পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बल्किम ब्रध्नावली প্রস্তুত নাহি। তবে সমদ্রযাত্রা সম্পবন্ধে যে আন্দোলন উপস্থিত, তৎসম্পবন্ধে দই একটা কথা বলিবার আমার আপত্তি নাই। প্রথমতঃ-শাস্ত্রের দোহাই দিয়া কোন প্রকার সমাজ সংস্কার যে সম্পন্ন হইতে পারে, অথবা সম্পন্ন করা উচিত, আমি এমন বিশ্বাস করি না। যখন মত মহাত্মা ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় বহবিবাহ নিবারণ জন্য শাস্ত্রের সাহায্য গ্রহণ করিয়া আন্দোলন উপস্থিত করিয়াছিলেন, তখনও আমি এই আপত্তি করিয়াছিলাম, এবং এখনও পৰ্য্যন্ত সে মত পরিবত্তন করার কোন কারণ আমি দেখি নাই। আমার এরপ বিবেচনা করিবার দাইটী। কারণ আছে। প্রথম এই যে, বাঙ্গালী সমাজ শাস্ত্ৰে বশীভুত নহে, --দেশাচার বা লোকাচারের বশীভুত। সত্য বটে যে, অনেক সময়ে লোকাচার শাস্ত্রনযায়ী, কিন্তু অনেক সমযে দেখা যায় যে, লোকাচার শাস্ত্রবিরদ্ধ। যেখানে লোকাচার এবং শাস্ত্রে বিরোধ, সেখানে লোকাচা মই প্রবল । উপরিউক্ত বিশ্বাসের দ্বিতীয় কারণ এই যে, সমাজ সব্বত্র শাস্ত্রের বিধানানসারে চলিলে, অন্যসন্ধান দ্বারা বাহির করিয়া, সমাজকে তদনসারে চলিতে পরামর্শ দিতে ইচ্ছা কবিতেছেন; কিন্তু সকল বিষয়েই কি সমাজকে শাস্ত্রের বিধানানসারে চালিতে শালতে সাহস করবেন ? ধৰ্ম্মম: শাস্ত্রের একটি বিধি এই, ব্রাহ্মণাদি শ্রেষ্ঠ বণের পবিচৰ্য্যাই শদ্রের ধৰ্ম্ম । বাঙ্গালার শদ্রেরা কি সেই ধৰ্ম্মমাবলম্বী : শাস্ত্রের ব্যাপস্থা এখানে চলে না। আপনারা কেহ চালাইতে সাহসী হয়েন কি ? চেন্টা করিলেও এ ব্যবসা চালান যান্য কি ? হাইকোর্টের শব্দ্র জজ জািজয়তি ছাড়িয়া, বা সৌভাগ্যশালী শব্দ্র জমিদার জমিদারের আসন ছাড়িয়া, ধৰ্ম্মশাস্ত্রের গৌরবার্থ লচিভাজা ব্ৰাহ্মণের পদ সেবায় নিযক্ত হইবেন কি ? কোন মতেই না। বাঙ্গালী সমাজ, প্রযোজন মতে ধৰ্ম্মম: শাস্ত্রের কিমাদংশ মানে , প্রযোজন ম৩ে অবশিস্টাংশ অনেক-কাল বিসঙ্গজনি দিয়াছে। এবং সেইরােপ প্রযোজন বঝিলে, অবশি টাংশ বিসউজনি দিলো। এমন স্থলে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের ব্যবস্থা খ৩িযা কি ফল ? আমার নিজের বিশ্বাস যে ধৰ্ম্মম সম্বন্ধে এবং নীতি সম্বন্ধে সামাজিক firi, (Religious and moral regenelation in Sai. (...'s Ya (2 (CCNS দোহাই দিয়া, সামাজিক প্রথা বিশেষ পরিবত্তন করা যায না। আমার প্রণীত কৃষ্ণ-চরিত্র বিষষক গ্রন্থে, ইহা আমি সবিস্তালে বঝাইয়াছি। আমি উপবে বলিয়ছি যে সমাজ দেশাচারের অধীন, -শাস্ত্রের অধীন নহে। এই দেশাচার পরিবত্ত ন জন্য ধৰ্ম্মম সম্পবিন্ধীয় এবং নাতি সক্ষবন্ধীয় সাধারণ উন্নতি ভিন্ন উপাসান্তর নাই। এই সাধারণ উন্নতি কিষাৎ পৰিমাণে ঘটিকাছে ব’ল এই আন্দোলন উপস্থিত হইযাছে। এই উন্নতি ক্রমশঃ বদ্ধি পাইলে সমদ্রযাত্রায় সমাজের কাহারও কোন আপত্তি থাকিবে না, কাহারও আপত্তি থাকিলেও সে আপত্তির কোন বল থাকিবে না। কিন্ত যতদিন না। সেই উন্নতিব উপযক্ত মাত্রা পবিপণ হয়, ততদিন কেহই সমদ্রযাত্রা সাধারণে প্রচলিত করিতে পরিবেন না। তবে ইহাও বক্তব্য যে, সমদ্রযাত্রার পক্ষে বাঙ্গালী সমাজ বৰ্ত্তমান সময়ে কতদার বিরোধী, তাহা এখন আমাদের কাহারও ঠিক জানা নাই। দেখিতে পাই যে, যাঁহাব অর্থ ও আংস্থা সমদ্র যাত্রার অনকালে, তিনিই ইচ্ছা করিলে ইউবোপ যাইতেছেন। সমদ্রযাত্রা শাস্ত্রনিষিদ্ধ বলিয়া কেহ কেহ যে যান নাই, ইহা আমাব দন্টিগোচরে কখনও আসে নাই। তবে ইহা স্বীকার কয়িতে আমি বাধ্য যে, যাঁহারা ইউরোপ হইতে ফিরিয়া আসেন, তাঁহাদের মধ্যে অনেকেই এক প্রকার সমাজ হইতে বহিস্কৃত হইয়া আছেন, কিন্তু তাঁহাদের দোষে কি আমাদের দোষে, তাহা ঠিক বলা যায় না। তাঁহারা এ দেশে আসিয়াই সাহেব সাজিয়া ইচ্ছাপাকবািক বাঙ্গালী সমাজের বাহিরে অবস্থিতি করেন। বিদেশীয় পরিচ্ছদ, বিদেশীয় ভোজন প্রথা এবং বিদেশীয় ব্যবহার দ্বারা আপনাদিগকে পথক রাখেন। যাঁহারা ইউরোপ হইতে আসিয়া সেরাপ আচরণ না করিয়াছেন, তাঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ অনায়াসে হিন্দসমাজে পােনশ্চিমলিত হইয়াছেন। ব্যবহার করিলে, সাধারণতঃ তাঁহারা যে পরিত্যক্ত হইবেন, একথা নিশ্চিত করিয়া বলা या का । পরিশেষে আমার এই বক্তব্য, সমদ্রযাত্রা হিন্দীদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্রানমোদিত কি না, তাহা বিচার করিবার আগে দেখিতে হয় যে, ইহা ধৰ্ম্মমােন মোদিত কি না? যাহা ধৰ্ম্ম নমোদিত, 为总曾