পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ গপ্তের কবিতাসংগ্ৰহ-ভূমিকা লোকান্তরগমনে আমরা অপৰ্যাপ্ত শোকসাগরে নিমগ্ন হইযা এককালীন সাহস এবং অন্যরাগশনে। হইলাম। তাহাতে প্রভাকর কারের অনাদরীরপ মেঘাচ্ছন্ন হওন জন্য এই প্রভাকর কর প্রচ্ছন্ন করিয়া কিছ দিন গগুপ্তভাবে গপ্ত হইলেন।" প্রভাকব সম্পাদন দ্বারা ঈশ্বরচন্দ্ৰ সাধারণ্যে খ্যাতি লাভ কবেন। তাঁহার বা বিত্ব এবং বাচনাশক্তি দর্শনে আন্দলের জমীদার বাবা জগন্নাথপ্রসাদ মল্লিক, ১২৩৯ সালের ১০ শ্রাবণে “সংবাদ রত্নাবলী”। প্রকাশ করেন। ঈশ্বরচন্দ্র সেই পত্রেব সম্পাদক হয়েন। ১২৫৯ সালের ১লা বৈশাখের প্রভাকরে ঈশ্বরচন্দ্র বাঙ্গালা সংবাদপত্ৰসমহের যে ইতিবত্ত প্রকাশ করেন, তন্মধ্যে এই রত্নাবলী সম্পবন্ধে লিখিয়া গিয়াছেন, “বাবা জগন্নাথপ্রসাদ মল্লিক মহাশয়ের আনকল্যে মেছয়াবাজারের অন্তঃপাতী বাঁশতলাব গলিতে ‘সংবাদ বর্ষাবলী" আবিভূতি হইল। মহেশচন্দ্র পাল এই পত্রের নামধারী সম্পাদক ছিলেন। তাহাব কহু মাত্র রচনাশক্তি ছিল না। প্রথমে ইহার লিপিকাঘ্য আমরাই নিপন করিতাম। বস্তৃত্বাধিলা সাধাৰণ সমীপে সাতিশয় সমাদত হইয়াছিল। আমরা তৎকমে বিরত হইলে, রঙ্গপর ভূমধ্যকারী সভার পর্বতন সম্পাদক রাজনারায়ণ ভট্টাচাৰ্য্য সেই পদে নিযক্ত হয়েনি।" ঈশ্বরচন্দ্ৰেয়া অনজ রামচন্দ্র, ১২৬৬ সালের ১লা বৈশাখের প্রভাকরে লিখিশা গিয়াছেন, “ফলতঃ গািণাকর প্রভাকর কবি বহনকাল রত্নাবলীর সম্পাদকীয় কায্যে নিষিক্ত ছিলেন না, তাহা পরিত্যাগ কৰিয়া দক্ষিণ প্রদেশে শ্ৰীক্ষেত্ৰাদি তীৰ্থ দর্শনে গমন কবিসা, কটকে পবম পজিন'ম শ্ৰীষক্ত শ্যামমোহন রায় পিতৃব্য মহাশয়ের সদনে কিছ দিন অবস্থান কবিয়া, একজন অতি সপন্ডিত দন্ডীর নিকট তন্ত্ৰাদি অধ্যযন কবেন। এবং তাহার কিয়দংশ বঙ্গভাযান্য সামিলট কবিতায় অনাবাদও করিয়াছিলেন।" ১২৪৩ সালের বৈশাখ মাসে ঈশ্বরচন্দ্র কঢক হহঁতে কলিকতাধ প্রত্যাগমন কী-বোন। তিনি। কলিকাতায় আসিযাই প্রভাকরের পািনঃ প্রচাব অনন্য চেণ্টিত হযেন । তাঁহার সে পাসনা ও সাং এল হয়। ১২৫৩ সালের ১লা বৈশাখের প্রভাকরে ঈশ্বরচন্দ্র, প্রভাকরের পকেবািবত্তান্ত প্রকাশ সত্রে লিখিয়া গিয়াছেন, “১২৪৩ সালের ২৭এ শ্রাবণ বধবার দিবসে এই প্রভাব রকে পনবার্তা বারব্ৰষিক রূপে প্রকাশ করি, তখন এই গারতের কম সম্পাদন কবিতে পারি, তােমাদিগে","ঙ্গ এমত সম্ভাবনা ছিল না। জগদীশ্বরকে চিন্তা কপি যা এতৎ অসমসাহসিক কমে প্রম, ও ৬, ৩ লে। পাতুরেঘাটানিবাসী সাধারণ-মঙ্গলাভিলাষী বাবা কানাইলাল ঠাকুর, এবং তদনজ পাব, গোপাললাল ঠাকুর মহাশয় যথাৰ্থ হিতকারী বন্ধর স্বভাবে ব্যযোপিযক্ত বহল বিত্ত প্ৰদান করিলেন, এবং অদ্যাবধি আমাদিগের আবশ্যক ক্ৰমে প্রার্থনা করিলে তাঁহােব সাধ্যমত উপকায় পরিতে এটি করেন না। এ কারণ আমরা উল্লিখিত ভ্ৰাতাদ্বয়ের পরোপকারিতা গণেব ঋণের নিমিও জীবনেন্স স্থায়িত্ব কাল পয্যন্ত দেহকে বন্ধক রাখিলাম।” অলপকালের মধ্যেই প্রভাকরের প্রভা আবার সমস্তজলে হঠয়া উঠে। নগৰ এনং গ্রাম্যপ্রদেশে বৈ সম্পন্দ্রান্ত জমীদার এবং কৃতবিদ্যগণ এই সময়ে ঈশ্বরচন্দ্রকে যথোিট সন্তাষত কবিতে থাকেন। কযেক বর্ষের মধ্যেই প্রভাকর এত দািব উন্নতি লাভ করে যে ঈশ্ববচন্দ্র ১২৪৬ সালেব ১লা আষাঢ় হইতে প্রভাকরকে প্রাত্যহিক পত্রে পরিণত করেন। ভারতবর্ষে বা দেশীয সংবাদপত্রের মপো এই প্রভাকরাই প্রথম প্রাত্যহিক । প্রভাকর প্রাত্যহিক হইলে, যে সকল ব্যক্তি লিপি সাহায্য এবং উৎসাহ দান “বেন। ঈশ্বরচন্দ্র ১২৫৪ সালের ২রা বৈশাখেব প্রভাকরে তাঁহাদিগের সম্পবন্ধে লিখিযা গসছেন, - “প্ৰভাকরের লেখকের সংখ্যা অনেক বদ্ধি হইয়াছে প্রভাকরের পণ্যাতন লেখকদিগের মধ্যে যে যে মহোদয় জীবিত আছেন, তাঁহাদের নাম নিম্নভাগে প্রকাশ ককিলাম :- শ্ৰীযক্ত প্রেমচাঁদ তর্কবাগীশ, রাধানাথ শিরোমণি গোরীশঙ্কর তর্কবাগীশ, বাবা, নীলরত্ন হালদার, গঙ্গাধর তকী বাগীশ, ব্ৰজমোহন সিংহ, গোপালকৃষ্ণ মিত্র, বিশ্বম্ভর পাইন, গোবিন্দচন্দ্র সেন, ধৰ্ম্মম দাস পালিত, বাব, কানাইলাল ঠাকুর, অক্ষয়কুমার দত্ত, নবীনচন্দ্র মখোপাধ্যায় উমেশচন্দ্র দত্ত, শ্ৰীশম্ভুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসন্নচন্দ্র ঘোষ রায রামলোচন ঘোষ বাহাদাব, হরিমোহন সেন, জগন্নাথপ্রসাদ মল্লিক।” “সীতানাথ ঘোষ, গণেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়, হরনাথ মিত্র, পাণচন্দ্ৰ ঘোষ, গোপালচন্দ্র দত্ত, শ্যামাচরণ বসা, উমানাথ চট্টোপাধ্যায়, শ্ৰীনাথ শীল, এবং শম্ভুনাথ bᎴ8Ꮼ