পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकि ब्रष्नाबळ করিতে থাকে। বর্ভূক্ষ্য পিপীলিকা জাতি তদাপরি বিহার করিতে থাকে। এবং পরিশেষে BBDBB BB DBB BDBDDD DDDS DDDS DBDBD DBBB D BBDD DDD DDDBD দেয়;--হেম বাবা, রবীন্দুবাব, নবীন বাবর কবিতা, দ্বিজেন্দ্র বাবা, যোগেন্দ্র বাবর দশনশাস্ত্র; বঙ্কিম বাবার উপন্যাস, চন্দ্ৰ বাবার সমালোচনা, কালীপ্রসন্ন বাবর চিন্তা সত্রেবদ্ধ হইয়া পবনপথে উত্থানপৰিবাক বালকমশন্ডলীর নয়নানন্দ বদ্ধন করিতে থাকে। আর যে খন্ড সৌভাগ্যশালী হইয়া অন্তঃপারমধ্যে প্রবেশ করিল, তাহার ত কথাই নাই। উনান ধরান, মশলা বাঁধা, মোছা, মাজা, ঘষা প্রভৃতি নানাবিধ সাংসারিক কায্যে নিযক্ত হইয়া, সে পত্র নিজ সাময়িক জীবন চরিতাৰ্থ করে। এমন হইতে পারে যে, ইহা সাময়িক পত্রের পক্ষে সদ্গতি বটে, এবং ছয় ফক্ষমার স্থানে তিন ফমমরি আদেশ করিয়া “প্রচার’ যে গত্যন্তর প্রাপ্ত হইবেন, এমন বোধ হয় না; গতান্তরও বেণের দোকান ভিন্ন আর কিছ দেখা যায় না। তবে তিন ফৰ্ম্মমায় এই ভরসা করা যাইতে পারে যে, ছেলের ঘড়ী হইবার আগে, বাপের পড়া হইতে পারে; এবং পাকশালের কাৰ্য্যনিৰ্ব্ববাহে প্রেরিত হইবার পাবেবী গহিণীদিগের সহিত প্রচারের কিছু সদালাপ হইতে পারে। তারপর টাকার কথা। বৎসরে তিন টাকা অতি অলপ টাকা-অথচ সাময়িক পত্রের অধিকারী ও কাৰ্য্যাধ্যক্ষগণের নিকট শনিতে পাই যে, তাহাও আদায় হয় না। সাহিত্যােনরোগী বাঙ্গালীরা যে সর্বভাবতঃ শঠ বর্ণগুক এবং প্রতারক, ইচ্ছাপবেক সাময়িক পত্রের মাল্য ফাঁকি দেন, ইহা আমাদিগের বিশ্বাস হয় না, সতরাং আমরা ইহাই সিদ্ধান্ত করিযাছি যে, তিন টাকাও সাধারণ বাঙ্গালী পাঠকের ক্ষমতাতীত। সকলের তিন টাকা জোটে না, এই জন্য দেন না, দিতে পারেন। না বলিয়াই দেন না। খাঁহারা তিন টাকা দিতে পাবেন না, তাহারা দেড় টাকা দিতে পরিবেন। এমত বিবেচনা করিয়া, আমরা এই নাতন সামষিক পত্র প্রকাশ করিলাম। অনেকে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, যদি লোক পড়েই না, টাকাই দেয না, তবে এত ভস্মরাশির উপর আবার এ নতন ছাইমঠা ঢালিবার প্রযোজন কি ? সাময়িক সাহিত্য যদি আমরা ছাই ভসেমর মধ্যে গণনা করিতাম, তাহা হইলে অবশ্য আমবা এ কায্যে হাত দিতাম না। আমাদের বিবেচনায় সভ্যতা-বিদ্ধির এবং জ্ঞানবিস্তারের সামযিক সাহিত্য একটি প্রধান উপষি। যে সকল জ্ঞানগভ এবং মনষ্যের উন্নতিসাধক তত্ত্ব, দন্ডপ্রাপৰ দৰ্ব্বোধ্য এবং বহর পরিশ্রমে অধ্যয়নীয় গ্রন্থ সকলে সাগর-গভর্ণ-নিহিত রত্বের ন্যান্য লক্কাযিত থাকে, তাহা সাময়িক সাহিত্যের সাহায্যে সাধারণ সমীপে অনায়াসলভ্য হইযা সপরিচিত হয। এমন কি, সাময়িক পত্র যদি যথাবিধি সম্পাদিত হয়, তাহা হইলে সাময়িক পত্রের সাধারণ পাঠকের অন্য কোন গ্রন্থ পড়িবার বিশেষ প্রযোজন থাকে না। আর সাময়িক পত্রের সমকালিক লেখক ও ভাবকদিগের মনে যে সকল নতন তত্ত্ব আবিভূতি হয়, তাহ সমাজে প্রচারিত করিবার সাময়িক পত্ৰই সব্বোৎকৃষ্ট উপায়। তাহা না থাকিলে লেখক ও ভাবকদিগকে প্রত্যেকে এক একখানি নািতন গ্রন্থ প্রচার করিতে হয। বহ সংখ্যক গ্রন্থ সাধারণ পাঠক কর্তৃক সংগহীত এবং অধীত হইবার সম্ভাবনা নাই। অতএব সাময়িক পত্ৰই প্রাচীন জ্ঞান এবং নাতন ভােব উভষ প্রচারপক্ষেই সব্বোৎকৃষ্ট উপায়। এই জন্যেই আমরা সৰ্ব্ব-সাধারণ-সলভ সাময়িক পত্রের প্রচারে ব্ৰতী হইয়াছি। আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয় যে, এই সময়ে, “নবজীবন” নামে অত্যুৎকৃষ্ণটি উচ্চাদরের সাময়িক পত্রের প্রকাশ আরম্ভ হইয়াছে। আমরা সেই মহােদশটান্তের অনগামী হইয়া এই ব্ৰত পালন করিতে যত্ন করিব । ‘সত্য, ধৰ্ম্ম এবং ‘আনন্দের প্রচারের জন্যই আমরা এই সলভ পত্ৰ প্রচার করিলাম এবং সেই জন্যই ইহার নাম দিলাম ‘প্রচাৱা।” যখন সব্বসাধারণের জন্য আমরা পত্র প্রচার করিতেছি, তখন অবশ্য ইহা অামাদিগের উদ্দেশ্য যে, প্রচারের প্রবন্ধগলি সব্বসাধারণের বোধগম্য হয। আমাদিগের পদবীবিত্তীর্ণ সম্পাদকেরা এ বিষয়ে কত দর মনোযোগী হইয়াছিলেন, তাহা বলিতে পারি না-আমাদের এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ থাকিবে ইহা বলিতে পারি। কাজটি কঠিন, কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিব, এমন ভরসা। অতি অলপ। তবে সাধারণপাঠ্য বলিয়া আমরা বালকপাঠ্য প্রবন্ধ ইহাতে সন্নিবেশিত করিব না। ভরসা করি, প্রচারে যাহা প্রকাশিত হইবে, তাহা অপশিডত ও পশিডত উভয়েরই আলোচনীয় হইবে। অনেকের বিশ্বাস আছে যে, যাহা অকৃতবিদ্য ব্যক্তি পড়িবে বা বঝিবে বা শনিবে, তাহা পণ্ডিতের পঢ়িবার বা বঝিবার বা শনিবার যোগ্য নয়। আমাদিগের এ বিষয়ে অনেক সংশয় আছে। আমরা দেখিয়াছি, মহাভারতের ব্যাখ্যা পণ্ডিতে ও মাখোঁ তুল্য মনোভিনিবেশপৰ্ম্মেক 为母总,