बभ्का ब्रष्माबङौ উদর পরিপরণ করেন, নাহিলে নবধা কুললক্ষণ উক্তজবল হয় না। বড় বড় অধ্যাপক আচাৰ্য্য গ্রামীয়া ভিক্ষা করেন, নাহলে পরকালের কাজ হয় না। তাঁহার একান্ত পারহিতৈষী সন্দেহ নািহ । কে ভিক্ষা না করে ? আমাদের দেশে সকলেই ভিক্ষা করে, কেবল ভিক্ষক বিশেষে আর ভিক্ষার সময় বিশেষে, ভিক্ষার বিশেষ বিশেষ নাম আছে মাত্র। জমীদামের ভিক্ষার নাম মাঙ্গন, তাঁহাদের অনচরদিগের ভিক্ষার নাম পাকবাণী, ভব-পারাবারের ত্রাণকত্তা গরীবগের ভিক্ষার নাম প্ৰণামী, আত্মীয় সমতুল্য ব্যক্তির ভিক্ষার নাম বিদায়। বরযাত্রীর ভিক্ষার নাম গণ, বরের বাপের ভিক্ষার নাম পণ, যে গ্রামে বিবাহ সে গ্রামের ভদ্রলোকদিগের ভিক্ষার নাম ডেলাভাঙ্গানি, আর তাহদের যাবতীদিগের-অবলাবালাদিগের ভিক্ষার নাম-সেজতোলানি। নাছোড়বন্ধ ব্ৰাহ্মণ ভিখারীর ভিক্ষার নাম বার্ষিক। সাঁহার বাড়ীতে ঠাকুরদেবতা আছেন, তাঁহার ভিক্ষার নাম দশানী। রাজরাজড়ার ভিক্ষার নাম নজর; কেবল অন্ধ খঞ্জ দীন দঃখীব ভিক্ষার নাম ভিক্ষা। না হবেই বা কেন ? তাহারা যে পরের ধন চাহিয়া লইবার বাসনা করে, তাহদের এত বড় যোগ্যতা ! ভিক্ষা আমাদের সংস্কার। সকল জাতির একটা একটা বিশেষ সংস্কার থাকে ; আমাদের সংস্কার ভিক্ষা। জন্মগ্রহণ করিয়াই ভিক্ষা পাই, তবে বলি যৌতুক। তার পর অন্নপ্রাশন; অন্নপ্রাশনেও যৌতুক। ব্রাহ্মণের তার পর উপনয়ন, উপনয়নে ভিক্ষার ঝলি কাঁধে না করিলে ব্রাহ্মণ হয় না। পরে বিবাহ, তখন সোণায় সোহাগা, নববধাের চাঁদমখে দেখাইয়া ভিক্ষা লই। শেষ মাতু্য; সে ব্যাপারটায় বড় বাঁধা বাঁধি-যম ছেড়ে দেয় না, সাতবাং পত্র গলায় কাচা বাঁধিয়া আমাদের জন্য ভিক্ষায় বাহির হয়। আমাদের চক্ষে ভিক্ষাবত্তির অপেক্ষা আর শ্রেণীঠ ব্যক্তি নাই। সেই জন্য আমাদের পতঙ্গাদেবতামধ্যে প্রধান- মহাদেবকে ভিখারী সাজাইয়াছি। আর বিষ্ণু বামন-অবতারে ভিক্ষা করিয়া ত্ৰিলোক রক্ষা করিলেন। এখনও কোন দেবমাত্তি দর্শন করিতে গেলে ঠাকুরকে পয়সাটি না দিলে দশন মঞ্জর হয় না। যখন বণ বিভাগ বদ্ধমতল হইল, তখন ইতর বণ ইতর বত্তি অবলম্বন করিল ; যথা-বৈশো বাণিজ্য, ক্ষত্রিয়ে রাজত্ব, শ্লোিঠ বণ ব্রাহ্মণের বত্তিও শ্রেষ্ঠ হইল,— ? ভিক্ষাবত্তি অবলম্ববন করিলেন। অতএব ইহা স্থির যে, এ সংসারে ভিক্ষাই সার পদার্থ" । ভিক্ষায় আর এক সখি আছে,-আদায্যের সখি। খাতক, যদি আমার কােভজ শোধ না দেস, তবে মহাকািট; তাহার নামে নালিশ করিতে হয়। প্ৰভু যদি বেতন না দেয়। তবে আরও জঞ্জাল : উপায় নাই বলিলেই হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এমনই সনেীতি যে, ভিক্ষা আদায্যের নানা শাসন আছে। প্রজা যদি জমীদারকে ভিক্ষা না দেয়, জরিমানা করা-মিথ্যা নালিশ করা-চাল কাটিয়া উঠাইয়া দাও । শিষ্যযজমান যদি ব্ৰাহ্মণকে ভিক্ষা না দেয়, অভিসম্পাত কর –বেটার সবংশে নিববংশ দাও; তাহাতেও না দেয়, পইতা ছেড়ে—আর একটা পইতা কিনিয়া পরিও; ইচ্ছা হয় তেরাত্রি কর, পার যদি ত ল্যুকাইয়া লাকাইয়া কিছ কিছ. আহার করিও; উনানে পা পরিও, কিন্তু দেখো, উনানে যেন আগন না থাকে। আর যদি ব্ৰাহ্মণ না হইয়া জাতি-ভিখারী হও, তবে ধন্যবা দিও, মারে কাটে দ্বার ছেড়ো না। শ্রাদ্ধের সময় ভিক্ষা করিতে গেলে, যার শ্রাদ্ধ তার নরক দেখাইতে ভুলিও না। পশ্চিম দেশে আর একটা প্রথা আছে, সেইটা সৰ্ব্বাপেক্ষা ভূতাহার কােটা মারিয়া ভিক্ষা করে: পারভ দাতাকে প্রথমে সেইরূপ সমাদরাসচক অভ্যর্থনা v3 ব্ৰাহ্মণ-ভিখারী ! তোমাকে আরও দই একটা পরামর্শ দিবার আছে। তুমি ভিক্ষক-পাজ্য ব্যক্তি, যাহার দান লাইবে, তাহার সহিত একাসনে বসিও না-উচ্চাসনে বসিও ; সে ব্যক্তি দাতা বইত নয়, তোমার সমানসপদ্ধীি ? দাতার যদি সহজে মন না ভিজে, তাহার মাথায় শ্ৰীচরণ খানি তুলিয়া দিও; ইহাতে কোন ক্রমেই সঙ্কোচ করিও না। ভিখারীর পাদপদ্ম কখন কখন কাদা, গোবর ও বিষ্ঠায় পরিপািণ থাকে-তথাপি দাতার মাথায় সোণার কিরীটি থাকিলেও তাহার উপর পদ স্থাপন করিতে সঙ্কোচ করিও না। তাঁহাতে কায্যোদ্ধার না হয়। ভ্ৰভঙ্গী করিও-- ফিরিয়া দাঁড়াইও; আগে বলিও, “দেবে না কেন ? তাহাতেও না দেয়, অভিসম্পাত করিও; BBuBDD DBD DBB BDBBDSS BDBD DBS D DBS BB BDuuDuBB DDDD DDD SOSV