পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“কলিকাঃ য়, শাবলী ২৯' অধ্যায়ে বলিয়াছেন, যাহারা পািক্তভাবে কৃষককে কামনা না করিয়া উপপতিভাবে তাঁহাকে কামনা করিয়াছিল, তাহারা তাঁহাকে সশরীরে পাইল না; তাহদের পতিগণ তাহাদিগকে আসিতে BB DBS BBDD DDDD LDBBB LBLGDB DDDD ቅ” “তমেব পরমাত্মানাং জারবদ্ধ্যাপি সঙ্গতাঃ। জহগণময়ং দেহং সদ্যঃ প্ৰক্ষীণবন্ধনঃ ॥” ১o ॥২৯ ॥১o কৃষ্ণপতি ভিন্ন অন্য পতি যাহাঁদের সমরণ মাত্রে ছিল, কাজেই তাহারা কৃষ্ণকে উপপতি ভাবিল। কিন্তু অন্য পতি সমিতিমাত্রে থাকায়, তাহারা কৃষ্ণ সম্পবন্ধে অনন্যচিন্তা হইতে পারিল না। তাহারা সিদ্ধ, বা ঈশ্বরপ্রাপ্তির অধিকারিণী হইল না। যতক্ষণ জারবদ্ধি থাকিবে, ততক্ষণ পাপবদ্ধ থাকিবে, কেন না, জারান গমন পাপ। যতক্ষণ জারবদ্ধি থাকিবে, ততক্ষণ কৃষ্ণে ঈশ্বরজ্ঞান হইতে পারে না-কেন না, ঈশ্বরে জারজ্ঞান হয় না।--ততক্ষণ কৃষ্ণকামনা, কামকামনা মাত্র। ঈদশী গোপী কৃষ্ণপরায়ণা হইলেও সশরীরে কৃষ্ণকে পাইতে অযোগ্যা। : অতএব এই পতিভাবে জগদীশ্বরকে পাইবার কামনায় গোপীদিগের পাপমাত্র রহিল না। গোপীদিগের রহিল না, কিন্তু কৃষ্ণের ? এই কথার উত্তরে বিষ্ণপরিাণকার যাহা বলিয়াছেন, ভাগবতকারও তাঁহাই বলিয়াছেন। ঈশ্বরের আবার পাপপণ্য কি ? তিনি আমাদের মত শরীরী নহেন, শরীরী ভিন্ন ইন্দ্রিয়পরতা বা তত্তজনিত দোষ ঘটে না। তিনি সব্বভুতে আছেন, গোপীগণেও আছেন, গোপীগণের স্বামীতেও আছেন। তাঁহার কত্ত্বক পরদারাভিমষণ সম্ভাবে না। এ কথায় আমাদের একটা আপত্তি আছে। ঈশ্বর এখানে শরীরী, এবং ইন্দ্রিয়বিশিস্ট। যখন ঈশ্বর ইচ্ছাক্রমে মানবশরীর গ্রহণ করিয়াছেন, তখন মানবধর্মাবলম্বী হইয়া কায্য করিবার জন্যই শরীর গ্রহণ করিয়াছেন। মানবধৰ্ম্মমীর পক্ষে গোপবধগণ পরস্ত্রী, এবং তদভিগমন পরদারপাপ। কৃষ্ণই গীতায় বলিয়াছেন, লোকশিক্ষাৰ্থ তিনি কম্পমা করিয়া থাকেন। লোকশিক্ষক পারদরিক হইলে, পাপাচারী ও পাপের শিক্ষক হইলেন। অতএব পরাণকারকৃত দোষীক্ষালন খাটে না। এইরপ দোষীক্ষালনের কোন প্রয়োজনই নাই। ভাগবতকার নিজেই কৃষ্ণ এই রাসমন্ডলমধ্যে জিতেন্দ্রিয় বলিয়া পরিচিত করিয়াছেন। যথা এবং শশাঙকাংশবিরাজিতা নিশাঃ সা সত্যকামোহনরতবলাগািণঃ। সিষেব আত্মন্যবরাদ্ধসৌরতঃ সব্বাঞ্জ শরৎকাব্যকথারসাশ্রয়াঃ ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবতম, ১o সক, ৩৩ অঃ, ২৬ ৷৷ তবে বিষ্ণপরিাণকারের অপেক্ষাও ভাগবতকার প্রগাঢ়তায় এবং ভক্তিতত্ত্বের পারদর্শিতায় অনেক শ্রেষ্ঠ। সত্ৰীজাতি, জগতের মধ্যে পতিকেই প্ৰিয়বস্তু বলিয়া জানে; যে সত্ৰী, জগদীশ্বরে পরমভক্তিমতী, সে সেই প্ৰতিভাবেই তাঁহাকে পাইবার আকাঙ্ক্ষা করিল-ইংরেজি পড়িয়া আমরা যাই বলি-কথাটা অতি রমণীয় -ইহাতে কত মনষ্যেহীদয়াভিজ্ঞতার এবং ভগবস্তুক্তির সৌন্দৰ্য্যগ্ৰাহিতার পরিচয় দেয়। তারপর যে পতিভাবে তাঁহাকে দেখিল, সেই পাইল,-যাহার জারবদ্ধি রহিল, সে পাইল না, এ কথাও ভক্তির ঐকান্তিকতা বঝাইবার কি সন্দির উদাহরণ! কিন্তু আর একটা কথায় পরাণকার বড় গোলযোগের সত্ৰপাত করিয়াছেন। পতিত্বে একটা ইন্দ্ৰিয়সম্পবিন্ধ আছে। কাজে কাজেই সেই ইন্দ্ৰিয়সম্পবিন্ধ ভাগবতোক্ত রাসবণনের ভিতর প্রবেশ করিয়াছে। ভাগবতোক্ত রাস, বিষ্ণপরিাণের ও হরিবংশের রাসের ন্যায় কেবল নিত্যগীত নয়। সে কৈলাসশিখরে তপস্বী কপন্দীর রোষানলে ভস্মীভুত, সে বন্দোবনে কিশোর রাসবিহারীর পদার্শ্রয়ে পািনজীবনাথ ধামিত। অনঙ্গ এখানে প্রবেশ করিয়াছে। পরাণকারের অভিপ্ৰায় কদৰ্য্য নয়; ঈশ্বরপ্রাপ্তিজনিত মক্ত জীবের যে আনন্দ, যে যথা মাং প্ৰপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম' DD DD BB DDBS DBDB BB DDB DBBD DBDD BB BBD BBDD DD তাঁহার রোপিত ভগবস্তুক্তিপঙ্কজের মল, অতল জলে ডুবিয়া রহিল—উপরে কেবল -বিকশিত কামকুসমদাম ভাসিতে লাগিল। যাহারা উপরে ভাসে-তলায় না, তাহারা কেবল সেই কুসম জয়দেব গোস্বামীর হাতে তাহা মদনধৰ্ম্মোৎসব। এত কাল, আমাদের জন্মভূমি সেই মদনধৰ্ম্মোৎসবভারাক্রান্তা। তাই কৃষ্ণচরিত্রের অভিনব ব্যাখ্যার প্রয়োজন হুইয়াছে। কৃষ্ণচরিত্র, বিশদ্ধতায়, সব্বগণময়ত্বে জগতে অতুল্য। আমার ন্যায় অক্ষম, অধম ব্যক্তি সেই পবিত্র চরিত্র Bu DDBBC BBDB BBDS BBS DD SDD BDDBDBDBS BMuBu D BBD DBB DDD DDS