পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী রাজ। আমারও ঐ কথা । দস্য। উইল পাব কোথায় ? রাজ। আমায় কি দিবে বল ? দস্যু। তুমিই বল না। রাজ। পাঁচ শত খানি দিও; তোমরা পাবে ঢের, দিলেই বা। দস্য। এটা বড় জিয়াদা হইতেছে; আমরা মোটে দই হাজার দক্ষিণা পাইব, তার মধ্যে সিকি দিই কেমন করে। রাজ । তোমাদের ইচ্ছা। দস্য। পানন্দবার চিন্তা করিয়া কহিল, “আচ্ছা, তাই সই ; আমার ঢের কােজ আছে, আমি কাগজ হাঁটকিয়া বেড়াইলে চলিবে না। নয়ত কোনও ছোঁড়া ফোঁড়ার হাতে পড়িবে, আর পড়াইয়া ফেলিবে-পাঁচ শতই দেব।” রাজ। মাধবের শইবার খাটের শিয়রে একটা নািতন দেরাজ আলমারি আছে; তাহার সব নীচের দেরাজের ভিতর একটা বিলিতী টিনের ছোট বাকাসতে উইল, কবালা, খত ইত্যাদি রাখিয়া থাকে; আমার গোপন খবর জানা আছে। দস্য। ভাল কথা; যদি এ লেঠা চুকিল, তবে চল জটি গিয়া। কৰ্ম্মম হইয়া গেলে যেখানে আসিয়া তোমার সঙ্গে দেখা করিব, তাহা সকলে থেকে স্থির করা যাইবে। এস, আর দেরি করে কােজ নেই; চাঁদনি ডুবিলে কম হবে-এখনকার রাত ছোট । এই কহিয়া উভয়ে ধীরে ধীরে গাহের ছায়াবরণ হইতে বনের দিকে প্রস্থান করিল। মাতঙ্গিনী বিস্মিত ও ভীতি-বিহবলা হইযা ভূতলে বসিয়া পড়িলেন। নবম পরিচ্ছেদ মাতঙ্গিনী অন্তরালে থাকিয়া তাবৎ শনিয়াছিলেন। এই বিষম কু-সঙ্কলপকারিদিগের মািখনিগতি যতগলিন শব্দ তাঁহার কর্ণকুহরে প্রবিদ্ট হইয়াছিল, ততগলি বজ্ৰাঘাত তাঁহার বোধ হইয়াছে। যতক্ষণ না কথোপকথন সমাপ্ত হইয়াছিল, ততক্ষণ বসন্ত-বাতাহত অশ্বখ পত্রের ন্যায় তাঁহার ভীতি-কম্পিত তন, কোন মতে দণ্ডডায়মান ছিল; কিন্তু কথা সমাপ্তি হইবামাত্র মাতঙ্গিনী আত্ম-বিবাশা হইয়া ভূতলে বসিয়া পড়িলেন। প্রথমতঃ কিয়ৎক্ষণ হ্রাস ও উৎকট মানসিক যন্ত্রণার আধিক্য প্রযক্ত বিমাঢ়া হইয়া রহিলেন; ক্ৰমে মনঃস্থির হইলে দৈব-প্রকাশিত এই বিষম ব্যাপার মনোমধ্যে পরিচালনা করিতে লাগিলেন। এ পর্য্যন্ত তিনি নিজ ভক্তাকে সম্পণেরপে চিনিতেন না ; আজ তাঁহার চক্ষরন্মেীলিত হইল। চক্ষরমীলনে যে কারাল মাত্তি দেখিলেন, তাহাতে মাতঙ্গিনীর শরীর রোমাঞ্চিত হইল। এ পৰ্যন্ত মনে ভাবিতেন যে, বিধাতা তাঁহাকে ক্ৰোধ-পরবশ দনীতি ব্যক্তির পাণিগাঁহতী করিয়াছেন ; আজ জানিলেন যে, তিনি দস্যপত্নী-দস্য তাঁহার হৃদয়-বিহারী। জানিয়াই বা কি ? দস্যু-সপশ হইতে পলাইবার উপায় আছে কি ? সত্ৰী-জাতি-পতিসেবাপরায়ণা দাসী-পতিত্যাগের শক্তি কোথায় ? চিরদিন দস্যপদে দেহ-রত্ন অপিত হইবেগরলোদ্গীণ মান বিষধর হৃদয়-পথে আসীন থাকিবে, পাছে সে আন্দোলনে আসনচ্যুত হয় বলিয়া কখন দীঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিতে পরিবে না। ইহা অপেক্ষা আর কি ভয়ঙ্কর ললাট-লিপি বিধাতার লেখনী হইতে নিগতি হইতে পারে ? মাতঙ্গিনী ক্ষণেক কাল এইরােপ চিন্তা করিলেন: পরীক্ষণেই যে দস্যদল-সঙ্কলিত দারণপ্ৰমাদ ঘটনা হইবে তাহাই মনোমধ্যে প্রখর তেজে প্রদীপ্ত হইতে লাগিল। আর কাহারই বা এই সৰুবনাশ ঘটনা হইবে ? হেমাঙ্গিনীর সব্বনাশ, মাধবের সব্বনাশ! মাতঙ্গিনীর শরীর বোমাণ্ড কপটকিত-শোণিত শীতল হইতে লাগিল, মস্তক বিঘিণিত হইতে লাগিল। যখন ভাবিলেন। ষে, যে প্রিয় সহোদরা এক্ষণে এই নিজজন নিশীথে হৃদয়বল্লাভের কণঠলগ্না হইয়া নিশিচন্ত মনে সষপ্তি সখান ভব করিতেছে, সে মনেও জানে না যে, দারিদ্র্যরাক্ষসী তাহার পশ্চাতে মািখব্যাদান করিয়া রহিয়াছে, এখনই গ্রাস করিবে; হয়ত ধনহানির সঙ্গে মানহানি, প্রাণহানি পৰ্যন্ত হইবে, DBBD BDDDuu D DBBBD DBBBB DBD DDDBDD DBD DBDDuB DBBS DD DDB SONO