পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেলেন-আর মেকলে রেটরিকের* পণ্যম লাগাইয়া জিতিয়া গেলেন। ভারতচন্দ্ৰ আদিরস পশ্চিমে ধরিয়া জিতিয়া গিয়াছেন-কবিকঙ্কণের ঋষভম্বর কে শৰনে ? দেখ, লোকের বন্ধ পিতা-মাতার বেসরো বকাবিকিতে কোন ফল দশ্যে ? আর যখন বাবার গহিণী বাবার সাের বধিয়া দিবার জন্য বাবার কােণ টিপিয়া ধরিয়া পশ্চমে গলার আওয়াজ দেন, তখন বাবা পিডুিং-পিড়িং বলেন, কি না ? তবে তোমার সবরকে পঞ্চম সবের কেন বলে, তাহা বঝি না। যাহা মিস্ট তাহাই পঞ্চম ? দাইটি পশ্চিম মিস্ট বটে,-সারের পশ্চিম, আর আলতাপরা ছোট পায়ের গাজরী পঞ্চম। তবে, সাের, পশ্চিমে উঠিলেই মিন্ট; পায়ের পঞ্চম, পা হইতে নামাইলেই মিন্ট। , কোন সম্বর পশ্চিম, কোন সবার সপ্তম, কে মধ্যম, কে গান্ধার, আমাকে কে বঝাইয়া দিবে? এটি হাতীর ডাক, ওটি ঘোড়ার ডাক, সেটি ময়রের কেকা, ওটি বানরের কিচিমিচি, এ বলিলে ত কিছ বঝিতে পারি না। আমি আফিংখোর-বেসরো শনি, বেসরো বঝি, বেসরো লিখিধৈবত গান্ধার নিষাদ পশ্চমের কি ধার ধারি? যদি কেহ পাখোয়াজ তানপীরা দাড়ি দাঁত লইয়া আমাকে সপ্ত সাের বাবাইতে আসে, তবে তাহার গড়জন শনিয়া মঙ্গলা গাইয়ের সদ্যপ্রসন্ত বৎসের ধবনি আমার মনে পড়ে—তাহার পীতাবশিষ্ট নিজল দন্ধের অন্যধ্যানে মন ব্যস্ত হয়সর বাবা হয় না। আমি গায়কের নিকট কৃতজ্ঞ হইয়া তাঁহাকে কায়মনোবাক্যে আশীব্বাদ করি, যেন তিনি জলমান্তরে মঙ্গলার বৎস হন। এখন আয়, পাখী! তোতে আমাতে একবার পশ্চিম গাই। তুইও যে, আমিও সে-সমান দঃখের দঃখী, সমান সখের সখী।। তুই এই পক্ষপকাননে, বক্ষে বক্ষে আপনার আনন্দে গাইয়া বেড়াসাঁ-আমিও এই সংসার-কাননে, গহে গাহে, আপনার আনন্দে এই দপ্তর লিখিয়া বেড়াই-আয়, ভাই, তোতে আমাতে মিলে মিশে পঞ্চম গাই। তোরও কেহ নাই-আনন্দ আছে, আমারও কেহ নাই-আনন্দ আছে। তোর পজিপাটা ঐ গলা; আমার পজিপাটা। এই আফিঙ্গের ডেলা; তুই এ সংসারে পঞ্চম স্বর ভালবাসিস-আমিও তাই ; তুই পঞ্চম সত্বরে কারে ডাকিস ? আমিই বা কারে ? বলা দেখি, পাখী, কারে ? যে সন্দর, তাকেই ডাকি; যে ভাল তাকেই ডাকি। যে আমার ডাক শানে, তাকেই ডাকি । এই যে আশ্চৰ্য্য ব্ৰহ্মান্ড দেখিয়া কিছই বঝিতে না পারিয়া বিস্মিত হইয়া আছি, ইহাকেই ডাকি। এই অনন্ত সন্দের জগৎ-শরীরে যিনি আত্মা, তাঁহাকে ডাকি। আমিও ডাকি, তুইও ডাকিস। DDD DDSDD DDD DBDBS BB BBBS BBD DBS BDDBB BDS DDDB DD BDS DBB ডাক পৌছিবে, আমারও ডাক পৌছিবে। যদি সব্বশব্দগ্রাহী কোন কণা থাকে, তবে তোর আমার ডাক পোঁছবে না কেন ? আয়, ভাই, একবার মিলে মিশে দাই জনে পঞ্চম-স্বরে ডাকি। তবে, কুহকরবে। সাধা গলায়, কোকিল একবার ডাক দেখি রে! কন্ঠ নাই বলিয়া আমার মনের কথা কখন বলিতে পাইলাম না। যদি তোর ও ভুবন-ভুলান সবের পাইতাম, তা বলিতাম। তুই আমার সেই মনের কথা প্রকাশ করিয়া দিয়া এই পৰম্পময় কুঞ্জবনে একবার ডাক দেখি রে! কি কথাটি বলিব বলিব মনে করি, বলিতে জানি না, সেই কথাটি তুই বলা দেখি রে! কমলাকান্তের মনের কথা, এ জন্মে বলা হইল না-যদি কোকিলের কণ্ঠ পাই-অমানষিী ভাষা পাই, আর নক্ষত্রদিগকে শ্রোতা পাই, তবে মনের কথা বলি। ঐ নীলাম্বরমধ্যে প্রবেশ করিয়া, ঐ নক্ষত্রমন্ডলীমধ্যে উড়িয়া, কখন কি কুহ বলিয়া ডাকিতে পাইব না? আমি না পাই, তুই কোকিল আমার হয়ে একবার ডাক দেখি রে ? শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তীর্ণ অল্টম সংখ্যা-পত্রীলোকের রূপ অনেক ভামিনী রাপের গৌরবে পা মাটিতে দেন না। ভাবেন, যে দিক দিয়া অঙ্গ দোলাইয়া চলিয়া যান, লাবণ্যের তরঙ্গে সে দিকের সংজ্ঞা ডুবিয়া যায়; নািতন জগতের সন্টি হয়। তাঁহারা মনে করেন, তাঁহাদের রাপের ঝড় যে দিকে বয়, সে দিকে সকলের ধৈৰ্য্য-চালা উড়িয়া যায়, ধৰ্ম্মকোটা ভাঙ্গিয়া পড়ে; যখন পরিষের মন-চড়ায় তাঁহাদের রূপের বান ডাকে, তখন তাঁহাদের an

  • अक्षया ।

Vâề