পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাঁহাকে আদশ পরিষ বলিয়া গ্রহণ করিয়া কি পাচক ব্রাহ্মণঠাকুরদিগের পাদপ্রক্ষালন করিয়া ಫ್ಲ? হইবে ? যদি তাই হয়, তবে তিনি আদর্শীপরিষ নহেন, ইহা আমরা মক্তকণ্ঠে ढाव । কথাটার অনেক রকম ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে। ব্রাহ্মণগণের প্রচারিত এরং এখনকার প্রচলিত ব্যাখ্যা এই যে, শ্ৰীকৃষ্ণ ব্ৰাহ্মণগণের গৌরব বাড়াইবার জন্যই সকল কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া এইটিতে আপনাকে নিষিক্ত করিয়াছিলেন। এ ব্যাখ্যা অতি আশ্রদ্ধেয় বলিয়া আমাদিগের বোধ হয়। শ্ৰীকৃষ্ণ অন্যান্য ক্ষত্ৰিয়দিগের ন্যায় ব্রাহ্মণকে যথাযোগ্য সম্পমান করিতেন বটে, কিন্তু তাঁহাকে কোথাও ব্রাহ্মণের গৌরব প্রচারের জন্য বিশেষ ব্যস্ত দেখি না। বরং অনেক স্থানে তাঁহাকে বিপরীত পথ অবলম্বন করিতে দেখি। মদি বনপব্বে দািব্বাসার আতিথ্য বক্তান্তটা মৌলিক মহাভারতের অন্তগত বিবেচনা করা যায়, তাহা হইলে বঝিতে হইবে যে, তিনি রকমসকাম করিয়া ব্রাহ্মণঠাকুর দিগকে পান্ডবদিগের আশ্রম হইতে অদ্ধচন্দ্ৰ প্ৰদান করিয়াছিলেন। তিনি ঘোরতর সাম্যবাদী। গীতোক্ত ধৰ্ম্ম যদি কৃষ্ণোক্ত ধৰ্ম্মম হয়, তবে বিদ্যাবিনয়ম্পপক্সে ব্ৰাহ্মণে গবি হান্তিনি। শনি চৈব শ্বপাকে চ পন্ডিতঃ সমদৰ্শিনঃ৷ ৫ ৷৷ ১৭ তাঁহার মতে ব্ৰাহ্মণে, গোরতে, হাতিতে, কুকুরে ও চণ্ডডালে সমান দেখিতে হইবে। তাহা হইলে ইহা অসম্ভব যে, তিনি ব্রাহ্মণের গৌরব বদ্ধির জন্য তাঁহাদের পদপ্রক্ষালনে নিযক্ত হাইকেন কেহ কেহ বলিতে পারেন, কৃষ্ণ যখন আদশ পরিষ, তখন বিনয়ের আদশ দেখাইবার জন্যই এই ভূত্যকায্যের ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। জিজ্ঞাস্য, তবে কেবল ব্রাহ্মণের পাদপ্রক্ষালনেই নিযক্ত কেন ? বয়োবদ্ধ ক্ষত্ৰিয়গণেরও পাদপ্রক্ষাদুনে নিযক্ত নহেন কেন ? আর ইহাও বক্তব্য যে, এইরুপ বিনয়কে আমরা আদশ বিনয় বলিতে পারি না। এটা বিনয়ের বড়াই। অন্যে বলিতে পারেন যে, কৃষ্ণচরিত্র সময়োপযোগী। সে সময়ে ব্ৰাহ্মণগণের প্রতি ভক্তি বড় প্রবল ছিল; কৃষ্ণ ধত্তি, পশার করিবার জন্য এইরুপ অলৌকিক ব্ৰহ্মভক্তি দেখাইতেছিলেন। আমি বলি, এই শ্লোকটি প্রক্ষিপ্ত। কেন না, আমরা এই শিশপালবধ-পঞ্চবাধ্যায়ের অন্য অধ্যায়ে (চোঁয়াল্লিশে) দেখিতে পাই যে, কৃষ্ণ ব্ৰাহ্মণগণের পাদপ্রক্ষালনে নিযক্ত না থাকিয়া তিনি ক্ষত্রিয়োচিত ও বীরোচিত কাৰ্য্যােন্তরে নিযক্ত ছিলেন। তথায় লিখিত আছে, “মহাবাহ বাসদেব শঙ্খ চক্র ও গদা ধারণ পািব্বক সমাপন পৰ্যন্ত ঐ যজ্ঞ রক্ষা করিয়াছিলেন।” হয়ত দইটা কথাই প্রক্ষিপ্ত। আমরা এ পরিচ্ছেদে এ কথার বেশী আন্দোলন আবশ্যক বিবেচনা করি না। কথাটা তেমন গারতের কথা নয়। কৃষ্ণচরিত্র সম্পবন্ধে মহাভারতীয় উক্তি অনেক সময়েই পরস্পর অসঙ্গত, ইহা দেখাইবার জন্যই এতটা বলিলাম। নানা হাতের কাজ বলিয়া এত অসঙ্গতি এই রাজসয়ে যজ্ঞের মহাসভায় কৃষ্ণ কর্তৃক শিশপাল নামে প্রবল পরাক্রান্ত মহারাজা নিহত হয়েন। পান্ডবদিগের সংশ্লেষ মাত্রে থাকিয়া কৃষ্ণের এই এক মাত্র অস্ত্র ধারণ বলিলেও হয়। খাগডবদাহের যাদ্ধটা আমরা বড় মৌলিক বলিয়া ধরি নাই, ইহা পাঠকের সমরণ থাকিতে পারে। শিশপালবধ-পৰ্ব্বাধ্যায়ে একটা গারতের ঐতিহাসিক তত্ত্ব নিহিত আছে। বলিতে গেলে, তেমন গারতের ঐতিহাসিক তত্ত্ব মহাভারতের আর কোথাও নাই। আমরা দেখিয়াছি যে, জরাসন্ধবধের পকেব, কৃষ্ণ কোথাও মৌলিক মহাভারতে, দেবতা বা ঈশ্বরাবতার-স্বরপ অভিহিত বা স্বীকৃত নহেন। জরাসন্ধবধে, সে কথাটা আমনি অসফট রকম আছে। এই শিশাপালিবধেই প্রথম কৃষ্ণের সমসাময়িক লোক কৰ্ত্তক তিনি জগদীশ্বর বলিয়া স্বীকৃত। এখানে কুরবংশের তাৎকালিক নেতা ভীস্মই এই মতের প্রচারকত্তা। এখন ঐতিহাসিক স্থলে প্রশনটা এই যে, যখন দেখিয়াছি যে, কৃষ্ণ তাঁহার জীবনের প্রথমাংশে DBB BDDD DBBB DBDS BB DDBDB DBBS BDBDBB BB DD BB DDDD DDD স্বীকৃত হইলেন ? তাঁহার জীবিতকালেই কি ঈশ্বরবিতার বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছিলেন ? দেখিতে পাই বটে যে, এই শিশাপালিবধে, এবং তৎপরবতী মহাভারতের অন্যান্য অংশে তিনি ঈশ্বর বলিয়া স্বীকৃত হইতেছেন। কিন্তু এমন হইতে পারে যে, শিশপালবধ-পৰিবাধ্যায় এবং সেই সেই অংশ প্রক্ষিপ্ত। এ প্রশেনর উত্তরে কোন পক্ষ অবলম্বনীয়? ་ ༨་ dit SRO