পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী বিজ্ঞান মহারসাশকট বাহনে, তড়িৎতার সঞ্চালনে, কামান সন্ধানে, অয়োগোলক বর্ষণে এই বীরপ্রস, ভারতভূমি হস্তামিলকবাং আয়ত্ত করিয়া শাসন করিতেছে। শািন্ধ তাহাঁই নহে। বিদেশীয় বিজ্ঞানে আমাদিগকে ক্রমশঃই নিজীব করিতেছে। যে বিজ্ঞান সবিদেশী হইলে আমাদের দাস হইত, বিদেশী হইয়া আমাদের প্ৰভু হইয়াছে। আমরা দিন দিন নিরাপায় হইতেছি। অতিথিশালায় আজীবনবাসী অতিথির ন্যায় আমরা প্রভুর আশ্রমে বাস করিতেছি। এই ভারতভুমি একটি বিস্তীর্ণ অতিথিশালা মাত্র। দ্বিতীয় ধারার কথার প্রমাণাৰ্থ তদল্লিখিত শাস্ত্ৰ সকলের কি প্রকার সমালোচনা ছিল, দেখা যাউক । জ্যোতিষ। জ্যোতিষ বিজ্ঞানশাস্ত্র বটে, কিন্তু প্রাচীন বেদাঙ্গ। সতরাং ইহার প্রাচীনত্বে সন্দেহ করা ধন্টতা ভিন্ন আর কি বলা যাইতে পারে ? ব্ৰহ্মদেশীয় চন্দ্র সােয্য গ্ৰহণ তালিকা পঞ্জিকার প্রাচীনত্ব বিষয়ে ফরাসী ও বিলাতি পন্ডিতগণের মধ্যে নানা বাগবিতািড়া হইয়াছে। অনেক বিদেশীয় পন্ডিত, DDBD DD BuuDuD DD uDDBD BBS BDBB uBB BDD BD BDBD হিন্দজাতি অথবা আয্যেরাই যে জোতিকগণের প্রথম পর্যবেক্ষক, নিয়মানসেন্ধায়ক ও তত্ত্বোেস্তাবক, তাহা ভাষাবিজ্ঞানবিংগণের অবশ্য স্বীকাৰ্য্য। যে সপ্তর্ষিার উল্লেখ পাৰেবা করিয়াছি, তাহাকে ইয়রোপীয়গণ উর্ষ মেজর বা বহৎ ভল্পের্ক বলেন। প্রাচীন বেদেও সপ্তর্ষি শব্দের স্থলে ঋক্ষ (ভল্লােক) শব্দ ব্যবহার আছে। কেবল সংস্কৃত ভাষায় দেখা যায় যে ঋচ ধাতুর অর্থ দ্যুতি। ঐ তারা কয়টি অতিশয় উজৰিল। উক্তজবলতা দেখিয়া দ্যতিবাচক কোন নাম দিয়া পরে সেই নামের অর্থ ক্রমে ভল্লক বোধ করা ও আকার সাদশ্যে উপলব্ধি করা অত্যন্ত সঙ্গত বোধ হয়। ও এইরূপ করা কেবল আষ্যগণেরই সম্ভব হইতে পারে। হিন্দরা দরবীক্ষণ, অণবীক্ষণ, আলোকবীক্ষণ প্রভৃতি কাঁচ যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত জ্যোতিষ চালনা করিয়া যে সফলতা লাভ করিয়াছিলেন তাহা ভাবিলে বিস্ময়াপন্ন হইতে হয়। সামান্য নবদ্বীপপঞ্জিকা সেই বিজ্ঞানের ধবংসাবশেষ মাত্র। দিবামান, রাত্রিমান, তিথিমান নিৰ্ণয়, চন্দ্রসায্যের উদয়ান্ত নিদ্ধারণ-গ্ৰহ নক্ষত্র সম্প্রচার ক্রিয়া স্থির করা, অয়ন গ্রহণ ও সংক্রমণ গণনা-সে সকল এখন অতি ভ্ৰমসঙ্কুল হউক না কেন, লাস্তবিজ্ঞানের ধবংস চিহ্ন তাহার। আর সন্দেহ নাই। এখন জীবিতবিজ্ঞান নাই, তাহার স্থানে কতকগলি অকৃতজ্ঞ পিতৃমাতৃশান্য দৰবলৈ সকেত আছে মাত্র। বিজ্ঞান বলে আৰ্যভট্ট পথিবীর অক্ষরেখার তিয্যকভােব অবধারণ করিয়াছিলেন ও তাহার পরিমাণ সান্ধী তেইশ অংশ নিদ্ধারণ করেন। আর এখনকার জ্যোতিবিজ্ঞানাভিমানীরা সামান্য সায্য গ্রহণ গণনায় এক দণ্ডড বা দই দন্ড ভ্ৰম করিয়া বিজ্ঞানের পরিচয় প্রদান করিলেন। যদি বাপদেব শাস্ত্রী না থাকিতেন, তা কি লজার কথা হইত। ইচ্ছা ছিল, পাবোল্লিখিত বিজ্ঞানগালি ক্রেমে ক্ৰমে গ্ৰহণ করিয়া একে একে সকলগলির বিস্তুত বিবরণ প্ৰদান করি, প্রবন্ধের দৈর্ঘ্যভয়ে তাহা করিতে পারিলাম না। সংক্ষেপে দাই চারি কথা লেখা যাইতেছে। বীজগণিত। কি করা কত্তব্য, স্থির করিতে না পারিয়া লোকে সচরাচর যে বলিয়া থাকে, “আমি BBBBBGG BD S BD DBDBBE uBBDBDBBBBBB BBB BBB BBB S BB BDBO BBuuD DDS গণিতে অতি শীঘ্র সমাধা হইতে পারে। আর যে অঙ্ক যনোনী দেশে দ্যোফান্ত প্রথম উদ্ভাবন করেন, ও সেইজন্য যাহাকে দ্যোফান্তীন বলে, ষােহা সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রথম সিদ্ধ হয়, তাহাও হিন্দাবীজগণিত মধ্যে আমরা শনিয়াছি। ষে দেশে দ্যোফান্তের বহ পৰ্কেব দ্যোফান্তীন কািট সাধ্য হইত, সেই দেশীয় শৌভক্তকরিক বীরগণ সামান্য ভগ্নাংশে “এক পববািতপ্ৰমাণ দেউল” দেখিয়া শ্লোকোক্ত বীর তাহা ভাঙ্গিতে সমৰ্থ হওয়া দরে থাকুক, উদ্দেশ্য প্রমাণ করিয়া পলায়নপর হয়েনি। (*) তথাপি আশা করিবার অনেক স্থল আছে, কেননা আবার সেই দেশেই দেখিতেছি যে দিল্লী কলেজে সবিখ্যাত অধ্যাপক রামচন্দ্র স্বীয় অপৰিবৰ্ণ গ্রন্থ “গরিমা লঘিমা” প্রচার দ্বারা বিলাতীয় বিখ্যাতনামা ডিমরগণ বৈজ্ঞানিকেরও বিসময় উৎপাদন করিয়াছেন ও ভূয়ো প্রশংসাবাদ আকর্ষণ করিয়া লইয়াছেন। ভরসা। এই, যদি মরভূমি মধ্যে আমরা এরূপ বটব্যক্ষ দেখিতে পাইলাম, তাহা হইলে কৰ্ষিত ক্ষেত্রে উৎসাহবারি সেচনে ভারতভুমি কলপতর, বা কল্পলতাই উৎপাদন কৱিবে । মিশ্ৰগণিত। মিশ্র গণিতে অজ্ঞতা নিবন্ধন কত অনৰ্থ হইতেছে, তাহা কে গণনা করিতে পারে ? আমরা উদাহরণের জন্য একটি সামান্য অনার্থের উল্লেখ করিতেছি। মানদন্ডের (পাল্লার দাঁড়ির) উভয় (*) আছিল। দেউল এক পৰবত প্রমাণ। ক্ৰোধ করি ভাঙ্গে তাহা পবন নন্দন ৷ অন্ধেক পভেকতে তার তেহই সিলিলে। YL SB D DD YY উপরে বায়াৰ গজ দেখ বিদ্যমান। করাহ সমাধা সবে দেউল প্ৰমাণ৷ SQRY