পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ად. :কৃষ্ণচরিত্র Christ” গ্রন্থের প্রণেতাকে কে চিনে ? মহাভারতের দ্বিতীয় কবিরও মনে সেইরূপ চরমাদশ ছিল। আবার কৃষ্ণের ঈশ্বরত্বে তাঁহার সম্পণে বিশ্বাস! তাই তিনি পরিষোত্তমকে কৌশলীর শ্ৰেহ্মঠ সাজাইয়াছেন। তিনি মিথ্যা কথার দ্বারা দ্ৰোণহত্যা সম্পবন্ধে বিখ্যাত উপন্যাসের প্রণেতা। জয়দ্ৰথবধে সাদর্শনচক্রে রবি আচ্ছাদন কণাক্তজনের যন্ধে অজ্ঞজনের রথচক্রে পথিবীতে পতিয়া ফেলা, আর ঘোড়া বসাইয়া দেওয়া, ইত্যাদি কৃষ্ণকৃত অদ্ভুত কৌশলের তিনিই রচয়িতা। এক্ষণে ইহাই বলিলে যথেষ্ট হইবে যে, জরাসন্ধবধ-পািব্বাধ্যায়ে এই অনাথক এবং অসংলগ্ন কৌশলবিষয়ক প্রক্ষিপ্ত শ্লোকগালির প্রণেতা তাঁহাকেই বিবেচনা হয়, এবং তাঁহাকে এ সকলের প্রণেতা বিবেচনা করিলে উদ্দেশ্য সম্পবন্ধে আর বড় অন্ধকার থাকে না। কৃষ্ণকে কৌশলময় বলিয়া প্রতিপন্ন করাই তাঁহার উদ্দেশ্য। কেবল এইটকুর উপর নিভাির করিতে হইলে হয়ত আমি এত কথা বলিতম না। কিন্তু জরাসন্ধবধ-পাকবাধ্যায়ে তাঁর হােত আরও দেখিব। সপ্তম পরিচ্ছেদ-কৃষ্ণ-জরাসন্ধ-সংবাদ নিশীথকালে যজ্ঞাগারে জরাসন্ধ স্নাতক বেশধারী তিন জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া তাঁহাদিগের পজা করিলেন। এখানে কিছই প্রকাশ নাই যে, তাঁহারা জরাসন্ধের পজা গ্রহণ করিলেন কি না। আর এক স্থানে আছে। মলের উপর আর একজন কারিগরি করায় এই রকম গোলযোগ ঘটিয়াছে। তৎপরে সৌজন্য-বিনিময়ের পর জরাসন্ধ তাঁহাদিগকে বলিতে লাগিলেন, “হে বিপ্ৰগণ! আমি জানি, স্নাতক ব্রতচারী ব্রাহ্মণগণ সভাগমন সময় ভিন্ন কখন মাল্য* বা চন্দন ধারণ করেন না। আপনারা কে ? আপনাদের বস্ত্র রক্তবণী ; অঙ্গে পািপমাল্য ও অনলেপন সশোভিতা; ভুজে জ্যাচিহ্ন লক্ষিত হইতেছে, আকার দর্শনে ক্ষত্ৰতেজের সপন্সট প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে; কিন্তু আপনারা ব্ৰাহ্মণ বলিয়া পরিচয় দিতেছেন, অতএব সত্য বলন, আপনারা কে ? রাজসমক্ষে সত্যই প্রশংসনীয। কি নিমিত্ত আপনারা দ্বারা দিয়া প্রবেশ না করিয়া, নিভয়ে চৈতক পৰ্ব্বতের শঙ্গ ভগ্ন করিয়া প্রবেশ করিলেন ? ব্রাহ্মণেরা বাক্য দ্বারা বীৰ্য্য প্রকাশ করিয়া থাকেন, কিন্তু আপনারা কাৰ্য্য দ্বারা উহা প্রকাশ করিয়া নিতান্ত বিরাদ্ধানন্ঠোন করিতেছেন। আরও, আপনারা আমার কাছে আসিয়াছেন, আমিও বিধিপৰিবাক পজা করিয়াছি, কিন্তু কি নিমিত্ত পজা গ্ৰহণ করিলেন না ? এক্ষণে কি নিমিত্ত আগমন করিয়াছেন বলেন।” তদত্তরে কৃষ্ণ স্নিগ্ধগম্ভীরস্বরে (মৌলিক মহাভারতে কোথাও দেখি না যে, কৃষ্ণ চঞ্চল বা রন্ট হইয়া কোন কথা বলিলেন, তাঁহার সকল রিপাই বশীভূত) বলিলেন, “হে রাজনী! তুমি আমাদিগকে স্নাতক ব্ৰাহ্মণ বলিয়া বোধ করিতেছি, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়, বৈশ্য, এই তিন জাতিই স্নাতক-ব্রিত গ্রহণ করিয়া থাকেন। ইহাদের বিশেষ নিয়ম ও অবিশেষ নিয়ম উভয়ই আছে। ক্ষত্ৰিয় জাতি বিশেষ নিয়মী হইলে সম্পত্তিশালী হয়। পল্পধারী নিশ্চয়ই শ্ৰীমান হয় বলিয়া আমরা পল্পধারণ করিয়াছি। ক্ষত্ৰিয় বাহ বলেই বলবান, বাগবীৰ্য্যশালী নহেন; এই নিমিত্ত তাঁহাদের অপ্ৰগলভ বাক্য প্রয়োগ করা নিদ্ধারিত আছে।” কথাগলি শাস্ত্রোক্ত ও চতুরের কথা বটে, কিন্তু কৃষ্ণের যোগ্য নহে, সত্যপ্রিয় ধৰ্ম্মােত্মার কথা নহে। কিন্তু যে ছদ্মবেশ ধারণা করিয়াছে, তাহাকে এইরূপে উত্তর কাজেই দিতে হয়। ছদ্মবেশটিা যদি দ্বিতীয় স্তরের কবির সন্টি হয়, তবে এ বাক্যগলির জন্য তিনিই দায়ী। কৃষ্ণকে যে রকম চতুরচড়ামণি সাজাইতে তিনি চেন্টা করিয়াছেন, এই উত্তর তাহার অঙ্গ বটে। কিন্তু যাহাই হউক, দেখা যাইতেছে যে, ব্রাহ্মণ বলিয়া ছলনা করিবার কৃষ্ণের কোন উদ্দেশ্য ছিল না । ক্ষত্ৰিয় বলিয়া আপনাদিগকে তিনি সম্পন্টই স্বীকার করিতেছেন। কেবল তাহাই নহে, তাঁহারা শরভাবে যাদ্ধার্থে আসিয়াছেন, তাহাও সম্পন্ট বলিতেছেন। “বিধাতা ক্ষত্রিয়গণের বাহতেই বল প্ৰদান করিয়াছেন। হে রাজনী! যদি তোমার আমাদের 率 ८य, भाला ऊौंशझा qक्छन भाक्राकाटइन्न निकट्टे ಫನ್ಹಿ। যাঁহাদের এত ; যে, রাজসময়ের অনন্ঠানে প্রবত্ত, তাঁহাদের তিন ছড়া মালা কিনিবার বুে কা জটিবে না, ইহা অতি অসম্ভব। যাঁহারা কপটদ্যুতপত্ত্বিত রাজাই ধৰ্ম্মান রোধে পরিত্যাগ করলেন, DBDBDBD D BDDD BDD BDB D DBD BB BDDBS BB DDB BDB S S BDBDB uu হস্তরের কবির হাত। দাপ্ত ক্ষত্ৰতেজের বর্ণনায় এ সকল কথা বেশ সাজে। н 2 R-నిరి &