পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:”. ষ্ট্ৰেঞ্জীক চাদ ; চুলগুলি ষেন সাপ ফণা ধরিয়া ঝুলিয়া রহিয়াছে । হীরা আড়ালে বসে গান করে ; দাসীতে .দাসীতে ঝগড়া বাধাইয় তামাসা দেখে । পাচিকাকে অন্ধকারে ভয় দেখায় ; ছেলেদের .বিবাহের আবদার করিতে শিখাইয়া দেয় ; কাহাকেও নিদ্রিত দেখিলে চুণকালি দিয়া সং झोछोष्ट्र । কিন্তু তীরার অনেক দোষ । যাইবে । আপাততঃ বলিয়া রাখি, গোলাপ দেখিলেই চুরি কবে । স্বর্যমুখী ইরাকে ডাকিয়া কহিলেন,"ঐ বৈষ্ণবকে চিনিস ?” হীরা । না । আমি কখনও পাড়ার বাহির হই না । —আমি বৈষ্ণবী ভিখারী কিসে চিনিব ? ঠাকুরবাড়ীর মাগীদের ডেকে জিজ্ঞাসা কর না । করুণা কি শীতল জানিতে পারে। স্বৰ্ষ্য। এ ঠাকুরবাড়ীর বৈষ্ণবী নয় । এ বৈষ্ণবী কে, তোকে স্থানতে হবে । এ বৈষ্ণবীষ্ট বা কে, আর বাড়ীই বা কোথায়, আর কুন্দের সঙ্গে এত ভাবই বা কেন ? এ সকল কথা যদি ঠিক জেনে এসে বলিতে পারিস, তবে তোকে নুতন বারাণসী পরাইয়া সং দেখিতে পাঠাইয়া দিব । নুতন বারাণসীর কথা শুনিয়া হীরার পাচ চাত তাক কমে জানা হীরা আতর বুক হইল। জিজ্ঞাসা করিল, “কখন জানিতে যেতে হবে ?” স্বৰ্য্য ! তোর যখন খুসি । কিন্তু এখনই শুর পাছু পাছু না গেলে, ঠিকান পাবি না । হীরা । আচ্ছা । স্বৰ্য্য। কিন্তু দেখিস, যেন বৈষ্ণবী কিছু বুঝিতে না পারে। আর কেহ কিছু বুঝিতে না পারে । এমন সময়ে কমল ফিরিয়া আসিল । স্বৰ্য্যমুখী তাছাকে পরামর্শের কথা সব বলিলেন । শুনিয়া কমল খুসি হইলেন । হীরাকে বলিলেন, “আর প্লারিস ত মাগীকে দুটে বাবলার কাটা ফুটিয়ে দিয়ে জাসিস।” - হীরা বলিল, “সব পারিব, কিন্তু শুধু বারাণসী 'दि ब! ।” স্বৰ্য্য। কি নিবি ? কমল বলিল, “ও একটি বর চায়, ওর একটি বিয়ে ‘দাও fo সূৰ্য্য। আচ্ছা, তাই হবে—জামাইবাবুকে মনে ধরে ? বলু, তা হলে কমল সম্বন্ধ করে। বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী হীরা । তবে দেখবো । কিন্তু আমার মনের মত ঘরে একটি বর আছে । স্বৰ্য্য ! কে লো ? হীরা। যম । _ ষোড়শ পরিচ্ছেদ 蔡屬一。對對 al সেই দিন প্রদেjবকালে উদ্যানমধ্যস্থ বাপীতটে বসিয়া কুন্দনন্দিনী । এই দাধিক অতি সুবিস্তৃত ; তাহার জল অতি পরিষ্কার এবং সৰ্ব্বদ নীলপ্রভ । পাঠকের স্মরণ থাকিতে পারে, এই পুষ্করিণীর পশ্চাতে পুষ্পোদ্যান । পুষ্পোদ্যানমধ্যে এক শ্বেতপ্রস্তররচিত লতামণ্ডপ ছিল । সেই লতামণ্ডপের সম্মুখেই পুষ্করিণীতে অবতরণ করিবার সোপান । সোপান প্রস্তরবৎ ইষ্টকেনিৰ্ম্মিভ, অতি প্রশস্ত এবং পরিষ্কার । তাহার দুই ধারে দুইটি বহুকালের বড় বকুল-গাছ। সেই বকুলের তলায়, সোপানের উপরে কুন্দনন্দিনী, অন্ধকার প্রদোষে একাকিনী বসিয়া স্বচ্ছ সরোবরহািদয়ে প্রতিফলিত নক্ষত্রাদি সহিত আকাশপ্রতিধিস্ব নিরীক্ষণ করিতেছিলেন । কোথাও কতকগুলি লাল ফুল অন্ধকারে অস্পষ্ট লক্ষ্য হইতেছিল । দীর্ঘিকার অপর তিন পাশ্বে, আম্ৰ, কঁঠাল, জাম, লেবু, লিচু, নারিকেল, কুল, বেল প্রভৃতি ফলবাম ফলের গাছ ঘনশ্রেণীবদ্ধ হইয়া অন্ধকারে অসমণীর্ষ প্রাচীরবৎ দৃষ্ট হুইতেছিল। কদাচিৎ তাহার শাখায় বসিয়া মাচাড়পার্থী বিকট রব করিয়া নিঃশব্দ সরোবরকে শদিত করিতেছিল । শীতল বায়ু সরোবর পার হইয়া ইনজীবরকোরককে ঈষন্মাত্র বিধূত করিয়া, আকাশচিত্রকে স্বল্পমাত্র কম্পিত করিয়া, কুন্দনন্দিনীর শিরঃস্থ বকুলপত্রমালায় মৰ্ম্মর শব্দ করিতেছিল এবং নিদাঘপ্রস্ফুটিত বকুলপুষ্পের গন্ধ চারিদিকে বিকীর্ণ করিতেছিল। বকুলপুষ্প সকল নিঃশব্দে কুন্দনন্দিনীর অঙ্গে এবং চারিদিকে ঝরিয়া পড়িতেছিল । পশ্চাৎ হইতে অসংখ্য মল্লিক, যুথিক এবং কামিনীর সুগন্ধ আসিতেছিল। চারিদিকে অন্ধকারে খদ্যোতমালা স্বচ্ছবারির উপর উঠিতেছিল, পড়িতেছিল, ফুটিতেছিল, নিবিতেছিল। দুই একটা বাছড় ডাকিতেছে—দুই একটা শৃগাল, অন্ত পণ্ড তাড়াইবার তাহাদিগের যে শব্দ, সেই শব্দ করিতেছে— দুই একথানা মেঘ আকাশে পথ হীরাইয়া বেড়াইতেছে-জুই একটা তারা মনের দুঃখে খসিয়া পড়িতেছে—কুন্দনলিনী মনের দুঃখে ভাবিতেছেন। কি ভাৰন