পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रीनवक, भिटलझ ऊीबनी.नभादवाना আলাপের জন্য উৎসকে হইত। যে আলাপ করিত, সেই তাঁহার বন্ধ হইত। তাঁহার ন্যায় সারসিক লোক বঙ্গভূমে এখন আর কেহ আছে কি না বলিতে পারি না। তিনি যে সভায় বসিতেন, সেই সভার জীবনস্বরপ হইতেন। তাঁহার সরস, সমিণ্ট কথোপকথনে সকলেই মন্ধে হইত। শ্রোতৃবগ, মস্পেমর দঃখ সকল ভুলিয়া গিয়া, তাঁহার সম্ৰাট হাস্যরস-সাগরে ভাসিত। তাঁহার প্রণীত গ্রন্থ সকল বাঙ্গালা ভাষায় সব্বোৎকৃষ্ট হাস্যরসের গ্রন্থ বটে, কিন্তু তাহার প্রকৃত হাস্যরসপটতার শতাংশের পরিচয় তাঁহার গ্রন্থে পাওয়া যায় না। হাস্যরসাবতারণায় তাহার যে পটন্তা, তাহার প্রকৃত পরিচয় তাঁহার কথোপকথনেই পাওয়া যাইত। অনেক সমযে, তাঁহাকে সাক্ষাৎ মাত্তিমান হাস্যরস বলিয়া বোধ হইত। দেখা গিয়াছে যে, অনেকে ‘ অ’ব হাসিতে ଜ୍ଞ না” বলিয়া তাঁহার নিকট হইতে পলায়ন করিয়াছেন। হাস্যরসে তিনি প্রকৃ৩ ঐন্দ্রাঙালিক ८ ।। অনেক লোক আছে যে, নিবোধ অথচ অত্যন্ত আত্মাভিমানী। এরপ লোবে-র পক্ষে দীনবন্ধ সাক্ষাৎ যম ছিলেন। কদাচ তাহাদিগের আত্মাভিমানের প্রতিবাদ করতেন না। বরং সেই আগনে সাধ্যমত বাতাস দিতেন। নিস্কেবাধ সেই বাতাসে উন্মত্ত হইয়া উঠিত। তখন § রঙ্গভঙ্গ দেখিতেন। এরপ লোক দীনবন্ধর হাতে পড়িলে কোনরূপে নিম্প্রকৃতি পাহত না । ইদানীং কয়েক বৎসর হইল, তাঁহার হাস্যরসপটতা ক্ৰমে মন্দীভূত হইয়া আসিতেছিল। প্রায় বৎসরাধিক হইল, এক দিন তাঁহার কোন বিশেষ বন্ধ জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন ‘দীনবন্ধ, তোমার সে হাস্যরস কোথা গেল ? তোমার রস শাখাইতেছে, তুমি আর অধিক কাল বাঁচবে না।” দীনবন্ধ কেবলমাত্র উত্তর করিলেন, “কে বলিল ?” কিন্তু পরীক্ষণেই অন্যমনস্ক হইলেন। এক দিবস আমরা একত্রে রাত্রিযাপন করি। তাঁহার বস-উদ্দীপন-শক্তি শখাইয়াছে কি না। আপনি জানিবার নিমিত্ত একবার সেই রাত্রে চেস্টা করিয়াছিলাম; সে চেন্টা নিতান্ত নিৰ্ম্মফল হয় নাই। রাত্রি প্রায় আড়াই প্রহর পয্যন্ত অনেকগালি বন্ধকে একেবারে মন্ধ করিয়াছিলেন। তখন জানিতাম না যে, সেই তাঁহার শেষ উদ্দীপনা। তাহার পর আর কয়েক বার দিবারাত্রি একত্রে বাস করিয়াছি, কিন্তু এই রাত্রের ন্যায়। আর তাঁহাকে আনন্দ-উৎফল্লা দেখি নাই। তাঁহার অসাধারণ ক্ষমতা ক্ৰমে দািব্বল হইতেছিল। তথাপি তাহার ব্যঙ্গশক্তি একেবারে নিস্তেজ হয নাই। মতুশয্যায় পড়িযাও তাহা ত্যাগ করেন নাই। অনেকেই জানেন যে, তাঁহার মাতুর কাবণ বিস্ফোটক, প্রথমে একটি পািঠদেশে হয, তাহার কিঞ্চিৎ উপশম হইলেই আর একটি পশ্চাৎভাগে হইল। তাহার পর শেষ আর একটি বামপদে হইল। এই সময। তাঁহার পক্বোক্ত বন্ধটি কাৰ্য্যস্থান হইতে তাঁহাকে দেখিতে গিযাছিলেন। দীনবন্ধ অতি দরবত্তীর্ণ মেঘের ক্ষীণ বিদ্যুতের ন্যায় ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “ফোঁড়া এখন আমার পামে ধরিয়াছে।” মনষ্যমাত্রেরই অহঙ্কার আছে :-দীনবন্ধর ছিল না; মনষ্যেমাত্রেরই রাগ আছে :- দীনবন্ধর ছিল না। দীনবন্ধর কোন কথা আমার কাছে গোপন ছিল না, আমি কখন তাঁহার রাগ দেখি নাই। অনেক সময়ে তাঁহার ক্ৰোধাভাব দেখিয়া তাঁহাকে অনাযোগ করিয়াছি, তিনি রাগ করিতে পারিলেন না বলিয়া অপ্রতিভ হইয়ছেন। অথবা ক্রুদ্ধ হইবার জন্য যত্ন করিষা, শেষে নিৰ্ম্মফল হইয়া বলিয়াছেন, “কই, রাগ যে হয় না।” তাঁহার যে কিছ ক্রোধের চিহ্ন পাওয়া যায়, তাহা জামাই-বারিকের “ভোঁতারাম ভাটে“র উপরে। যেমন অনেকে দীনবন্ধীর গ্রন্থের প্রশংসা করিতেন, তেমনি কতকগলি লোক তাঁহার গ্রন্থের নিন্দক ছিল। যেখানে যশ, সেইখানেই নিন্দা, সংসারের ইহা নিয়ম। পথিবীতে যিনি যশস্বী হইয়াছেন, তিনিই সম্প্রদায়বিশেষকত্ত্বক নিন্দিত হইয়াছেন। ইহার অনেক কারণ আছে। প্রথম, দোষশান্য মনষ্যে জন্মে না; যিনি বহাগণবিশিষ্ট, তাঁহার দোষগলি, গণসান্নিধ্য হেতু, কিছ অধিকতর স্পষ্ট হয়, সতরাং লোকে তৎকীৰ্ত্তনে প্রবত্ত হয়। দ্বিতীয, গণের সঙ্গে দোষের চিরবিরোধ, দোষযক্তি ব্যক্তিগণ গণেশালী ব্যক্তির সতরাং শত্র হইযা পড়ে। তৃতীয়, কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবত্ত হইলে কায্যের গতিকে অনেক শত্র হয়; শত্ৰগণ অন্য প্রকারে শত্রতা সাধনে অসমৰ্থ হইলে নিন্দার দ্বারা শত্ৰতা সাধে। চতুৰ্থ, অনেক মনষ্যের সর্বভাবই এই প্রশংসা অপেক্ষা নিন্দা করিতে ও শনিতে ভালবাসে; সামান্য ব্যক্তির নিন্দার অপেক্ষ যশস্বী ব্যক্তির নিন্দা বক্তা ও শ্রোতার সখদায়ক। পঞ্চম, ঈষা মনয্যের স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম ; অনেকে পরের যশে b?R&