পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফেলিয়া দেয় না। মাছের কাঁটা, পাতের ভাত, নরদামায় ফেলিয়া দেয়, জলে ফেলিয়া দেয়, তথাপি আমাকে ডাকিয়া দেয় না। তোমাদের পেট ভরা, আমার পেটের ক্ষধা কি প্রকারে জানিবে! হায়! দরিদ্রের জন্য ব্যথিত হইলে তোমাদের কি কিছ আগৌরব আছে? আমার মত দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া, লতাজার কথা সন্দেহ নাই। যে কখন অন্ধকে মাল্টি-ভিক্ষা দেয় না, সেও একটা বড় রাজা, ফাঁপরে পড়িলে রাত্ৰে ঘামায় না—সকলেই পরের ব্যথায় ব্যথিত হইতে রাজি। তবে ছোটলোকের দঃখে কাতর। ছি! কে হইবে ? “দেখ, যদি অমক শিরোমণি, কি আমােক ন্যায়ালঙ্কার আসিয়া তোমার দািধটকু খাইয়া যাইতেন, তবে তুমি কি তাঁহাকে ঠেঙ্গা লইয়া মারিতে আসিতে ? বরং ষোড়হাত করিয়া বলিতে, আর একটা কি আনিয়া দিব ? তবে আমার বেলা লাঠি কেন ? তুমি বলিবে, তাঁহারা অতি পন্ডিত, বড় মান্য লোক। পন্ডিত বা মান্য বলিয়া কি আমার অপেক্ষা তাঁহাদের ক্ষধা বেশী ? তা ত নয়-তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনষ্যেজাতির রোগ-দরিদ্রের ক্ষধা কেহ বঝে না। যে খাইতে বলিলে বিরক্ত হয়, তাহার জন্য ভোজের আয়োজন কর-আর যে ক্ষধার জবালায় বিনা আহবানেই তোমার অন্ন খাইয়া ফেলে, চোর বলিয়া তাহার দশড করা-ছি! ছি:! “দেখ, আমাদিগের দশা দেখ, দেখা প্রাচীরে প্রাচীরে, প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণে, প্রাসাদে প্রাসাদে, মেও মেও করিয়া আমরা চারি দিক দলিট করিতেছি—কেহ আমাদিগকে মাছের কাঁটাখানা ফেলিয়া দেয় না। যদি কেহ তোমাদের সোহাগের বিড়াল হইতে পারিল-গহমাজার হইয়া ব্যুদ্ধের নিকট যাবতী ভাৰ্য্যার সহোদর, বা মািখ ধনীর কাছে সতরঞ্চ খেলাওয়ারের স্থানীয় হইয়া থাকিতে পারিল—তবেই তাহার পন্টি। তাহার লেজ ফলে, গায়ে লোম হয়, এবং তাহদের রাপের ছটা দেখিয়া, অনেক মাতিজার কবি হইয়া পড়ে। “আর, আমাদিগের দশা দেখ-আহারাভাবে উদর কৃশ, অস্থি পরিদশ্যমান, লাঙ্গল বিনত, দাঁত বাহির হইয়াছে—জিহবা ঝালিয়া পড়িয়াছে—অবিরত আহারাভাবে ডাকিতেছি, “মেও ! মেও! খাইতে পাই না!—? আমাদের কালো চামড়া দেখিয়া ঘণা করিও না! এ পথিবীর মৎস্য মাংসে আমাদের কিছ অধিকার আছে। খাইতে দাও-নিহিলে চুরি করিব। আমাদের কৃষ্ণ চৰ্ম্ম, শম্পক মািখ, ক্ষীণ সকরণ মেও মেও শনিয়া তোমাদিগের কি দঃখ হয় না ? চোরের দন্ড আছে, নিদায়তার কি দণড নাই ? দরিদ্রের আহার সংগ্রহের দণড আছে, ধনীর কাপণ্যের দণড নাই কেন ? তুমি কমলাকান্ত, দরদশী, কেন না। আফিংখোর, তুমিও কি দেখিতে পাও না যে, ধনীর দোষেই দরিদ্র চোর হয় ? পাঁচ শত দরিদ্রকে বঞ্চিত করিয়া একজনে পাঁচ শত লোকের আহায্য সংগ্ৰহ করিবে কেন ? যদি করিল, তবে সে তাহার খাইয়া যাহা বাহিয়া পড়ে, তাহা দরিদ্রকে দিবে না কেন ? যদি না দেয়, তবে দরিদ্র অবশ্য তাহার নিকট হইতে চুরি করিবে; কেন না, অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য এ পথিবীতে কেহ আইসে নাই।” আমি আর সহ্য করতে না পারিয়া বলিলাম, “থামা ! থাম মােজজরিপন্ডিতে! তোমার কথাগালি ভারি সোশিয়ালিন্টিক! সমাজবিশঙ্খেলার মল! যদি যাহার যত ক্ষমতা, সে তত ধনসম্প্রচয় করিতে না পায়, অথবা সঞ্চয় করিয়া চোরের জবালায় নিৰিবাঘে ভোগ করিতে না পায়, তবে কেহ আর ধনসঞ্চয়ে যত্ন করিবে না। তাহাতে সমাজের ধনবদ্ধি হইবে না।” মাজার বলিল, “না হইল তা আমার কি ? সমাজের ধনবদ্ধির অর্থ ধনীর ধনবদ্ধি। ধনীর ধন্যবদ্ধি না হইলে দরিদ্রের কি ক্ষতি ?” BDD BDBDB DDBB BSBDDDBB BBBB BDDBDuuD uBBBD DBDDD DBDD Y DBD রাগ করিয়া বলিল যে, “আমি যদি খাইতে না পাইলাম, তবে সমাজের উন্নতি লইয়া কি করিব ?” বিড়ালকে বঝান দায় হইল। যে বিচারক বা নৈয়ায়িক, কস্মিন কালে কেহ তাহাকে কিছ বাঝাইতে পারে না, এ মাজাের সবিচারক, এবং সত্যাকিকও বটে, সতরাং না। বঝিবার পক্ষে ইহার অধিকার আছে। অতএব ইহার উপর রাগ না করিয়া বলিলাম, “সমাজের উন্নতিতে দরিদ্রের প্রয়োজন না থাকিলে না থাকিতে পারে, কিন্তু ধনীদিগের বিশেষ প্রয়োজন, অতএব চোরের দণডেবিধান কৰ্ত্তব্য ।” LBB BD DBBD DDBBSuB uDD BBDS BBLBD BB BDBD DDDSDDDD তাহার সঙ্গে আর একটি নিয়ম কর। যে বিচারক চোরকে সাজা দিবেন, তিনি আগে তিন দিবস উপবাস করিবেন। তাহাতে যদি তাঁহার চুরি করিয়া খাইতে ইচ্ছা না করে, তবে তিনি সবচ্ছন্দে ፱ዖCክ