পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মচিরাম গড়ের জীবনচরিত फूडौन ब्रिह छल মচিরাম অলপদিনেই জানিল যে, যাত্রাওয়ালার জীবন সখের নয়। যাত্রাওয়ালা কেবল কোকিলের মত গান করিয়া ডালে ডালে মকুল ভোজন করিয়া বেড়ায় না। অলপদিনে মচিরামের শরীর শীর্ণ হইল। এ গ্রাম ও গ্রাম ছাটাছটি করিতে করিতে সকল দিন আহার হয় না; রাত্রি জাগিয়া প্রাণ ওষ্ঠাগত; চুলের ভারে মাথায় উকুনে ঘা করিল; গায়ে খড়ি উড়িতে লাগিল; অধিকারীর কাণমালায় কাণমালায় দাই কাণে ঘা হইল। শােধ তাই নয়; অধিকারী মহাশয়ের পা টিপিতে হয়, তাঁকে বাতাস করিতে হয়, তামাক সাজিতে হয়, আরও অনেক রকম দাসত্ব করিতে হয়। অলপদিনেই মচিরামের সোণার মেঘ বাষ্পরাশিতে পরিণত হইল। মচিরামের আরও দভাগ্য এই যে, বদ্ধিটা বড় তীক্ষা নহে। গীতের তাল যে, পদ্ধকরিণীরস্থ দীঘ বক্ষে ফলে না, ইহা বঝিতে তাহার বহকাল গেল। ফলে তালিমের সময়ে তালের কথা পড়িলে, মচিরাম অন্যমনস্ক হইত-মনে পড়িত, মা কেমন তালের বড়া করে - মচিরামের চক্ষা দিয়া এবং রসনা দিয়া জল বাহিয়া যাইত। আবার গান মখস্থ করা আরও দায়-কিছতেই মখস্থ হইত না-কাণমলায় কাণমলায় কাণ রাঙ্গা হইয়া গেল। সতরাং আসরে গায়িবার সময়ে পিছন হইতে তাহাকে বলিয়া দিতে হইত। মচিরাম গায়িল-“নীরদ কুন্তলা-” থামিল-আবার পিছন হইতে বলিল, “লোচনচগুলা”— মচিরাম ভাবিয়া চিন্তিয়া গায়িল, “লাচি চিনি ছোলা”। পিছন হইতে বলিয়া দিল, “দধতি সুমুৱা-মটিয়াম না বঝিয়া গায়িল, “দধিতে সন্দেশ রপং”। সেদিন আর গায়িতে NT I মচিরামকে কৃষ্ণ সাজিতে হইত-কিন্তু কৃষ্ণের বক্তব্য সকল তাহাকে পিছন হইতে বলিয়া দিতে হইত—“আ-বা-আ-বা। ধবলী’টি মখস্থ ছিল। একদিন মানভঞ্জন যাত্রা হইতেছেপিছন হইতে মচিরামকে বক্তৃতা শিখাইয়া দিতেছে। কৃষ্ণকে বলিতে হইবে, “মানময়ি রাধে! একবার বদন তুলে কথা কও ” মচিরাম সবটা শনিতে না পাইয়া কতক দরে বলিল, “মানময়ি রাধে, একবার বদন তুলে—” সেই সময়ে বেহালাওয়ালা মদঙ্গীর হাতে তামাকের কলেক দিয়া বলিতেছিল, “গড়ক খাও—” শনিয়া মচিরাম বলিল, “রাধে—একবার বদন তুলে গড়ক খাও।” হাসির চোটে যাত্রা ভাঙ্গিয়া গেল। মচিরাম প্রথমে বঝিতে পারিল না—হাসি কিসের-যাত্রা ভাঙ্গিল কেন ? কিন্তু যখন দেখিল, অধিকারী সাজঘরে আসিয়া একগাছা বাঁক সাপটিয়া ধরিয়া, তাহার দিকে ধাবমান হইলেন, তখন মচিরাম হঠাৎ বঝিল যে, এই বাঁক তাহার পািঠদেশে অবতীর্ণ হইবার কিছ গরতর সম্ভাবনা-অতএব কথিত পািঠদেশ স্থানান্তরে লইয়া যাওয়া আশ প্রয়োজন। এই ভাবিয়া মচিরাম অকস্মাৎ নিল্সব্রুনান্ত হইয়া নৈশ অন্ধকারে অন্তহিত হইল। অধিকারী মহাশয় বাঁকহস্তে তৎপশ্চাৎ নিস্ত্রান্ত হইয়া, তাহাকে না দেখিতে পাইয়া, তাহার ও তাহার পিতৃপিতামহ, মাতা ও ভগিনীর নানাবিধ অযশ কীত্তন করিতে লাগিলেন। মচিরামও এক বাক্ষান্তরালে থাকিয়া অসফটস্বরে অধিকারী মহাশয়ের পিতৃমাতৃ সম্পবন্ধে তদুপ অপবাদ রটনা করিতে লাগিল। অধিকারী মচিরামের সন্ধান না পাইয়া, সাজঘরে গিয়া বেশ ত্যাগ করিয়া, দ্বার রদ্ধ করিয়া শয়ন করিয়া রহিলেন। দেখিয়া মচিরাম বক্ষচ্ছায়া ত্যাগ করিয়া, বদ্ধদ্বারসমীপে দাঁড়াইয়া অধিকারীকে নানাবিধ অবক্তব্য কদৰ্য ভাষায় মনে মনে সবোধন করিতে লাগিল; এবং উভয় হস্তের অঙ্গঠি উখিত করিয়া তাহাকে কদলীভোজনের অন্যািমতি করিল। তৎপরে রদ্ধ কবাটকে বা কবাটের অন্তরালস্থিত অধিকারীর বদনচন্দ্রকে একটি লাথি BBS DDBBBD DBDDDDD DDB BDBBD DB BBDB DDB DDBB প্ৰভাতে উঠিয়া অধিকারী মহাশয় গ্রামান্তরে যাইবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। শনিলেন, SS dit