পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"లR বঙ্কিমচন্দ্রের-aীবলী । SDS DB BBB BBB BBBB BSS BBB SBBBBB BB BBBB BBBS BBB BBB BBB "এই যে, জিজ্ঞাসা করিলে আপনি বলিবেন না, সত্য কি नां ? * উ : দ্বিতীয় কারণটি কি ? র । আমি জানি, যে জঙ্গ জিজ্ঞাসা করিতেছেন । উ। তাও জানেন ? কি বলুন দেখি ? র l তা বলিব না । , উ । আচ্ছ, আপনি ত সব জানেন দেখিতেছি । বলুন দেখি, আমি যে অভিসন্ধি করিতেছি, তাহ ঘটিতে পারে না কি ? র i খুব ঘটিতে পারে। আপনি কুমুদিনীকে জিজ্ঞাসা করিবেন। উ । আর একটা কথ। । আপনি কুমুদিনীর সম্বন্ধে থাহ জানেন, তাহ সব একটা কাগজে লিখিয়ী দিয়া দস্তখত করিয়া দিতে পারেন ? র । পরি—এক সর্তে । আমি লিখিয়া পুলিনায় সীল করিয়া কুমুদিনীর কাছে দিয়া যাইব । আপনি এক্ষণে তাহা পড়িতে পরিবেন না । দেশে গিয়া পড়িবেন । রাজি ? স্বামী মহাশয় অনেক ভাবিঘ্ন বলিলেন, “রাজি । আমার অভিপ্রয়ের পোষক হইবে ত ?” র ৷ হইবে । অন্যান্য কথার পর রমণবাবু উঠিয়া গেলেন, উবাবু আমার নিকট আসিলেন । তামি জিজ্ঞাসা করিলাম, “এ সব কথ। হুইতেছিল কেন ?” তিনি বললেন, “সব শুনিয়াছ ন| কি ?” অামি । কঁ, শুনিয়াছি । ভাবিতেছিলাম, আমি ত তোমায় খুন করিয়া ফাসি গিয়াছি, ফঁাসির পর আর তদারক কেন ? তিনি । এখনকার আইনে ত ইষ্টতে পারে । ভারি জুয়াচুরির বন্দোবস্ত সে দিন দিবা/রাত্রি আমার স্বামী অন্তমনে ভাবিতে লাগিলেন । আমার সঙ্গে বড় কথাবার্তা কহিলেন না—তামাকে দেখিলেই আমার মুখপানে চাহিয়া থাকিতেন । ত৷হার অপেক্ষ আমার চিস্তার বিষয় বেশী, কিন্তু তাকে চিপ্তিত দেখিয়া আমার প্রাণের ভিতর বড় মন্ত্রণ হইতে লাগিল । আমি. করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলাম । নানা প্রকার গঠনের ফুলের মালা, ফুলের তোড়া, ফুলের জিনিসপত্র গড়িয়া উপহার দিলাম, পানগুলা নানা রকমের সাজিলাম, নানা রকমের সুখাদ্য প্রস্তুত করিলাম, আপনি কাদিতেছি, তবু নানা রসের রসভরা গল্পের অবতারণ। করিলাম। আমার স্বামী বিষয়ী লোক, সৰ্ব্বাপেক্ষা বিষয়কৰ্ম্ম ভালবাসেন, তাহ বিচার করিয়া বিষয়কৰ্ম্মের কথ। পাড়িলাম ; আমি হরমোহন দত্তের কন্যা, বিষয়কৰ্ম্ম ম বুঝিতাম, এমন নহে । কিছুতেই কিছু হইল না । আমার কায়ার উপর আরও কান্না বাড়িল । * . পরদিন প্রতে স্নানাহিকের পর জলযোগ ক তিনি আমাকে নিকটে বসাইরা বলিলেন, “বোধ করি, যা জিজ্ঞাসা করিল, সকল কথার প্রকৃত উত্তর দিবে ?” তখন রমণবাবুকে জের করার কথাটা মনে পড়িল । বলিলাম, “বাহ বলিব, সত্যই বলিব । কিন্তু সকল কথার উত্তর না দিতে পারি ” তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার স্বামী জীবিত صحي রিয়1 , আছেন শুনিলাম । তাহার নাম ধাম প্রকাশ করিবে ?" আমি । এখন না, দিনকতক যক্ । তিনি । তিনি এখন কোথায় আছেন, বলিবে ? আমি । এই কলিকা ৩য় । তিনি। (একটু চমকিত হই ) তুমি কলিকাতায়, রোমার স্বামী কলিকাতায়, তবে তুমি তার কাছে থাক ন! কেন ? তামি । তার সঙ্গে আমার পরিচয় নাই । পাঠক দেখিও, আমি সব সত্য বলিতেছি, আমার স্বামী এই উত্ত্বর শুনিয়া বিঘ্নিত হইয়। কহিলেন, “স্ত্রী-পুরুণে পরিচয় নাই ? এত বড় আশ্চৰ্য্য কথা ?” আমি । আছে ? একটু অপ্রতিভ হইয়। তিনি বলিলেন, “সে ত তকগুলা ফুৰ্দ্দৈলে ঘটিয়াছে।” - সকলের কি থাকে ? তোমার কি অামি । দুৰ্দ্দৈৰ সৰ্ব্বত্র আছে । তিনি । যাক—তিনি ভবিষ্কৃতে তোমার উপর কোন দাবি-দাওয়া করিবার সম্ভাবনা আছে কি ? আমি । সে আমার হাত । আমি যদি তার কাছে আত্মপরিচয় দিই, তবে কি হয় বলা য়ায় না।