পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচরিত্র দ্যুতক্ৰীড়ায় যধিস্ঠির দ্ৰৌপদীকে হারিলেন। তার পর দ্ৰৌপদীর কেশাকর্ষণ, এবং সভামধ্যে বস্ত্রহরণ। মহাভারতের এই ভাগের মত, কাব্যাংশে উৎকৃষ্ঠািট রচনা জগতের সাহিতে্যু বড় দলভ। কিন্তু কাব্য আমাদের এখন সমালোচনীয় নহে—ঐতিহাসিক মােলা কিছর আছে কি না পরীক্ষা করিতে হইবে। যখন দঃশাসন সভামধ্যে দৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে প্রবত্ত, নিরপোয় দ্ৰৌপদী তখন কৃষ্ণকে মনে মনে চিন্তা করিয়াছিলেন। সে অংশ উদ্ধত করিয়াছি :- “গোবিন্দ দ্বারকাবাসিন কৃষ্ণ গোপীজনপ্রিয়!" এবং সে সম্পবন্ধে আমাদিগের যাহা বলিবার, তাহা পাবে বলিয়াছি। তার পর বনপৰ্ব্ববা । বনপৰুেব তিনবার মাত্র কৃষ্ণের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। প্রথম, পান্ডবেরা বনে গিয়াছেন শনিয়া বহিষ্ণভোজেরা সকলে তাঁহাদিগকে দেখিতে আসিয়াছিল-কৃষ্ণও সেই সঙ্গে আসিয়াছিলেন। ইহা সম্ভব। কিন্তু যে অংশে এই বাত্তান্ত বাণিত হইয়াছে, তাহা মহাভারতের প্রথম স্তরগতও নহে, দ্বিতীয় স্তরগতও নহে। রচনার সাদশ্য কিছমাত্র নাই। চরিত্রগত সঙ্গতি কিছমাত্র নাই। কৃষ্ণকে আর কোথাও রাগিতে দেখা যায় না, কিন্তু এখানে, যধিস্ঠিরের কাছে আসিয়াই কৃষ্ণ চটিয়া লাল। কারণ কিছই নাই, কেহ শত্ৰ উপস্থিত নাই, কেহ কিছ বলে নাই, কেবল দায্যোধন প্রভৃতিকে মারিয়া ফেলিতে হইবে, এই বলিয়াই এত রাগ যে, যধিস্ঠির বহতর স্তব-স্তৃতি মিনতি করিয়া তাঁহাকে থামাইলেন। যে কবি লিখিয়াছেন যে, কৃষ্ণ প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, মহাভারতের যন্ধে তিনি অস্ত্ৰধারণ করবেন না, এ কথা সে কবির লেখা নয়, ইহা নিশিচত। তার পর এখনকার হোৎকাদিগের মত কৃষ্ণ বলিয়া বসিলেন, “আমি থাকিলে এতটা হয়!-আমি বাড়ী ছিলাম না।” তখন যধিস্ঠির কৃষ্ণ কোথায় গিয়াছিলেন, সেই পরিচয় লইতে লাগিলেন। তাহাতে শালব্যবধের কথাটা উঠিল। তাহার সঙ্গে কৃষ্ণ যাদ্ধ করিয়াছিলেন, সেই পরিচয় দিলেন। সে এক অদ্ভুত ব্যাপার। সৌভ নামে তাহার রাজধানী। সেই রাজধানী আকাশময় উড়িয়া উড়িয়া বেড়ায়; শালব ত্যাহার উপর থাকিয়া যাদ্ধ করে। সেই অবস্থায় কৃষ্ণের সঙ্গে যাদ্ধ হইল। যাদ্ধের সময়ে কৃষ্ণের বিস্তর কাঁদাকাটি। শালব একটা মায়া বসদেব গড়িয়া তাহাকে কৃষ্ণের সম্পমাখে বধ করিল দেখিয়া কৃষ্ণ কাঁদিয়া মচ্ছিত। এ জগদীশ্বরের চিত্র নহে, কোন মানষিক ব্যাপারের চিত্ৰও নহে। অনফ্রিমণিকাধ্যায়ে এবং পৰবৰ্তসংগ্ৰহাধ্যায়ে এই সকল ব্যাপারে কোন প্রসঙ্গও নাই। ভরসা করি, কোন পাঠক এ সকল উপন্যাসের সমালোচনার প্রত্যাশা করেন না। তার পরে দস্তবাসার সশিষ্য ভোজন। সে ঘোরতর অনৈসগিক ব্যাপার। অন্যত্ৰমণিকাধ্যায়ে সে কথা থাকিলেও তাহার কোন ঐতিহাসিক মাল্য নাই। সতরাং ত্যাহা আমাদের সমালোচনীয় নহে । তার পর বনপকেবর শেষের দিকে মাকন্ডেয়সমস্যা-পৰ্ব্ববাধ্যায়ে কৃষ্ণকে দেখিতে পাই। পাণডবেরা কাম্যক বনে আসিয়াছেন শনিয়া, কৃষ্ণ তাঁহাদিগকে আবার দেখিতে আসিয়াছিলেনএবার একা নহে; ছোট ঠাকুরাণীটি সঙ্গে। মাক গ্ৰেডয়সমস্যা-পথ বাধ্যায় একখানি বহৎ গ্রন্থ বলিলেও হয়। কিন্তু মহাভারতের সঙ্গে সম্পবিন্ধ আছে, এমন কথা উহাতে কিছই নাই । সমস্তটাই প্রক্ষিপ্ত বলিয়া বোধ হয়। পৰবৰ্তসংগ্ৰহাধ্যায়ে মাকন্ডেয়সমস্যা-পৰ্ব্ব বাধ্যায়ের কথা আছে বটে, কিন্তু অনানুক্ৰমণিকাধ্যায়ে নাই। মহাভারতের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের রচনার সঙ্গে ইহার কোন সাব্দশ্যই নাই। কিন্তু ইহা মৌলিক মহাভারতের অংশ কি না, তাহা আমাদের বিচার করিবারও কোন প্রয়োজন রাখে না। কেন না, কৃষ্ণ এখানে কিছই করেন নাই। আসিয়া যধিস্ঠির দ্ৰৌপদী প্রভৃতিকে কিছ. মিস্ট কথা বলিলেন, উত্তরে কিছ মিস্ট কথা শানিলেন । তার পর কয় জনে মিলিয়া ঋষি ঠাকুরের আষাঢ়ে গলপ সকল শনিতে লাগিলেন। মাকন্ডেয় কথা ফরাইলে দ্ৰৌপদী সত্যভামাতে কিছু কথা হইল। পক্ষবসংগ্ৰহাধ্যায়ে দ্ৰৌপদী সত্যভামার সংবাদ গণিত হইয়াছে; কিন্তু অনগ্রুমণিকাধ্যায়ে ইহার কোন প্রসঙ্গ নাই। ইহা যে প্রক্ষিপ্ত, তাহা পাবে বলিয়াছি। তাহার পর বিরাটপািৰব। বিরাটপকেবা কৃষ্ণ দেখা দেন নাই--কেবল শেষে উত্তরার বিবাহে BDD gDuDBDSS DBDBDD BB BD BDBBDu DDDDBBS DDD BBB DBBL উদ্যোগপন্ধেব কৃষ্ণের অনেক কথা আছে। ক্রমশঃ সমালোচনা করিব। RA