পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধন্মতত্ব শিষ্য। এ কথার প্রতি আমার প্রথম আপত্তি এই যে, আপনি এ পৰ্যন্ত ভক্তি অন্যান্য বত্তির মধ্যে একটি বত্তি বলিয়া বঝাইয়া আসিয়াছেন, কিন্তু এখন সকল বত্তির সমন্টিকে ভক্তি বলিতেছেন। গর। তাহা নহে। ভক্তি একই বত্তি। আমার কথার তাৎপৰ্য্য এই যে, যখন সকল বত্তিগলিই এই এক ভক্তিব্বত্তির অনগামী হইবে, তখনই ভক্তির উপযক্ত সাফাত্তি হইল। এই কথার দ্বারা, বত্তিমধ্যে ভক্তির যে শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলিয়াছিলাম, তাহাই সমৰ্থিত হইল। ভক্তি ঈশ্বরাপিতা হইলে, আর সকল ব্যক্তিগলি উহার অধীন হইবে, উহার প্রদশিত পথে যাইবে, ইহাই আমার কথার স্থলে তাৎপৰ্য্য। এমন তাৎপৰ্য্য নহে যে, সকল বত্তির সমন্টি ভক্তি। শিষ্য। কিন্তু তাহা হইলে সামঞ্জস্য কোথা গেল? আপনি বলিয়াছেন যে, সকল ব্যক্তিগলির সমচিত সাফত্তিই মনষ্যেত্ব। সেই সমচিত সাফাত্তির এই অর্থ করিয়াছেন যে, কোন বত্তির সমধিক সাফাত্তির দ্বারা অন্য বত্তির সমচিত সফৰ্ত্তির অবরোধ না হয়। কিন্তু সকল বত্তিই যদি এই এক ভক্তিব্বত্তির অধীন হইল, ভক্তিই যদি অন্য বত্তিগলিকে শাসিত করিতে লাগিল, তবে পরস্পরের সামঞ্জস্য কোথায় রহিল ? গর। ভক্তির অনবৰ্ত্তিতা কোন বত্তিরই চরম স্ফত্তির বিঘা করে না। মনষ্যের বত্তি মাত্রেরই যে কিছ উদ্দেশ্য হইতে পারে, তন্মধ্যে সব্বাপেক্ষা ঈশ্বরই মহৎ। যে বত্তির যত সম্প্রসারণ হউক না কেন, ঈশ্বরানােবত্তী হইলে, সে সম্প্রসারণ বাড়িবে বৈ কমিবে না। ঈশ্বর যে বত্তির উদ্দেশ্য-অনন্ত মঙ্গল, অনন্ত জ্ঞান, অনন্ত ধৰ্ম্ম, অনন্ত সৌন্দৰ্য্য, অনন্ত শক্তি, অনন্তই যে বত্তির উদ্দেশ্য,-তাহার। আবার অবরোধ কোথায়? ভক্তিশাসিতাবস্থাই সকল বত্তির যথাৰ্থ সামঞ্জস্য । শিষ্য। তবে আপনি যে মনীষ্যত্বতত্ত্ব এবং অনশীলনধৰ্ম্মম আমাকে শিখাইতেছেন, তাহার স্থলে তাৎপৰ্য্য কি এই যে, ঈশ্বরে ভক্তিই পাণ মনষ্যেত্ব, এবং অনশীলনের একমাত্র উদ্দেশ্য সেই ঈশ্বরে ভক্তি ? গর। অনশীলনধৰ্ম্মের মৰ্ম্মে এই কথা আছে বটে যে, সকল বত্তির ঈশ্বরে সমাপণ ব্যতীত মনীষ্যত্ব নাই। ইহাই প্রকৃত কৃষ্ণাপািণ, ইহাই প্রকৃত নিস্কাম ধৰ্ম্ম। ইহাই স্থায়ী সখি। ইহারই নামান্তর চিত্তশদ্ধি। ইহারই লক্ষণ “ভক্তি, প্রীতি, শান্তি"। ইহাই ধৰ্ম্ম-ইহা ভিন্ন ধৰ্ম্মমােন্তর নাই। আমি ইহাই শিখাইতেছি। কিন্তু তুমি এমন মনে করিও না যে, এই কথা বঝিলেই তুমি অনশীলনধৰ্ম্ম বঝিলে। শিষ্য। আমি যে এখনও কিছ বঝি নাই, তাহা আমি স্বয়ং স্বীকার করিতেছি । অনশীলনধৰ্ম্মে এই তত্ত্বের প্রকৃত স্থােন কি, তাহা এখনও বঝিতে পারি নাই। আপনি বত্তি যে ভাবে বঝাইয়াছেন, তাহাতে শারীরিক বল, অর্থাৎ মাংসপেশীব বল একটা Faculty না। হউক, একটা বত্তি বটে। অনশীলনধৰ্ম্মেমরি বিধানানসারে, ইহার সমচিত অনশীলন চাই। মনে করুন, রোগ দারিদ্র্য আলস্য বা তাদশ অন্য কোন কারণে কোন ব্যক্তির এই বত্তির সমচিত সাফত্তি হয় নাই। তাহার কি ঈশ্বরভক্তি ঘটিতে পারে না ? গর। আমি বলিয়াছি যে, যে অবস্থায় মনষ্যের সকল ব্যক্তিগলিই ঈশ্বরানিবেত্তীর্ণ হয়, তাহাই ভক্তি। ঐ ব্যক্তির শারীরিক বল বেশী থাক, অলপ থােক, যতটকু আছে, তাহা যদি ঈশ্বরানােবত্তীর্ণ হয়, অর্থাৎ ঈশ্বরানামত কায্যে প্রযক্ত হয়-আর অন্য ব্যক্তিগলিও সেইরাপ হয়, তবে তাহার ঈশ্বরে ভক্তি হইয়াছে। তবে অনশীলনের অভাবে, ঐ ভক্তির কায্যকারিতার সেই পরিমাণে ত্রটি ঘটবে। এক জন দস্য একজন ভাল মানষেকে পীড়িত করিতেছে। মনে কর, দই ব্যক্তি তাহা দেখিল, মনে কর, দই জনেই ঈশ্বরে ভক্তিযক্তি, কিন্তু এক জন বলবান, অপর দৰবল। যে বলবান, সে ভাল মানষেকে দস্য হস্ত হইতে মক্ত করিল, কিন্তু যে দৰবািল, সে চেষ্টা করিয়াও পারিল না। এই পরিমাণে, বত্তিবিশেষের অনশীলনের অভাবে, দৰবলৈ ব্যক্তির মনষ্যত্বের অসম্পর্ণিতা বলা যাইতে পারে, কিন্তু ভক্তির এটি বলা যায় না। বত্তি সকলের সমচিত সাফাত্তি ব্যতীত মনীষ্যত্ব নাই; এবং সেই ব্যক্তিগলি ভক্তির অনগামী না হইলেও মনকেষ্যত্ব নাই। উভয়ের সমাবেশেই সম্পণে মনকেষ্যত্ব। ইহাতে ব্যক্তিগলির স্বাতন্ত্র্য রক্ষিত BBLBLS BBu uDDBu BBBDB DBDD DDDBBS S DD BDBBuDDDD BBS DBDDBDSDBu DDBDS সমাপণ, এই কথা বঝিলেই মনীষ্যত্ব বঝিলে না। তাহার সঙ্গে এটা কুও বাবা চাই। 岛畿>