পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बडकअ ब्रा5नाववा বয়ঃপ্রাপ্ত হইবার পর্বত্ব হইতেই প্রচলিত ছিল, ইহা মহাভারতেই আছে। মহাভারতেই আছে যে, পান্ডব ও ধাত্তরাষ্ট্ৰীগণ প্রভৃতি সকল কৌরব মিলিত এবং দ্ৰোণাচাৰ্য্য কর্তৃক অভিরক্ষিত হইয়া পাণ্ডালরাজ্য আক্রমণ করেন। এবং পাণ্ডালরাজাকে পরাজিত করিয়া তাঁহার অতিশয় লাঞ্ছনা করেন। অতএব এই যাদ্ধ যে প্রধানতঃ কুরপোণ্ডালের যাদ্ধ, স্বীকার করি। স্বীকার করিয়া, ইউরোপীয় পশিডতগণ, যে সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইয়াছেন, আমি তাহা গ্রহণ করিতে পারি না। তাঁহারা বলেন যে, যাদ্ধটা কুরপাণ্ডালের, পান্ডবেরা কেহ নহেন, পাগড় বা পান্ডব কেহ ছিলেন না। এ সিদ্ধান্তের অন্য হেতুও তাঁহারা নিন্দেশ করেন। সে সকল হেতুর সমালোচনা আমি পশ্চাৎ করিব। এখন ইহা বঝাইতে চাই যে, কুরপাণ্ডালের যাদ্ধ বলিয়া যে পান্ডবদিগের অস্তিত্ব অস্বীকার করিতে হইবে, ইহা সঙ্গত নহে। পান্ডবের শ্বশর পাঞ্চালাধিপতি ধাত্তরাষ্ট্রদিগের উপর আক্রমণ করিলে, পান্ডবেরা তাঁহার সহায় হইয়া, তাঁহার পক্ষে যাদ্ধ করিয়াছিলেন, ইহাই সম্ভব। পান্ডবদিগের জীবনবত্তান্ত এই:-কৌরবাধিপতি বিচিত্ৰবীয্যের দই পত্র, ধতিরাষ্ট্র ও পাশভু * ধতিরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠ, কিন্তু অন্ধ। অন্ধ বলিয়া রাজ্যশাসনে অনধিকারী বা অক্ষম। রাজ্য পাড়ির হস্তগত হইল। পরিশেষে পান্ডুকেও রাজ্যচু্যত ও অরণ্যচারী দেখিধন্তরাষ্ট্রের রাজ্য আবার ধাতরাষ্ট্রের হাতে গেল। তাহার পর পাগড়পত্রেরা বয়ঃপ্রাপ্ত হইল, রাজ্য পাইবার আকাঙ্ক্ষা করিল, কাজেই ধাতরাষ্ট্র ও ধাত্তরাষ্ট্ৰীগণ তাঁহাদিগকে নিন্মবাসিত করিলেন। তাঁহারা বনে বনে ভ্ৰমণ করিয়া পরিশেষে পাণ8ালরাজের কন্যা বিবাহ কারিয়া পাণ্ডালদিগের সহিত আত্মীয়তা সংস্থাপন করিলেন। পাণ্ডালরাজের সাহায্যে এবং তাঁহাদিগের মাতুলপত্র ও প্রবলপ্রতাপ যাদবদিগের নেতা কৃষ্ণের সাহায্যে তাঁহারা ইন্দ্রপ্রস্থে নাতন রাজ্য সংস্থাপিত করলেন। পরিশেষে সে রাজ্যও ধাত্তরাষ্ট্ৰীদিগের কারকবলিত হইল। পান্ডবেরা পনেকবার বনাচারী হইলেন। এই অবস্থায় বিরাটের সঙ্গে সখ্য ও সম্পবন্ধ স্থাপন করিলেন। পরে পাণ্ডালেরা কৌরবদিগকে আক্রমণ করিল। পৰববৈর প্রতিশোধজন্য এ আক্রমণ, এবং পাশডবদিগের রাজ্যাধিকার উপলক্ষ মাত্র কি না, স্থির করিয়া বলা যায় না। যাই হৌক, পাঞ্চালেরা যাদ্ধে বদ্ধপরিকর হইলে পান্ডবেরা তাঁহাদের পক্ষ থাকিয়া ধাত্তরাষ্ট্ৰীগণের সহিত যাদ্ধ করাই সম্ভব। বলিয়াছি যে, পাগডব ছিল না, এ সব কথা বলিবার উপরি লিখিত পন্ডিতেরা অন্য কারণ নির্দেশ করেন। একটি কারণ এই যে, সমসাময়িক কোন গ্রন্থে পাশডব নাম পাওয়া যায় না। উত্তরে হিন্দ বলিতে পারেন, এই মহাভারতই তা সমসাময়িক গ্ৰন্থ-আবার চাই কি ? সে কালে ইতিহাস লেখার প্রথা ছিল না যে, কতকগলা গ্রন্থে তাঁহাদের নাম পাওয়া যাইবে। তবে ইউরোপীয়েরা বলিতে পারেন যে, শতপথব্রাহ্মণ একখানি অনলপপারবত্তীর্ণ গ্রন্থ। তাহাতে ধাতরাষ্ট্ৰ, এবং জনমেজয়ের নাম আছে, কিন্তু পান্ডবদিগের নামগন্ধ নাই—কাজেই পান্ডবেরাও | । এরপ সিদ্ধান্ত ভারতবষীয় প্রাচীন রাজগণ সম্পবন্ধে হইতে পারে না। কোন ভারতবষীয় গ্রন্থে মাকিদনের আলেকজান্দরের নামগন্ধ নাই—অথচ তিনি ভারতবর্ষে আসিয়া যে কান্ডটা উপস্থিত করিয়াছিলেন, তাহা কুরক্ষেত্রের ন্যায়। গরতের ব্যাপার। সিদ্ধান্ত করিতে হইবে কি, আলেকজােদর নামে কোন ব্যক্তি ছিলেন না, এবং গ্রীক ইতিহাসবেত্তা তদ্বত্তান্ত যাহা লিখিয়াছেন, তাহা কবিকল্পনামাত্ৰ ? কোন ভারতবষীয় গ্রন্থে। গজনবী মহম্মমদের নামগন্ধ নাই-সিদ্ধান্ত করিতে হইবে, ইনি মসলমান লেখকদিগের কল্পনাপ্রসত ব্যক্তি মাত্র ? বাঙ্গালার সাহিত্যে বখতিয়ার DDDD DBBBDBBDD DDSDBBD DDBBD BB D BDS DDD DDBDBDBDBB BBBBD মাত্র ? যদি তাহা না হয়, তবে একা মিনহাজদিনের বাক্য বিশ্বাসযোগ্য হইল কিসে, আর মহাভারতের কথা অবিশ্বাসযোগ্য কিসে ? বেবীর সাহেব বলেন, শতপথব্রাহ্মণে অজ্ঞজনে শব্দ আছে, কিন্তু ইহা ইন্দ্রাৰ্থে ব্যবহৃত হইয়াছে -কোন পাগডবকে বঝায়, এমন অৰ্থে ব্যবহৃত হয় নাই। এজন্য তিনি বঝিয়াছেন যে, পান্ডব অজ্ঞজনে মিথ্যাকলপনা, ইন্দ্ৰস্থানে ইনি আদিষ্ট হইয়াছেন মাত্র। এ বদ্ধির ভিতর প্রবেশ

  • বিন্দর বৈশ্যাজাত।

SS