পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্রোত-মধ্যে মধ্যে উপেজবল নক্ষত্রগণ উদয় হইতেছে, নিবিতেছে-আবার উঠিতেছে। আমি নিতান্ত EBYSigB DDD DB DBB DDDSDDDB BBDSDDDBDBBDSDD D DBBDD DDBBD আমি এই কাল-সমাদে মাতৃসন্ধানে আসিয়াছি। কোথা মা ! কই আমার মা ? কোথায় কমলাকান্তপ্রসতি বঙ্গভূমি ! এ ঘোর কাল-সমাদ্রে কোথায় তুমি ? সহসা সবগীয় বাদ্যে কণরন্ধ পরিপািণ হইল-দিনেমশন্ডলে প্রভাতারণোদায়বৎ লোহিতেজবল আলোক বিকীর্ণ হইল-স্নিগ্ধ মন্দ পবন বহিল-সেই তরঙ্গসঙ্কুল জলরাশির উপরে, দরপ্রান্তে দেখিলাম-সাবর্ণমন্ডিতা, এই সপ্তমীর শারদীয়া প্রতিমা! জলে হাসিতেছে, ভাসিতেছে, আলোক বিকীর্ণ করিতেছে! এই কি মা ? হাঁ, এই মা। চিনিলাম, এই আমার জননী জন্মভূমি-এই মন্ময়ী-মাত্তিকার পিণী-অনন্তরত্নভূষিতা-এক্ষণে কালগভে নিহিতা। রত্নমন্ডিত দশ ভুজ-দশ দিক-দশ দিকে প্রসারিত তাহাতে নানা আয়ধরাপে নানা শক্তি শোভিত; পদতলে শত্ৰ-বিমন্দিত বীরজন কেশরী শত্ৰনিপীড়নে নিযক্ত! এ মাত্তি এখন দেখিব না-আজি দেখিব না, কাল দেখিব না-কােলস্রোত পার না হইলে দেখিব না-কিন্তু এক দিন দেখিব-দিগম্ভুজা, নানা প্রহরণপ্ৰহারিণী শত্র মন্দিনী, বীরেন্দ্ৰপাঠবিহারিণী-দক্ষিণে লক্ষমী ভাগ্যর পিণী, বামে বিদ্যাবিজ্ঞানমন্তিময়ী, সঙ্গে বলরােপী কাত্তিকেয়, কাৰ্য্যসিদ্ধির পী গণেশ, আমি সেই কালস্রোতমধ্যে দেখিলাম, এই সবৰ্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা! কোথায় ফল পাইলাম, বলিতে পারি না-কিন্তু সেই প্রতিমার পদতলে পল্পাঞ্জলি দিলাম -ডাকিলাম, “সর্বমঙ্গল্যে, শিবে, আমার সব্বার্থসাধিকে! অসংখ্য সস্তানকুলপালিকে ! ধৰ্ম্মমা, অর্থ, সখি, দঃখদায়িকে! আমার পক্ষপাঞ্জলি গ্রহণ করা। এই ভক্তি প্ৰীতি বত্তি শক্তি করে লইয়া তোমার পদতলে পাম্পাঞ্জলি দিতেছি, তুমি এই অনন্তজলমন্ডল ত্যাগ করিয়া এই বিশ্ববিমোহিনী মাত্তি একবার জগৎসমীপে প্রকাশ কর। এসো মা ! নবরাগরঙ্গিণি নবাবলধারিণি, নবন্দপো দপিাণি, নবস্বপ্নদশি নি!—এসো মা, গহে এসো-ছয় কোটি সন্তানে একত্রে, এক কালে দ্বাদশ কোটি করা যোড় করিয়া, তোমার পাদপদ্ম পজা করিব। ছয় কোটি মাখে ডাকিব, মা প্রসতি অম্পিবকে! ধাত্রি ধরিত্রি ধনধান্যদায়িকে । নগাঙ্কশোভিনি নগেন্দুবালিকে ! শরৎসান্দরি চারপণচন্দ্রভালিকে! ডাকিব,-সিন্ধ সেবিতে সিন্ধা-পজিতে সিন্ধা-মথনকারিণি! শত্রবন্ধে দশভূজো দশপ্রহরণধারিণি! অনন্তশ্ৰী অনন্তকালস্থায়িনি! শক্তি দাও সন্তানে, অনন্তশক্তিপ্রদায়িনি! তোমায় কি বলিয়া ডাকিব মা ? ঐ ছয় কোটি মন্ড ঐ পদপ্রান্তে লাঠিত করিব-এই ছয় কোটি কণ্ঠে ঐ নাম করিয়া হােঙ্কার করিব,-এই ছয় কোটি দেহ তোমার জন্য পতন করিব-না পারি, এই দ্বাদশ কোটি চক্ষে তোমার জন্য কাঁদিব। এসো মা, গহে এসো-যাঁহার ছয় কোটি সন্তান— তাঁহার ভাবনা কি ? দেখিতে দেখিতে আর দেখিলাম না—সেই অনন্ত কাল-সমাদ্রে এই প্রতিমা ডুবিল! অন্ধকারে সেই তরঙ্গসংকুল জলরাশি ব্যাপিল, জলকল্লোলে বিশ্বসংসার পরিল! তখন যক্ত করে, সজল। নয়নে, ডাকিতে লাগিলাম, উঠি মা, হিরণময়ি বঙ্গভূমি!! উঠ মা! এবার সসন্তান হইব, সৎপথে চলিব-তোমার মািখ রাখিব। উঠ মা, দেবী দেবান গহীত-এবার আপনা ভুলিব-ভ্ৰাতৃবৎসল৷ হইব, পরের মঙ্গল সাধিব-অধৰ্ম্মম আলস্য, ইন্দ্রিয়ভক্তি ত্যাগ করিব-উঠা মা-একা রোদন করিতেছি, কাঁদিতে কাঁদিতে চক্ষ গেল মা ! উঠ উঠ উঠ মা বঙ্গজননী! भा टर्टलन ना । ठेठवन ना कि ? এস, ভাই সকল! আমরা এই অন্ধকার কালস্রোতে ঝাঁপ দিই। এস, আমরা দ্বাদশ কোটি ভুজে৷ ঐ প্রতিমা তুলিয়া, ছয় কোটি মাথায় বহিয়া, ঘরে আনি। এস, অন্ধকারে ভয় কি ? ঐ যে নক্ষত্ৰসকল মধ্যে মধ্যে উঠিতেছে, নিবিতেছে, উহারা পথ দেখাইবে-চল! চল! অসংখ্য বাহর প্ৰক্ষেপে, এই কাল-সমন্দ্রি তাড়িত, মথিত, ব্যস্ত করিয়া, আমরা সন্তরণ করি।--সেই সবণ প্রতিমা তুলিয়া আনি, বড় পাজার ধর্ম বাধিবে দ্বেষক ছাগকে হাড়িকাটে ফেলিয়া সংকীৰ্ত্তি খঙ্গে মায়ের কাছে বলি দিব-কত পরাবক্তকার ঢাকী, ঢাকা ঘাড়ে করিয়া, বঙ্গের বাজনা বাজাইয়া আকাশ ফাটাইবে-কত ঢোল, কাঁসি, কাড়া, নাগরায় বঙ্গের জয় বাদিত হইবে। কত সানাই পোঁ ধরিয়া গাইবে “কত নাচ গো-” বড় পাজার ধর্ম বাধিবে। কত ব্ৰাহ্মণপন্ডিত লাচি মন্ডার 就*Q