পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्किम ब्रा5नाबव्ौं কিন্তু সায্য এমনি প্রচন্ড রশিমময় যে, তাহার গায়ে বিন্দ বিসর্গ কিছ দেখিবার সম্ভাবনা নাই। সায্যের প্রতি চাহিয়া দেখিলেও অন্ধ হইতে হয়। কেবল সন্য গ্রহণের সময় সৰ্য্যেতেজঃ চন্দ্রান্তরালে লক্কায়িত হইলে, তৎপ্রতি দণ্টি করা যায়। তখনও সাধারণ লোকে চক্ষর উপর কালিমাখা কাচ না ধরিয়া, হৃততেজা সৈয্য প্রতিও চাহিতে পারে না। সেই সময়ে যদি কালিমাখা কাচ ত্যাগ করিয়া উত্তম দরবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারা সােয্য প্রতি দটি করা যায়, তবে কতকগলি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার দেখা যায়। পণ্য গ্রাসের সময়ে, অর্থাৎ যখন চন্দ্রান্তরালে সােয্যমণ্ডল লক্কায়িত, তখন দেখা যায়, মন্ডলের চারিপাশ্বে, অপব্ব জ্যোতিৰ্ম্মময় কিরীটিমণডল তাহাকে ঘেরিয়া রহিয়াছে। ইউরোপীয় পন্ডিতেরা ইহাকে “করোনা" বলেন। কিন্তু এই কিরীটিমন্ডল ভিন্ন, আর এক অদ্ভুত বস্তু কখন কখন দেখা যায়। কিরীটিম'লে, ছায়াবত সদায্যের অঙ্গের উপরে সংলগ্ন, অথচ তাহার বাহিরে, কোন দাভেদ্ৰীয় পদার্থ উদ্গত দেখা যায়। ঐ সকল উদ্গত পদার্থ দেখিতে এত ক্ষদ্র যে, তাহা দরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যাতিরেকে দেখা যায় না। কিন্তু দরবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায় বলিয়াই তাহা বহৎ অনামান করিতে হইতেছে। উহা কখন কখন অদ্ধ লক্ষ মাইল উচ্চ দেখা গিয়াছে। ছয়টি পথিবী উপন্যাপরি সাজাইলে এত উচ্চ হয় না। এই সকল উদগত পদার্থের আকার কখন পৰ্ব্ববতশঙ্গবৎ, কখন বা অন্য প্রকার, কখন সায্য হইতে বিযক্তি দেখা গিয়াছে। তাহার বর্ণ কখন উত্তজবল রক্ত, কখন গোলাপী, কখন নীল কপিাশ । পন্ডিতেরা বিশেষ অন্যসন্ধান দ্বারা স্থির করিয়াছেন যে, এ সকল সায্যের অংশ। প্রথমে কেহ কেহ বিবেচনা করিয়াছিলেন যে, এ সকল সৌর পািব্বতি; পরে সােয্য হইতে তাহার বিয়োগ দেখিয়া সে মত ত্যাগ করলেন। এক্ষণে নিঃসংশয় প্রমাণ হইয়াছে যে, এই সকল বহৎ পদাৰ্থ সােয্যগভর্ণ হইতে উৎক্ষিপ্ত। য্যেরােপ পাথিবি আগ্নেয়গিরি হইতে দ্রব বা বায়বীয় পদাৰ্থীসকল উৎপতিত হইয়া গিরিশাঙ্গের উপরে মেঘাকারে দন্ট হইতে পারে, এই সকল সৌর মেঘও তদুপ; উৎক্ষিপ্ত বস্তু గోপরি পািনঃ পতিত হয়, ততক্ষণ পৰ্যন্ত স্তপোকারে পথিবী হইতে লক্ষ্য থাকে । এক্ষণে পাঠক বিবেচনা করিয়া দেখােন যে, এইরুপ একখানি সৌর মেঘ বা স্তপে দরবীক্ষণে দেখিলে কি বঝিতে হয়। বঝিতে হয় যে, এক প্রকান্ড প্রদেশ লইয়া এক বিষম বিপ্লব উপস্থিত হইয়াছে। সেই সকল উৎপােতকালে সােযাগভনিক্ষিপ্ত পদার্থ রাশি, এতাদশ বহন্দরেব্যাপী হয় যে, তন্মধ্যে এই পথিবীর ন্যায় অনেকগালি পথিবী ডুবিয়া থাকিতে পারে। এইরপে সৌরোৎপাত অনেকেই প্রফেসর ইয়ঙের পকেবা দেখিয়াছেন; কিন্তু প্রফেসর ইয়ঙৰ যাহা দেখিয়াছেন, তাহা আবার বিশেষ বিস্ময়কর। বেলা দই প্রহরের সময়ে তিনি সােয্যমন্ডল দরবীক্ষণ দ্বারা অবেক্ষণ করিতেছিলেন। তৎকালে গ্ৰহণাদি কিছ ছিল না। পব্বে গ্রহণের সাহায্য ব্যতীত কেহ কখন এই সকল ব্যাপার নয়নগোচর করে নাই, কিন্তু ডাক্তার হাগিন্স প্রথমে বিনা গ্রহণে এ সকল ব্যাপার দেখিবার উপায় প্রদর্শন করেন। প্রফেসর ইয়ঙৰ এরপ বিজ্ঞানকুশলী যে, তিনি সয্যের প্রচন্ড তেজের সময়েও ঐ সকল সৌরস্তাপের আতপচিত্ৰ পৰ্যন্ত গ্রহণ করিতে সমর্থ হইয়াছেন। কথিত সময়ে প্রফেসর ইয়ঙ দরবীক্ষণে দেখিতেছিলেন যে, সয্যের উপরি ভাগে একখানি মেঘবৎ পদাৰ্থ দেখা যাইতেছে। অন্যান্য উপায় দ্বারা সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে, পথিবী যেরপ বায়বীয় আবরণে বেন্টিত, সােয্যমণ্ডলও তদুপ। ঐ মেঘবং পদাৰ্থ সৌর বায়ার উপরে ভাসিতেছিল। পাঁচটি স্তম্ভের ন্যায় আধারের উপরে উহা আরঢ়ি দেখা যাইতেছিল। প্রফেসর ইয়ঙৰ পৰ্যবদিন বেলা দই প্রহর হইতে ঐ রােপই দেখিতেছিলেন। তদবধি তাহার পরিবত্তানের কোন লক্ষণই দেখেন নাই। স্তম্ভগলি উক্তজবল, মেঘখানি বহৎ-তদ্ভিন্ন মেঘের নিবিড়তা বা উতজৰলতা কিছই ছিল না। সক্ষম সক্ষম সত্রাকার কতকগালি পদার্থের সমটির ন্যায় দেখাইতেছিল। এই অপব্ব মেঘ সৌর বায়ার উপরে পঞ্চদশ সহস্র মাইল উদ্ধের্ব ভাসিতেছিল। ইহা বলা বাহাল্য যে, প্রফেসর ইয়ঙৰ ইহার দৈর্ঘ্য-প্ৰস্থও মাপিয়াছিলেন। তাহার দৈর্ঘ্য লক্ষ মাইল-প্রস্থ ৫৪,০০০ মাইল। বারটি পথিবী সারি সারি সাজাইলে, তাহার দৈঘ্যের সমান হয় না-ছয়টি পথিবী সারি সারি সাজাইলে, তাহার প্রস্থের সমান হয় না। DS)0