পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হে মাতঃ আফিম দেবি! তোমার কোটা অক্ষয় হউক। তুমি বৎসর বৎসর সোণার জাহাজে চড়িয়া চীনদেশে পজা খাইতে যাও! জাপান, সাইবিরিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, সকলই তোমার অধিকারভুক্ত হউক; তোমার নামে দেশে দেশে দাগোৎসব হউক। কমলাকান্তকে পায়ে রাখিও। আমি তোমার কৃপায় সাধারণের উপকারার্থে নিজের মন খালিয়া দই চারিটি কথা বলিব। কথা শনিয়া কেবল সত্ৰীলোক কেন, অনেক পরিষেও আমাকে পাগল বলিবেন। বলন, ক্ষতি নাই। নাতন কথা যে বলে, সেই পাগল বলিয়া গণ্য হয়। গালিলিও* বলিলেন, পথিবী ঘরিতেছে। ইতালীয় ভদ্র সমাজ, ধাৰ্ম্মিক সমাজ, বিদ্বান সমাজ শনিয়া হাসিলেন; শনিয় স্থির করিলেন, গালিলিওর মতিভ্ৰম হইয়াছে। কালের স্রোত বহিয়া গেল। ইতালীর ভদ্র সমাজ, ধাৰ্ম্মিক সমাজ, বিদ্বান সমাজ আর পথিবী ঘারিতেছে শনিলে হাসেন না; গালিলিওকে আর মতিভ্রান্ত জ্ঞান করেন না। সকলে সৌন্দৰ্য্য বিষয়ে সত্ৰীলোকের প্রাধান্য স্বীকার করেন। বিদ্যা, বদ্ধি, বলে পরিষের শ্রেষ্ঠতা স্বীকার পাইয়াও, রাপের টিকা সন্ত্রীলোকের মস্তকে দেন। আমার বিবেচনায় এটি মস্ত ভুল। আমি দিব্য চক্ষে দেখিয়াছি যে, পরিষের রােপ অপেক্ষা সত্ৰীলোকের রােপ অনেক দর নিকৃষ্ট। হে মানময়ী মোহিণীগণ! কুটিল কটাক্ষে কালকািট বর্ষণ করিয়া আমাকে এই দোষে দন্ধ করিও না; কালসপী-বিনিন্দিত বেণীদ্বারা আমাকে বন্ধন করিও না, ভ্ৰািধনীতে কোপে তীক্ষা শর যোজনা করিয়া আমাকে বিদ্ধ করিও না। বলিতে কি, তোমাদের নিন্দা করিতে ভয় করে। পথ বঝিয়া যদি তোমরা নথ-ফাঁদ পাতিয়া রাখ, তবে কত হস্তী বদ্ধাচরণ হইয়া, তোমাদের নাকে ঝলিতে পারে-কমলাকান্ত কোন ছার! তোমাদের নথের নোলক খসিয়া পড়িলে, মানষি খান হইবার অনেক সম্ভাবনা; চন্দ্ৰহারের একখানি চাঁদ যদি স্থানচ্যুত হইয়া কাহারও গায়ে লাগে, তবে তাহার হােত পা ভাঙ্গা বিচিত্র নহে। অতএব তোমরা রাগ করিও না। আর হে রমণীপ্রয়, প্রবত্ত হইয়াছি বলিয়া, তোমরা আমাকে মারিতে উদ্যত হইও না। আমি সপ্রমাণ করিয়া দিব যে, তোমরা কুসংস্কারবিল্ট পৌত্তলিক। তোমরা উপাস্য দেবতার প্রকৃত মাত্তি পরিত্যাগ পািব্বক বিকৃত প্ৰতিমাত্তির পজা করিতেছ। যাহার সন্দর কেশপাশ আছে, সে আর পরচুলা ব্যবহার করে না। যাহার উত্তজবল ভাল দাঁত আছে, তাহার কৃত্রিম দন্তের প্রয়োজন হয় না। যাহার বর্ণে লোকের মন হরণ করে, তাহার আর রং মাখিয়া লাবণ্য বদ্ধি করিতে হয় না। যাহার নয়ন আছে, তাহার। আর কাচের চক্ষর আশ্রয় লইতে হয় না। যাহার চরণ আছে, তাহাকে আর কাঠপদ অবলম্বন করিতে হয় না। এইরপে যাহার যে বস্তু আছে, সে তাহার জন্য লালায়িত হয় না। যে বঝিতে পারে যে, প্রকৃতি কোন পদার্থে তাহাকে বঞ্চিত করিয়াছেন, সেই তদ্বিষয়ে আপনার অভাব মোচনার্থ যত্ন করিয়া থাকে। এই সকল দেখিয়া শনিয়া আমি স্থির করিয়াছি যে, সত্ৰীলোকদিগের মধ্যে সৌন্দৰ্যের অত্যন্ত অভাব। তাহারা সব্বদা আপন আপন রােপ বাড়াইতে ব্যস্ত; কি উপায়ে আপনাকে সন্দরী ভাবনা, ইহাই তাহাদিগের চেণ্টা; এমন কি বলা যাইতে পারে যে, অলঙ্কারই তাহাদিগের জপি, অলঙ্কারই তাহাদিগের তপ, অলঙ্কারই তাহাদিগের ধ্যান, অলঙ্কারই তাহাদিগের জ্ঞান। সর্বীয় দেহ সক্তিজত করিতে এত যাহাদিগের যত্ন, তাহাদিগের প্রকৃত সৌন্দৰ্য্য যে অধিক আছে, এরপ বোধ হয় না। যাহার নাক সন্দের নহে, সেই নাকে নথরািপ রাজতে নোলক জগন্নাথকে দোলায়; কাণে ঝালাইয়া দেয়। যাহার হৃদয় ভাল নহে, সেই সেখানে সাতনর ফাঁসির দড়ি টাঙ্গাইয়া BBDDBDS DBB BB DBDDDB DD DBD DBDB S BB DBD DBD আপনাকে সন্দেরী বলিয়া জানে, সে কখন অলঙ্কারের বোঝা বহিতে এত ব্যগ্র হয় না। পরিষে ভূষণ বিনা সন্তুষ্ট থাকে; স্ত্রীলোক ভূষণ বিনা মনষ্যেসমাজে মািখ দেখাইতে লতাজা পায়। অতএব প্লাদিগের নিজের ব্যবহার ধারা বলা হইতেছে যে পরিবাপেক্ষ গাঁজাতি সৌন্দৰ্য্যবিয়ে

  • काश्रन्निरून्