مـم بیسمے بعبہ جہی বিবেচনা করিত । কোন কালেই রক্ষভাষিণী ভিন্ন অবিশ্বাসভাগিনী মনে করে নাই । হীরা জিজ্ঞাসা করিল, “ম ঠাকুরাণি, কঁাদিতেছ কেন ?" 尊 কুন্দ কথা কহিল না। হীরার মুখপ্রতি চাহিয়া দেখিল । হীরা দেখিল, কুন্দের চক্ষু ফুলিয়াছে, বালিস ভিজিয়াছে । হীরা কহিল, “এ কি ? সমস্ত রাত্রিই কেঁদেছ না কি ? কেন, বাবু কিছু বলেছেন ?” কুনা বলিল, “কিছু नां r এই বলিয়া আবার সংবৰ্দ্ধিতবেগে রোদন করিতে লাগিল। হীরা দেখিল,কোন বিশেষ ব্যাপার ঘটিয়াছে। কুন্দের ক্লেশ দেখিয়া আনন্দে তাহার হৃদয় ভাসিয়া গেল। মুখ স্নান করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাৰু বাড়ী আসিয়া তোমার সঙ্গে কি কথাবাৰ্ত্ত কহিলেন ? আমরা দাসী, আমাদের কাছে তা বলিতে হয় ।” কুন্দ কহিল, “কোন কথাবাৰ্ত্ত বলেন নাই ।” হীরা বিস্মিত হইয়া কহিল, “সে কি মা ! এত দিনের পর দেখা হলো ! কোন কথাই বলিলেন না ?” কুন্দ কহিল, “আমার সঙ্গে দেখা হয় নাই ।” এই কথা বলিতে কুন্দের রোদন অসংবরণীয় श्ण । হীরা মনে মনে বড় প্রীত হইল। হাসিয়া বলিল, “ছি মা, এতে কি কঁদিতে হয় ? কত লোকের কত বড় বড় দুঃখ মাথার উপর দিয়া গেল—আর তুমি একটু দেখা করার বিলম্ব জন্য কাদিতেছ?” "বড় বড় দুঃখ” আবার কি প্রকার, কুন্দ তাহা কিছুই বুঝিতে পারিল না । হীরা তখন বলিতে লাগিল, “আমার মভ যদি তোমাকে সহিতে হইত— তবে এত দিনে তুমি আত্মহত্যা করিতে ।” “আত্মহত্যা”, এই মহা অমঙ্গলজনক শব্দ কুননন্দিনীর কাণে দারুণ বাজিল। সে শিহরিয়া উঠিয়৷ বসিল । রাত্রিকালে অনেকবার সে আত্মহত্যার কথা ভাবিয়াছিল। হীরার মুখে সেই কথা শুনিয়া নবাস্কিতের স্তায় বোধ হইল । হীরা বলিতে লাগিল, “তবে আমার দুঃখের কথা বলি, শুন । আমিও এক জনকে আপনার প্রাণ অপেক্ষা ভালবাসিতাম। সে আমার স্বামী নহুে— কিন্তু ষে পাপ করিয়াছি, তাহা মনিবের কাছে লুকাইলেই বা কি হইবে—স্পষ্ট স্বীকার করাই ভাল।” এই লজ্জাহীন কথা কুন্দের কর্ণে প্রবেশও করিল না । তাহার কাণে সেই “আত্মহত্যা" শব্দ বাজিতে ছিল । ষেন ভূতে তাহার কাণে কাণে বলিতেছিল,
বিষবৃক্ষ
- S)
“তুমি আত্মঘাতিনী হইতে পারিবে ? এ যন্ত্রণ সহ হীরা বলিতে লাগিল, “সে আমার স্বামী নহে, কিন্তু আমি তাহাকে লক্ষ স্বামীর অপেক্ষ ভালবাসিতাম। সে আমাকে ভালবাসিত না ; আমি জানিতাম যে, সে অামাকে ভালবাসিত না—এবং ' আমার অপেক্ষা শতগুণে নিগুৰ্ণ আর এক পাপিষ্ঠীকে ভালবাসিত ” ইহা বলিয়া হীরা নতনয়ন কুন্দের প্রতি একবার অতি তীব্র কোপকটাক্ষ করিল, পরে বলিতে লাগিল, “আমি ইহা জানিয়া তাহার দিকে বেসিলাম না, কিন্তু এক দিন আমাদের উভয়েরই দুৰ্ব্বদ্ধি হইল।” এইরূপে আরম্ভ করিয়া হীরা সংক্ষেপে । কুন্দের নিকট আপনার দারুণ ব্যথার পরিচয় দিল । কাহারও নাম ব্যক্ত করিল না, দেবেন্দ্রের নাম কুন্দের । নাম উভয়ই অব্যক্ত রহিল । এমন কোন কথা বলিগ না যে, তদ্বারা, কে হারার প্রণয়ী, কে বা সেই প্রণয়ীয় প্রণয়িনী, তাহা অনুভূত হইতে পারে। আর সকল কথা সংক্ষেপে প্রকাশ করিয়া বলিল । শেষে পদাঘাতের কথা বলিয়া কহিল, “বল দেখি, তাহাতে আমি কি করিলাম ?” কুন্দ জিজ্ঞাসা করিল, “কি করিলে?” হীরা হাতমুখ নাড়িয়া বলিতে লাগিল, “আমি তখনই চাড়াল কবিরাজের বাড়ীতে গেলাম । তাহার নিকট এমন সব বিষ আছে যে, খাইবামাত্রই মানুষ মরিয়া যায় ” কুন্দ ধীরতার সহিত, মৃত্নতার সহিত কহিল, “তার পর ?” _ হীরা কহিল, “আমি বিষ খাইয়া মরিব বলিয়া বিষ কিনিয়াছিলাম, কিন্তু শেষে ভাবিলাম যে, পরের জন্তু আমি মরিব কেন ? ইহা ভাবিয়া বিষ কোঁটায় পূরিয়া বাক্সতে তুলিয়া রাখিয়াছি।” ۔:: এই বলিয়া হীরা কক্ষান্তর হইতে তাহার বাক্স আনিল । সে বাক্সটি হীরা মুনিববাড়ীর প্রসাদ, পুরস্কার এবং অপহরণের দ্রব্য লুকাইবার জন্য সেই খানে রাখিত । - - হীরা সেই বাক্সতে নিজক্রেীত বিষের মোড়ক রাখিয়াছিল । বাক্স খুলিয়া হীরা কোঁটার মধ্যে বিষের মোড়ক কুন্দকে দেখাইল । আমিষলোলুপ মার্জারবৎ কুন, তাহার প্রতি দৃষ্টি করিতে লাগিল। হীরা তখন ষেম অন্যমনৰশতঃ বাক্স বন্ধ করিতে ভুলিয়া গিয়া, কুন্দৰে প্ৰবোধ দিতে লাগিল। এমন সময় অকস্মাৎ রেক্ট প্রাতঃকালে, নগেন্দ্রের পুরীমধ্যে, মঙ্গলজনক শঙ্খ এবং হুলুধ্বনি উঠিল। বিস্থিত হইয়। হীরা দুটা