিরিও না । আমি এইস্থানেই আছি, তুমি সাহস করিয়া সকল স্থানে যাইতে না পার, লোক নিযুক্ত করিও । সে জন্য টাকাকড়ি যাহা আবিষ্ঠক হয়, আমি দিতেছি । গঙ্গারাম প্রয়োজনীয় অর্থ লইয়া ভগিনীর সন্ধানে গেল। বহু যত্নপূৰ্ব্বক এক সপ্তাহ তাহার সন্ধান করিল। কোন সন্ধান পাইল না । নিষ্ফল হইয়া ফিরিয়া । আসিয়া সীতারামের নিকট সবিশেষ নিবেদিত হইল । নবম পরিচ্ছেদ মধুমতী নদীর তীরে খামপুর নামক গ্রাম, সীতারামের পৈতৃক সম্পত্তি সীতারাম সেইখানে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন । ভূষণায় যে হাঙ্গামা উপস্তিত হইয়াছিল, ইহা যে সীতারামের কার্য্য, তাহা বলা বাহুল্য। ভূষণা নগরে সীতারামের অনুগত বাধ্য প্রজা বা খাতক বিস্তর লোক ছিল । সীতারাম তাহাদের সঙ্গে রাত্রিতে সাক্ষাৎ করিয়া এই হাঙ্গামার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন । তবে সীতারামের এমন ইচ্ছা ছিল যে, যদি বিনা বিবাদে গঙ্গারামের উদ্ধার হয়, তবে আর তাহার প্রয়োজন নাই । তবে বিবাদ হয়, মন্দ নয় ; মুসলমানের দৌরাত্ম্য বড় বেশী হইয়া উঠিয়াছে কিছু দমন হওয়া ভাল । চন্দ্রচূড় ঠাকুরের মনট। সে বিষয়ে আরও পরিষ্কার —মুসলমানের অত্যাচার এত বেশী হইয়াছে যে, গোটাকতক নেড় মাথ লাঠির ঘায়ে না ভাঙ্গিলেই নয়। তাই সীতারামের অভিপ্রায়ের অপেক্ষা না করিয়াই চন্দ্রচূড় তর্কালঙ্কার দাঙ্গা আরম্ভ করিয়াছিলেন । কিন্তু শ্ৰাদ্ধটা বেশী গড়াইয়াছিল ৷ ফকীরের প্রাণবধ এমন গুরুতর ব্যাপার যে, সীতারাম ভীত হইয়া কিছু কালের জন্য ভূষণা ত্যাগ করাই স্থির করিলেন । যাহারা সে দিনের হাঙ্গামায় লিপ্ত ছিল,