পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wyt :-qerq এ সকল এক্সপেরিমেন্ট বিনামল্যে দেখাইয়া থাকি-পরের মাথা বা নরম হাড় পাইলেই হইল। আমরা স্থলে পদার্থের সংযোগ বিয়োগ সাধনে পটী-রাসায়নিক বলে বা বৈদ্যুতীয় বলে বা চৌম্বক বলে, জড়পদার্থের বিশ্লেষণেই সদক্ষ-কিন্তু সন্বাপেক্ষা মাস্ট্যাঘাতের বলে মস্তকাদির বিশ্লেষণেই আমরা কৃতকাৰ্য্য। মাধ্যাকর্ষণ, যৌগিকাকর্ষণ, চৌম্বকাকর্ষণ প্রভৃতি নানাবিধ আকর্ষণের কথা আমরা অবগত আছি, কিন্তু সব্বাপেক্ষা কেশাকর্ষণেই আমরা কৃতবিদ্য। এই সংসারে জড়পদার্থের নানাবিধ যোগ দেখা যায়; যথা-বায়তে অম্লজান ও যবক্ষারজনের সামান্য যোগ, জলে জলযান ও অম্লজানের রাসায়নিক যোগ, আর তোমাদিগের পন্ঠে, আমাদের হন্তে, মন্টিযোগ। অতএব এই সকল আশচয্য ব্যাপার দেখিবে যদি, মাথা বাড়াইয়া দাও ; এক্সপেরিমেন্ট করিব। দেখিবে, গ্রাবিটেশ্যনের বলে এই সকল নারিকেলাদি তোমাদের মস্তকে পড়িবে; পকশন নামক অদ্ভুত শাব্দিক রহস্যেরও পরিচয় পাইবে, এবং দেখিবে, তোমার মস্তিআকস্থিত *ಕ್ಷ್ಮ್ಫ অগ্নিমামল্যাদিও; তাহা হইলে চীরটিতে এক্সপেরিমেন্ট খাইতে পারবে।” আমি এই সকল দেখিতে শনিতেছিলাম, এমত সময়ে সহসা দেখিলাম যে, ইংরেজ দোকান করিতে লাগিলেন। তখন সাহেবরা সেই সকল পরিত্যক্ত নারিকেল দোকানে উঠাইয়া লইয়া আসিয়া বিলাতী অস্ত্রে ছেদন করিয়া, সখে আহার করিতে লাগিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম যে, “এ কি হইল ?” সাহেবরা বলিলেন, “ইহাকে বলে, Asiatic Researches.” BDD BBOB DuuT DBDBDS DBDBBBB BDD BBB GLLLLLLLL LLLLLLLL0CLLLLL S BBBB করিয়া, সেখান হইতে পলায়ন করিলাম। সাহিত্যের বাজার দেখিলাম। দেখিলাম, বালমীকি প্রভৃতি ঋষিগণ অমত ফল বেচিতেছেন; বঝিলাম, ইহা সংস্কৃত সাহিত্য। দেখিলাম, আর কতকগলি মনষ্য নিচু পাঁচ পেয়ারা আনারস আঙ্গর সবাদ ফল বিক্রয় করিতেছেন-বঝিলাম, এ পাশ্চাত্য সাহিত্য। আরও একখানি काम -অসংখ্য শিশগণ এবং অবলগণ তাহাতে ক্ৰয়-বিক্রয় করিতেছে- ভিড়ের জন্য তন্মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিলাম ন-জিজ্ঞাসা করিলাম, “এ কিসের দোকান ?” বালকেরা বলিল, “বাঙ্গালা সাহিত্য।” “বেচিতেছে কে ?” “আমরাই বেচি। দই এক জন বড় মহাজনও আছে। তদ্ভিন্ন বাজে দোকানদারের পরিচয় পশ্বাবলী নামক, গ্রন্থে পাইবেন।” “কিনিতেছে কে ?” ‘उाभाई।” সােল পদার্থ দেখিবার বাসনা হইল। দেখিলাম-খবরের কাগজ জড়ান কতকগািল অপক তাহার পরে কল, পটিতে গেলাম; দেখিলাম যত উমেদার, মোসায়েব সকলে কল সাজিয়া তেলের ভাঁড় লইয়া সারি সারি বসিয়া গিয়াছে। তোমার ট্যাঁকে চাকরি আছে, শনিতে পাইলেই পা, টানিয়া লইয়া, ভাঁড় বাহির করিয়া, তেল মাখাইতে বসে। চাকরি না থাকিলেই-যাদি থাকে, এই ভরসায়, পা, টানিয়া লইয়া, তেল লেপিতে বসে। তোমার কাছে চাকরি নাই-নাই নাইনগদ টাকা আছে ত-আচ্ছা, তাই দাও-তেল দিতেছি। কাহারও প্রার্থনা, তোমার বাগানে বসিয়া তুমি যখন ব্রাপিড খাইবে, আমি তোমার চরণে তৈল মাখাইব-আমার কন্যার বিবাহটি যেন হয়। কাহারও আবদার, তোমার কাণে অবিরত খোেশামোদের গন্ধ তৈল ঢালিব-বাড়ীর প্রাচীরটি যেন দিতে পারি। কাহারও কামনা, তোমার তোষাখানার বাতি জৰালিয়া দিব-আমার খবরের কাগজখানি যেন চলে। শনিয়াছি, কলাদিগের টানাটানিতে অনেকের পা খোঁড়া হইয়া গিয়াছে। আমার শঙ্কা হইল, পাছে কোন কল, আফিঙ্গের প্রার্থনায় আমার পায়ে তেল দিতে আরম্ভ করে। আমি পলায়ন করিলাম। তার পরে যশের ময়রাপটীয় সম্পবাদপত্ৰলেখক নামে ময়রাগণ, গড়ে সলেদশের দোকান পাতিয়া, নগদ মল্যে বিক্রয় করিতেছে-রাস্তার লোক ধরিয়া সন্দেশ গতাইয়া দিয়া, হাত