বঙ্কিম রচনাবলী হইয়া থাকিবে । কিন্তু এসকল ছিল, চৰ্চা ছিল, মহা মহা পণ্ডিত সকল ছিলেন, এখন কি ? এখন আক্ষেপেয় বিষয় এই যে আমাদের আলস্য দোষে, পারতসন্ন্য দোষে, নানা দোষে, অনেকগলিরই “প্রায় লোপ হইয়াছে, নামমাত্র অবশিস্ট আছে।” জিজ্ঞাসা করি। আর কত কাল এভাবে যাইবে ? ৩ । পর্বেই বলা হইয়াছে, বিজ্ঞান অবহেলা জন্য আমরা দিন ২ বিদেশীয় জাতিগণের আয়ত্তধীন হইতেছি; বস্তুবিচারে অক্ষম হইয়া কদম ভোজনে, অপেয় পানে, অপরিশদ্ধ বায় সেবনে দিন দিন দম্বাবল হইতেছি। চিকিৎসাশাস্ত্রে নিতান্ত অজ্ঞ হওয়ায় বৈদেশিক প্রথাগত চিকিৎসকগণের হন্তে পতিত হইয়া সব্বদাই জবার জবালায় কাতর থাকিতে হয়। বিজ্ঞানের ক্রমেই লোপ সম্ভাবনা। “সতরাং এক্ষণে ভারতবষীয়দের পক্ষে বিজ্ঞানশাস্ত্রের অনশীলন করা নিতান্ত আবশ্যক হইয়াছে। ও তন্নিমিত্ত ভারতবিষীয় বিজ্ঞান সভা নামে একটি সভা কলিকাতায় স্থাপন করিবার প্রস্তাব হইয়াছে। এই সভা প্রধান সভারপে গণ্য হইবে এবং আবশ্যক মতে ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন অংশে ইহার শাখা-সভা স্থাপিত হইবে।” জন্ম এই প্রস্তাবের কারমানাবাকাে অনুমােদন কৰিতেছ। অনন্ঠাতার মঙ্গল হউক, অনন্ঠান সফল ৪। “ভারতবষীয়দিগকে আহবান করিয়া বিজ্ঞান অনশীলন বিষয়ে প্লোৎসাহিত ও সক্ষম করা এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য।” উদ্দেশ্য অতি মহৎ, তার আর সন্দেহ কি ? “আর ভারতবর্ষ সম্পপকীয় যে সকল বিষয় লিপ্তপ্রায় হইয়াছে।” বা হইতেছে “তাহা রক্ষা করা (যথা মনোরম ও জ্ঞানদায়ক প্রাচীন গ্রন্থ সকল মাদ্রিত ও প্রচারিত করা ইত্যাদি) সভার আনষঙ্গিক উদ্দেশ্য।” কেবল পঞ্চস্তক মন্দ্রখা ব্যতীত লপ্তপ্রায় বিষয়ের অন্যবিধ রক্ষা করা আবশ্যক বোধে আমরা অনষ্ঠানপত্রেব অর্থাৎ শব্দের স্থানে যথা ও পরে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করিলাম। উদাহরণ দেওয়া যাইতেছে; যেমন বারাণসীস্থ মানমন্দিরের বৈজ্ঞানিক সংস্কার অথবা প্রাচীন যন্ত্র সকল বা যন্ত্রখন্ড সকল সংগ্রহ করা, প্রাচীন মাদ্রা, দানফলক বা আদেশফলক সকল সংগ্রহ করা, লগুপ্ত বিষয়ের রক্ষার জন্য এগালি সকলই আবশ্যক। কিন্তু এতদ্ভিন্ন আরো অনেকগলি আনষঙ্গিক উদ্দেশ্য হইতে পারে, ও হওয়া উচিতও বোধ হইতেছে। ভারতবষীয়দিগকে বিজ্ঞানে যত্নশীল করিতে হইবে, ও তাঁহারা যত্ন করিতেছেন কি না তাহা সৰ্ব্ববােদা দেখিতে হইবে। আর (কথাটা বলিতে কিন্তু লােজা হয়) তাঁহারা বিজ্ঞানে যত্ন করিয়া কিছ আর্থিক উপকার পাইতেছেন কি না, তাহাও দেখিতে হইবে। সে বিষয়ে আমাদিগের যাহা বক্তব্য সমাজ স্থাপিত হইলে বলিব। ৫ । এই সমদায় কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে হইলে অর্থই প্রধান আবশ্যক, অতএব ভারতবর্ষের শভান ধ্যায়ী, ও উন্নতীচ্ছ জনগণের নিকট বিনীতভাবে প্রার্থনা যে, “তাঁহারা আপন আপনি ধনেব কিয়দংশ আপণ করিয়া উপস্থিত বিষয়ের উন্নতিসাধন করেন।” ৬ । অনঙ্গঠাতা মহেন্দু বাব চাঁদা বা স্বাক্ষরদিগের নাম সাদবে গ্রহণ করিতেছেন। ১ এই অনস্তানপত্র আজি আড়াই বৎসর হইল প্রচারিত হইয়াছে, এই আড়াই বৎসরে বঙ্গসমাজ ৪o চল্লিশ সহস্র টাকা স্বাক্ষর করিয়াছেন। মহেন্দ্ৰ বােব লিখিয়াছেন যে, এই তালিকাখানি একটি আশ্চৰ্য্য দলিল। ইহাতে যেমন কতকগলি নাম থাকাতে সম্পাদটীকৃত হইয়াছে, তেমনি কতকগলি নাম না থাকতে DDDDDDBB BBBBBBDSS DD DDD DBBD DDBBDB DBD BBB DS আমরা উপসংহারে আর গোটা দই কথা বলতে ইচ্ছা করি। বঙ্গাধনীগণ, আপনারা মহেন্দু বাবর ঈষৎ বক্রোক্তি অবশ্যই বকিয়া থাকিবেন। তবে আর কলঙ্কাভার শিরে কেন বহন করেন ? সকলেই অগ্রসর হউন। যিনি এক দিনে লক্ষ মাদ্রা ব্যয় করেন, তিনি কেন পশ্চাতে পড়েন ? পত্রিকন্যার বিবাহ যাঁহারা লক্ষ লক্ষ মাদ্রা ব্যয় করেন, তাঁরা কেন নিশিচন্ত বসিয়া থাকেন ? উড্রো সাহেব ভয়ানক বিজ্ঞানগণSAAMLS00SLLL DBBBBDSDBBBB LuBBB DBDBBDD u DDBBBS BBOD BB DBLB DB BDDD সমাজ স্থাপন করিয়া প্রবীয় ভ্রম দর করুন। বঙ্গীয় যােবকগণের অবস্থার উন্নতি সাধন করুন; বঙ্গের শিলািপবিদ্যার পনরুদ্ধার করন। মহাত্মা উড্রো সাহেবকে বলি, তিনি কাম্পেবিল সাহেবকে চিঠিতে যা বলিয়াছেন, তাহার কথায় আমাদের কাজ নাই, তিনি কেন একবার অবজাতীয়গণকে এই মঙ্গলকর কায্যের সাহায্য করিতে বলন না। যদি তালিকাতে একটিও শ্বেতাঙ্গেয় নাম না প্রকাশিত হয়, তাহা হইলে কত আক্ষেপের বিষয় হইবে। –*w*, wg Sąx Nòt
