পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিজ , নাবলী BDBB BDBBDYLDDBD DDD DDD DD BBBBBD DDBD BBuuB BBDBD BDBDD DBBS তিনি আবার সনদী ঘ্যান্য ঘেনে। সত্যমিথ্যার সাগরসঙ্গমে প্ৰাতঃস্নান করিয়া উঠিয়া, যেখানে দেখেন, কাঠগড়ার ভিতর বিড়ে মাথায় সরকারি জর্জ বসিয়া আছে—বড় জজ, ছোট জজ, সবজজ, দেন। কেহ বা মনে করেন, ঘ্যানঘ্যােনানির চোটে দেশোদ্ধার করবেন--সভাতলে ছেলে বড়ো জমা করিয়া ঘ্যানঘ্যান করিতে থাকেন। কোন দেশে বন্টি হয় নাই-এসো বাপ ঘ্যানঘ্যান করি; বড় চাকরি পাই না-এসো বাপ ঘ্যানঘ্যান করি।-রমাকান্তের মা মরিয়াছে—এসো বাপ স্মরণার্থ ঘ্যানঘ্যান করি। কাহারও বা তাতেও মন উঠে না—তাঁরা কাগজ কলম লইয়া, হাপ্তায় হাপ্তায়, মাসে মাসে, দিন দিন ঘ্যানঘ্যান করেন; আর তুমি যে বাপ আমার ঘ্যানঘ্যােনানিতে এত রাগ করিতেছ, তুমিও ও কি করিতে বসিয়াছ ? বঙ্গদশন-সম্পাদকের কাছে কিছ আফিঙ্গের যোগাড় করিবে বলিয়া ঘ্যানঘ্যান করিতে বসিয়াছ ? আমার চোঁ বোঁই কি এত কটা ? “তোমায় সত্য বলিতেছি, কমলাকান্ত! তোমাদের জাতির ঘ্যানঘ্যাননি। আর ভাল লাগে না। দেখ আমি যে ক্ষদ্র পতঙ্গ, আমিও শািন্ধ ঘ্যানঘ্যান করি না-মধ্য সংগ্ৰহ করি আর হল ফটােই। তোমরা না জান শািন্ধ মধ্য সংগ্ৰহ করিতে, না জান হল ফটাইতে—কেবল ঘ্যান ঘ্যান পার। একটা কাজের সঙ্গে খোঁজ নাই—কেবল কাঁদনে মেয়ের মত দিবারাত্রি ঘ্যানঘ্যান। একটা বকাবাঁকি লেখালেখি কম করিয়া কিছ কাজে মন দাও-তোমাদের শ্ৰীবদ্ধি হইবে। মধ্য করিতে শেখ-হল ফটাইতে শেখ। তোমাদের রসনা অপেক্ষা আমাদের হল শ্রেদ্ঠ-বাক্যবাণে মানষি মরে না; আমাদের হলের ভয়ে জীবলোক সদা সশঙ্কিত! সবগে ইন্দ্রের বাজ, মত্ত্যে ইংরেজের কামান, আকাশমাগে আমাদের হল! সে যাক, মধ্য কর; কাজে মন দাও। নিতান্ত যদি দেখ, রসনাকন্ডয়ন রোগ জন্য কাজে মন যায় না-জিবে কাঠকি দিয়া ঘা কর—অগত্যা কাজে মন যাইতে পারে। আর শািন্ধ ঘ্যানঘ্যান ভাল লাগে না।" এই বলিয়া ভ্ৰমররাজ ভোঁ কারিয়া উড়িয়া গেল। আমি ভাবিলাম যে, এই ভ্ৰমর অবশ্য বিশেষ বিজ্ঞ পতঙ্গ। শনা আছে, মনষ্যের পদবিদ্ধি হইলেই সে বিজ্ঞ বলিয়া গণ্য হয়। এই জন্য দ্বিপদ মনােষ্য হইতে চতুষ্পপদ পশ-পক্ষান্তরে যে সকল মনষ্যের পদবিদ্ধি হইয়াছে—তাহারা অধিক বিজ্ঞ বলিয়া গণ্য। এই ষটপদের—একখানি না, দ খানি না-ছয় ছয়খানি পা! অবশ্য এ ব্যক্তি বিশেষ বিজ্ঞা হইবে-ইহার অসামান্য পদবদ্ধি দেখা যায়। এই বিজ্ঞ পতঙ্গের পরামর্শ অবহেলন করি কি প্রকারে ? অতএব আপাততঃ ঘ্যানঘ্যাননি বন্ধ করিলাম-কিন্তু মধ্যসংগ্রহের আশাটা রহিল। বঙ্গদর্শন পক্ষপ হইতে অহিফেন মধ্য সংগ্ৰহ হইবে এই ভরসায় প্ৰাণ ধারণ করে আপনার আজ্ঞাবহ শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তীৰ্ণ । চতুৰ্থ সংখ্যা-বঢ়া বয়সের কথা সম্পাদক মহাশয়! আফিঙ্গ পৌছে নাই, বড় কল্ট গিয়াছে। আজ যাহা লিখিলাম, তাহা বিস্ফারিত লোচনে লেখা। নিজ বদ্ধিতে, অহিফেন প্রসাদাৎ নহে। একটা মনের দঃখের কথা লিখিব । বাড়া বয়সের কথা লিখিব ! লিখি লিখি মনে করিতেছি, কিন্তু লিখিতে পারিতেছি না। হইতে পারে যে, এই নিদারণ কথা আমার কাছে বড় প্রিয়,--আপনার মৰ্ম্মান্তিক দঃখের পরিচয় আপনার কাছে বড় মিস্ট লাগে, কিন্তু আমি লিখিলে পড়িবে কে ? যে যােবা, কেবল সেই পড়ে; বড়ায় কিছু পড়ে না। বোধ হয়, আমার এই বড় বয়সের কথার পাঠক জটিবে না। অতএব আমি ঠিক বড়ো বয়সের কথা লিখিব না। বলিতে পারি না; বৈতরণীর তরঙ্গাভিহিত জীবনের সেই শেষ সোপানে আজিও পদাপণ করি নাই ; আজিও আমার পারের কড়ি সংগ্ৰহ করা হয় নাই। আমার মনে মনে বিশ্বাস যে, সে দিন আজিও আসে নাই। তবে যৌবনেও আমার আর দাবি দাওয়া নাই; মিয়াদি পাট্টার মিয়াদ ফরাইয়াছে। এক দিকে মিয়াদ অতীত 9 ܬ