পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बस्किय ब्रष्नावली বোধ করি, এ অনৈসগিক ব্যাপার কোন পাঠকেই ঐতিহাসিক ঘটনা বলিয়া গ্রহণ করিবেন। না। যিনি বলিবেন, কৃষ্ণ ঈশ্বরাবতার, ঈশ্বরে সকলেই সম্ভবে, তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করি, যদি চক্রের দ্বারা শিশপালকে বধ করিতে হইবে, তবে সে জন্য কৃষ্ণের মনষ্যশরীর ধারণের কি প্রয়োজন ছিল ? চক্ৰ ত চেতনাবিশিষ্ট জীবের ন্যায় আজ্ঞামত যাতায়াত করিতে পারে দেখা যাইতেছে, তবে বৈকুণ্ঠ হইতেই বিষ্ণ, তাহাকে শিশপালের শিরশেছদ জন্য পাঠাইতে পারেন নাই কেন ? এ সকল কাজের জন্য মনীষা-শরীর গ্রহণের প্রয়োজন কি ? ঈশ্বর কি আপনার নৈসৰ্গিক নিয়মে বা কেবল ইচ্ছা মাত্র একটা মনষ্যের মাতুত্যু ঘটাইতে পারেন না যে, তত জন্য তাঁহাকে মনষ্যিদেহ ধারণ করিতে হইবে ? এবং মনষ্যে-দেহ ধারণা করিলেও কি তিনি এমনই হীনবল হইবেন যে, সবীয় মানষিী শক্তিতে একটা মানষের সঙ্গে আটিয়া উঠিতে পারিবেন না, ঐশী শক্তির দ্বারা দৈব অস্ত্রকে স্মরণ করিয়া আনিতে হইবে ? ঈশ্বর যদি এরপ অলপশক্তিমান হন, তবে মানষের সঙ্গে তাঁহার তফাৎ বড় অলপ। আমরাও কৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব অস্বীকার করি না-কিন্তু আমাদের মতে কৃষ্ণ মানষিী শক্তি ভিন্ন অন্য শক্তির আশ্রয় গ্রহণ করিতেন না, এবং মানষিী শক্তির দ্বারাই সকল কাৰ্য্যই সম্পন্ন করিতেন। এই অনৈসগিক চক্রাস্ত্ৰসমরণব্যুত্তান্ত যে অলীক ও প্রক্ষিপ্ত, কৃষ্ণ যে মানষযাদ্ধেই শিশপালকে নিহত করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণ মহাভারতেই আছে। উদ্যোগপন্ধেব ধাতরাষ্ট্ৰ শিশপাল্যবধের ইতিহাস কহিতেছেন, যথা “পর্বে রাজসয়ে যজ্ঞে, চেন্দিরাজ ও করষেক প্রভৃতি যে সমস্ত ভুপাল সৰ্ব্বব্যপ্রকার উদ্যোগবিশিষ্ট হইয়া বহসংখ্যক বীরপরিষ সমভিব্যাহারে একত্র সমবেত হইয়াছিলেন, তন্মধ্যে চেন্দিরাজতনয় সয্যের ন্যায় প্রতাপশালী, শ্রেদ্ঠ ধন দ্বার ও যন্ধে অজেয়। ভগবান কৃষ্ণ ক্ষণকাল মধ্যে তাঁহার পরাজয় করিয়া ক্ষত্রিয়গণের উৎসাহ ভঙ্গ করিয়াছিলেন ; এবং করষেরাজপ্রমািখ নরেন্দ্রবগাঁ যে শিশপালের সম্পমান বদ্ধন করিয়াছিলেন, তাঁহারা সিংহ স্বরপ কৃষ্ণকে রথার দৃঢ় নিরীক্ষণ করিয়া চোঁদিপতিরে পরিত্যাগপৰ্ব্বক ক্ষদ্র মাগেন্দ্র ন্যায় পলায়ন করিলেন, তিনি তখন অবলীলাক্রমে শিশপালের প্রাণসংহারপৰিবাক পান্ডবগণের যশ বা মান বদ্ধন করিলেন।”-১২ অধ্যায়। এখানে ত চক্রের কোন কথা দেখিতে পাই না। দেখিতে পাই, কৃষ্ণকে রথারােঢ় হইয়া রীতিমত মানষিক সংগ্রামে প্রবত্ত হইতে হইয়াছিল। এবং তিনি মানষষদ্ধেই শিশপাল ও তাহার অনচরবগকে পরাভূত করিয়াছিলেন। যেখানে এক গ্রন্থে একই ঘটনার দই প্রকার বৰ্ণনা দেখিতে পাই-একটি নৈসগিক, অপরটি অনৈসঙ্গিক, সেখানে অনৈসগিক বৰ্ণনাকে অগ্রাহ্য করিয়া নৈসগিকিকে ঐতিহাসিক বলিয়া গ্ৰহণ করাই বিধেয়। যিনি পরাণেতিহাসের মধ্যে সত্যের অন্যাসন্ধান করিবেন, তিনি যেন এই সোজা কথাটা স্মরণ রাখেন। নহিলে সকল পরিশ্রমই বিফল হইবে। শিশাপালিবধের আমরা যে সমালোচনা করিলাম, তাহাতে উক্ত ঘটনার স্থলে ঐতিহাসিক তত্ত্ব আমরা এইরপে দেখিতেছি। রাজসময়ের মহাসভায় সকল ক্ষত্ৰিয়ের অপেক্ষা কৃষ্ণের শ্রেষ্ঠতা স্বীকৃত হয়। ইহাতে শিশপাল প্রভৃতি কতকগলি ক্ষত্রিয় রন্ট হইয়া যজ্ঞ নন্ট করিবার জন্য যাদ্ধ উপস্থিত করে। কৃষ্ণ তাহাদিগের সহিত যাদ্ধ করিয়া তাহাদিগকে পরাজিত করেন এবং শিশাপালিকে নিহত করেন। পরে যজ্ঞ নিৰিবাঘের সমাপিত হয়। আমরা দেখিয়াছি, কৃষ্ণ যন্ধে সচরাচর বিদ্বেষবিশিষ্ট। তবে অতজনাদি যাদ্ধক্ষম পান্ডবেরা থাকিতে, তিনি যজ্ঞঘদিগের সঙ্গে যন্ধে প্রবত্ত হইলেন কেন? রাজসয়ে ষে কায্যের ভার কৃষ্ণের উপর ছিল, তাহা সন্মরণ করিলেই পাঠক কথার উত্তর পাইবেন। যজ্ঞরক্ষা ভার কৃষ্ণের উপর ছিল, ইহা পন্ধেব বলিয়াছি। যে কাজের ভার যাহার উপর থাকে, তাহা তাহার অনদ্ঠোয় ಫ್ಲ್ಯೂಕ್ಹಳr অনন্ঠেয় কম্পেমর সাধন জন্যই কৃষ্ণ যন্ধে প্রবত্ত হইয়া শিশপালকে बर्थ का একাদশ পরিচ্ছেদ-পান্ডবের কনৰাস। রাজসয় যজ্ঞ সমাপ্ত হইলে, কৃষ্ণ দ্বারকায় ফিরিয়া গেলেন। সভাপব্বে আর তাঁহাকে দেখিতে পাই না। তবে এক স্থানে তাঁহার নাম হইয়াছে। 总总心