পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী কেহ তদুপ করিতে পারেন নাই। তবে ইহা বলা যাইতে পারে যে, সাহিত্য দেশের অবস্থা এবং জাতীয় চরিত্রের প্রতিবিম্ব মাত্র। যে সকল নিয়মানসারে দেশভেদে, রাজবিপ্লবের প্রকারভেদ, সমাজবিপ্লবের প্রকারভেদ, ধৰ্ম্মম বিপ্লবের প্রকারভেদ ঘটে, সাহিত্যের প্রকারভেদ সেই সকল কারণেই ঘটে। কোন কোন ইউরোপীয় গ্রন্থকার সাহিত্যের সঙ্গে সমাজের আভ্যন্তরিক সঙ্গবন্ধ বাবাইতে চেন্টা করিয়াছেন। বিকল ভিন্ন কেহ বিশেষরূপে পরিশ্রম করেন নাই, এবং হিতবাদ মতপ্রিয় বকল-এর সঙ্গে কাব্যসাহিত্যের সম্প্ৰবন্ধ কিছ অলপ। মনষ্যেচরিত্র হইতে ধৰ্ম্মম এবং নীতি মাছিয়া দিয়া, তিনি সমাজতত্ত্বের আলোচনায় প্রবত্ত। বিদেশ সম্পবন্ধে যাহা হউক, ভারতবর্ষ সম্পবন্ধে এ তত্ত্ব কেহ কখন উত্থাপন করিয়াছেন এমত আমাদের সমরণ হয় না। সংস্কৃত সাহিত্য সম্পবন্ধে মক্ষমলরের গ্রন্থ বহমাল্য বটে, কিন্তু প্রকৃত সাহিত্যের সঙ্গে সে গ্রন্থের সামান্য সম্প্ৰবন্ধ। ভারতবষীয় সাহিত্যের প্রকৃত গতি কি ? তাহা জানি না, কিন্তু তাহার গোটাকত স্থল স্থল চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রথম ভারতীয় আষ্যগণ আদিমবাসীদিগের সহিত বিবাদে ব্যস্ত; তখন ভারতবষীয়েরা অনায্যকুলপ্রমথনকারী ভীতিশােন্য, দিগন্তবিচােবী, বিজয়ী রীর জাতি। সেই জাতীয় চরিত্রের ফল। রামায়ণ। তার পর ভারতবর্ষের অনায্য শত্র সকল ক্ৰমে বিজিত, এবং দরপ্রস্থিত; ভারতবর্ষ আৰ্যগণের কার্যস্থ, আয়ত্ত, ভোগ্য, এবং মহা সমদ্ধিশালী। তখন আযাগণ বাহ্য শত্রর ভয় হইতে নিশ্চিন্ত, আভ্যন্তরিক সমদ্ধি সম্পাদনে সচেষ্ট্রট, হস্তগতা অনন্তরত্নপ্ৰসবিনী ভারতভুমি অংশীকরণে ব্যস্ত। যাহা সকলে জয় করিয়াছে, তাহা কে ভোগ করিবে ? এই প্রশেনর ফল আভ্যন্তরিক বিবাদ। তখন আৰ্য্য পৌরষ চরমে দাঁড়াইয়াছে।--অন্য শত্রর অভাবে সেই পৌরািষ পরস্পরের দমনাথ প্রকাশিত হইয়াছে। এই সময়ের কাব্য মহাভারত। বল যাহার, ভারত তাহার হইল। বহকালের রক্তবাল্টি শমিত হইল। স্থির হইয়া, উন্নতাপ্রকৃতি আৰ্যকুল শান্তিসমুখে মন দিলেন। দেশের ধন বৃদ্ধি, শ্ৰী বদ্ধি ও সভ্যতা বদ্ধি হইতে লাগিল। রোমক হইতে ব্যবদ্বীপ ও চৈনিক পৰ্যন্ত ভারতবর্ষের বাণিজ্য ছটিতে লাগিল; প্রতি নদীকালে অনন্তসৌধমালা শোভিত মহানগবী সকল মস্তক উত্তোলন করিতে লাগিল। ভাৰতবৰ্ষীয়েরা সখী হইলেন। সখী এবং কৃতী। এই সখি ও কৃতিত্বের ফল, কালিদাসাদির নাটক ও মহাকাব্য সকল। কিন্তু লক্ষী বা সরস্বতী কোথাও চিরস্থায়িনী নহেন ; উভয়েই চঞ্চলা। ভারতবর্ষ ধৰ্ম্মশঙ্খলে এরুপ নিবদ্ধ হইয়াছিল যে, সাহিত্যর সগ্ৰাহিণী শক্তিও তাহার বশীভুত হইল। প্রকৃতপ্রকৃত বোধ বিলপ্ত হইল। সাহিত্যও ধৰ্ম্মমনিকারিণী হইল। কেবল তাহাঁই নহে, বিচারশক্তি ধৰ্ম্মমমোহে বিকৃত হইয়াছিল-প্রকৃত ত্যাগ করিয়া অপ্রকৃত বামনা কবিতে লাগিল। ধৰ্ম্মমই তৃষ্ণা, ধৰ্ম্মমই আলোচনা, ধৰ্ম্মই সাহিত্যের বিষয়। এই ধৰ্ম্মমমোহের ফল পরাণ। ভারতবষীয়েরা শেষে আসিয়া এমন প্রদেশ অধিকার করিয়া বসতি স্থাপনা করিয়াছিলেন যে, তথাকার জলবায়ার গণে তাঁহাদিগের স্বাভাবিক তেজোলগুপ্ত হইতে লাগিল। তথাকার তাপ। অসহ্য, বায় জলবাঙ্পপণ্য, ভূমি নিম্পনা এবং উঝবরা, এবং তাহার উৎপাদ্য অসার, তেজোহানিকারক ধান্য। সেখানে আসিয়া আৰ্য্যতেজঃ অন্তহিত হইতে লাগিল, আৰ্য্যপ্রকৃতি কোমলতাময়ী আলস্যের বশবত্তি নী, এবং গহসখাভিলাষিণী হইতে লাগিল। সকলেই বঝিতে পারিতেছেন যে, আমরা বাঙ্গালার পরিচয় দিতেছি। এই উচ্চাভিলাষশন্য, অলস, নিশ্চেন্ট, গহসখপরায়ণ চরিত্রের অন্যাকরণে এক বিচিত্র গীতিকাব্য সন্ট হইল। সেই গীতিকাব্যও উচ্চাভিলাষশন্য, অলস, ভোগাসক্ত, গহসখপরায়ণ। সে কাব্যপ্রণালী অতিশয় কোমলতাপািণ, অতি সমধর দম্পতিপ্ৰণয়ের শেষ পরিচয়। অন্য সকল প্রকারের সাহিত্যকে পশ্চাতে ফেলিয়া, এই জাতিচরিত্রানকারী গীতিকাব্য সাত আট শত বৎসর পয্যন্ত, বঙ্গদেশের জাতীয় সাহিত্যের পদে দাঁড়াইয়াছে। এই জন্য গীতিকাব্যের এত বাহল্য। বঙ্গীয় গীতিকাব্য-লেখকদিগকে দই দলে বিভক্ত করা যাইভে পারে। এক দল, প্রাকৃতিক শোভার মধ্যে মনীষাকে স্থাপিত করিয়া, তৎপ্রতি দন্টি কবেন; আর এক দল, বাহ্য প্রকৃতিকে দরে রাখিয়া কেবল মনষাহাদয়কেই দণ্টি করেন। এক দল মানবহৃদয়ের সন্ধানে প্রবত্ত হইয়া বাহ্য প্রকৃতিকে দীপা করিয়া, তদালোকে অন্বেষ্য বিষ্ণুকে দীপ্ত এবং প্রসফট করেন; আর এক দল, আপনাদিগের প্রতিভাতেই সকল উক্তজবল করেন, অথবা মনষ্যচরিত্র-খনিতে যে রত্ন মিলে, তাহার দীপ্তির জন্য অন্য দীপের আবশ্যক নাই, বিবেচনা করেন। প্রথম শ্রেণীর প্রধান জয়দেব, দ্বিতীয় LBBuB BBB DDDDBDSSYBBBDDDD BDDDBBDS DBBLBBB BBDuD DDDS DBDBBBDDS DDDBBD bሃbዖ፳፡