পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्क्ष ब्रष्नाबव्ी সম্বন্ধেই যে খাটে, এমন নহে। যাহারা আত্মরক্ষায় অক্ষম, এবং যাহাদের রক্ষার ভার তোমার উপর, তাহদের রক্ষাও আত্মরক্ষার ন্যায় জগৎরক্ষার পক্ষে তােদশ প্রয়োজনীয়। শিষ্য। আপনি সন্তানাদির কথা বলিতেছেন ? গর। প্রথমে অপত্যপ্রীতির কথাই বলিতেছি। বালকেরা আপনাদিগের পালনে ও রক্ষণে সক্ষম নহে। অন্যে যদি তাহাদিগকে রক্ষা ও পালন না করে, তবে তাহারা বাঁচে না। যদি সমস্ত শিশ অপালিত ও অরক্ষিত হইয়া প্ৰাণ ত্যাগ করে, তবে জগৎও জীবাশন্য হইবে। অতএব আত্মরক্ষাও যেমন গারতের ধৰ্ম্মম , সন্তানাদির পালনও তােদশি গরতের ধৰ্ম্মম; আত্মরক্ষার ন্যায়, ইহাও ঈশ্বরোন্দিন্ট কম্পমা, সতরাং ইহাকেও নিম্পাকাম কৰ্ম্মেম পরিণত করা যাইতে পারে। বরং আত্মরক্ষার অপেক্ষাও সন্তানাদির পালন ও রক্ষণ গরতের ধৰ্ম্মম; কেন না, যদি সমস্ত জগৎ আত্মরক্ষায় বিরত হইয়াও সন্তানাদি রক্ষায় নিযক্ত ও সফল হইয়া সন্তানাদি রাখিয়া যাইতে পারে, তাহা হইলে সন্টি রক্ষিত হয, কিন্তু সমস্ত জীব সন্তানাদির রক্ষায় বিরত হইয়া কেবল আত্মরক্ষায় নিযক্ত হইলে, সন্তানাদির অভাবে জীবসন্টি বিলপ্ত হইবে। অতএব আত্মরক্ষার অপেক্ষা সন্তানাদির রক্ষা গরতের ধৰ্ম্ম । ইহা হইতে একটি গারতের তত্ত্ব উপলব্ধ হয়। অপত্যাদির রক্ষার্থ আপনার প্রাণ বিসর্জন করা ধৰ্ম্মম সঙ্গত। পৰেব যে কথা আন্দাজি বলিয়াছিলাম, এক্ষণে তাহা প্রমােণীকৃত হইল। ইহা পশতু, পক্ষীতেও করিযা থাকে। ধৰ্ম্মম জ্ঞানবশতঃ তাহারা এরপ করে, এমন বলা যায। না। অপত্যপ্রীতি স্বাভাবিক বত্তি, এই জন্য ইহা করিয়া থাকে। অপত্যস্নেহ যদি স্বতন্ত্র স্বাভাবিক বত্তি হয়, তবে তাহা সাধারণ প্রীতিবত্তির বিরোধী হইবার সম্ভাবনা। অনেক সময়ে হইয়াও থাকে। অনেক সময়েই দেখিতে পাই যে, অনেকে অপত্যস্নেহের বশীভুত হইষা পরেব অনিন্ট করিতে প্রবত্ত হয। যেমন জাগতিক প্রীতির সঙ্গে আত্মপ্রীতির বিরোধ সম্ভাবনার কথা পর্বে বলিষাছিলাম, জাগতিক প্রীতির সঙ্গে অপত্যপ্রীতিরও সেইরােপ বিরোধের শঙ্কা করিতে হয়। কেবল তাহাই নহে। এখানে যে আত্মপ্রীতি আসিয়া যোগ দেয় না, এমন কথা বলা যায় না। ছেলে আমার, সতরাং পরের কাড়িয়া লইয়া ইহাকে দিতে হইবে। ছেলের উপকারে আমার উপকার, অতএব যে উপায়ে হউক, ছেলের উপকার সিদ্ধ করিতে হইবে। এরপ বিদ্ধির বশীভূত হইয়া অনেকে কায্য করিয়া থাকেন। অতএব এই অপত্যপ্রীতির সামঞ্জস্যজন্য বিশেষ সতকাতার প্রয়োজন। শিষ্য। এই সামঞ্জস্যের উপায় কি ? গর। উপায়-হিন্দধম্পেমাির ও প্রীতিতত্ত্বের সেই মািল সত্ৰ-সব্বভুতে সমদৰ্শন। অপত্যপ্রীতি সেই জাগতিক প্রীতিতে নিমণ্ডিজত করিয়া, অপত্যপালন ও রক্ষণ ঈশ্বরোন্দিন্ট; সতরাং অনদ্ঠেয় কৰ্ম্মম জানিয়া, “জগদীশ্বরের কৰ্ম্ম নিৰ্ব্ববাহ করিতেছি, আমার ইহাতে ইন্টানিন্ট কিছ নাই” ইহা মনে বঝিয়া, সেই অনন্ঠেয় কাম করিবে। তাহা হইলে এই অপত্যপালন ও রক্ষণধৰ্ম্ম নিম্পাকাম ধৰ্ম্মেম পরিণত হইবে। তাহা হইলে তোমাব অনন্ঠেয় কন্মেরও অতিশয় সনিকবাহ হইবে; অথচ তুমি নিজে এক দিকে শোকমোহাদি, আর এক দিকে পাপ ও দািব্বাসনা হইতে নিম্প্রকৃতি পাইবে। শিষ্য। আপনি কি অপত্যস্নেহ-বাত্তির উচ্ছেদ করিয়া তাহার স্থানে জাগতিক প্রীতির সমাবেশ করিতে বলেন ? গর। আমি কোন বত্তিরই উচ্ছেদ করিতে বলি না, ইহা পািনঃ পািনঃ বলিয়াছি। তবে, পাশব বত্তি সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছি, তাহা স্মরণ করা। পাশব বত্তিসকল স্বতঃস্ফৰ্ত্ত। যাহা স্বতঃস্ফৰ্ত্ত, তাহার দমনই অনশীলন। অপত্যস্নেহ পরম রমণীয় ও পবিত্ৰ বত্তি। পাশব বত্তিগলির সঙ্গে ইহার এই ঐক্য আছে যে, ইহা যেমন মনষ্যের আছে, তেমনি পশদিগেরও আছে। তাদশে সকল বত্তিই স্বতঃস্ফত্ত ইহা পন্ধেব বলিয়াছি। অপত্যস্নেহও সেই জন্য সম্ভবতঃস্ফত্ত । বরং সমস্ত মানসিক বত্তির অপেক্ষা ইহার বল দন্দািমনীয় বলা যাইতে পারে। এখন অপত্যপ্রীতি যতই রমণীয ও পবিত্র হউক না কেন, উহার অন্যচিত সাফাত্তি অসামঞ্জস্যের কারণ, যাহা স্বতঃস্ফত্ত, তাহার সংযম না করিলে অন্যচিত সাফাত্তি ঘটিয়া উঠে। এই জন্য উহার সংযম আবশ্যক। উহার সংঘাম না করিলে, জাগতিক প্রীতি ও ঈশ্বরে ভক্তি, উহার চেন্নাতে ভাসি যা ● &や