পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eur" " " - *్య N 'א & ካነ t সাহিত্য-প্রমুজ, -8ல. A R. N. W १ Te_ ! I " প্রথম খন্ডে বঙ্কিম-জীবনী সংক্ষেপে প্রদত্ত হইয়াছে । তৈলঙ্কাতে আমরুম, ৬ ‘夺 কথাও বলিয়াছি। “বঙ্গদশন” প্রকাশের তিন-চারি বৎসর পক্বে হইতেই বিভিন্ন রচনা ও বক্তৃতায় বঙ্কিমচন্দ্ৰ সাধারণভাবে বাঙালী সমাজের এবং বিশেষভাবে বাংলা সাহিত্যের উন্নতি করিতেছিলেন। বেঙ্গল সোস্যাল সায়েন্স এসোসিয়েশন বা বঙ্গীয় সমাজবিজ্ঞান সভায় প্রদত্ত দাইটি বক্তৃতা এবং ‘কলিকাতা রিভিয়াতে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ পাঠে এ বিষয়ে আমরা অবগত হই। প্রথম দাইটি ছিল যথাক্রমে বাংলার পালপাৰাবণ এবং বাংলা সাহিত্যের উপর। ‘কলিকাতা রিভিয়ার বাংলা সাহিত্য সম্পবন্ধে বিশদ আলোচনা। সাহিত্যবিষয়ক দাইটি প্রবন্ধেই বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের উন্নতির অন্ততঃ তিনটি অন্তরায় নিন্দেশ করেন, যথা(১) ইংরেজী শিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বাংলা সাহিত্য চচ্চায় অন্যরাগ ও অমনোযোগ, (২) সাহিত্য-পান্তকের যথোপযক্ত সমালোচনার অভাব এবং (৩) জ্ঞানগভর্ণ ও বদ্ধিগ্রাহ্য কঠিন বিষয়সমহ পৰন্তকে প্রদত্ত হইলে তাহা বাঙালী পাঠক বঝিবে না। এই ধারণা-বশে সহজ করিয়া বাংলা পাস্তক গ্রন্থন। এই অন্তরায়গালি বিদারণের নিমিত্ত বঙ্কিমচন্দ্র কয়েক বৎসর যাবৎ চিন্তা করিতেছিলেন; শািন্ধ বক্তৃতায় বা প্রবন্ধে নহে, ঘরোয়া বৈঠকেও বন্ধ-বান্ধবদের সঙ্গে তিনি এ সম্পবন্ধে বিশেষ আলোচনায় প্রবত্ত হন। এই সকল চিন্তা-ভাবনা-আলোচনার ফল বঙ্কিমচন্দ্ৰ কর্তৃক 'বঙ্গদর্শন’ প্রকাশ (বৈশাখ ১২৭১ বঙ্গাব্দ)। “বঙ্গদর্শন’ যে মনন-সাহিত্যে যােগান্তর সন্টি করে, ইহার প্রকাশারম্ভ হইতেই তাহা উপলব্ধি হইতে থাকে। এই পত্ৰিকাখানির লেখকগোষ্ঠীর মধ্যে নবীন প্রবীণ বহন ব্যক্তিই ছিলেন। নবীনদের মধ্যে পরবত্তী কালে অনেকে সপন্ডিত ও সীসাহিত্যিক বলিয়া প্রখ্যাতও হইয়াছিলেন। কিন্তু সকলের মলে ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। “বঙ্গদর্শন’ সপরিচালন ও সম্ঠ সম্পাদনে তিনি কঠোর পরিশ্রম করিতেন, বাহ বিনিদ্র রাজনীও তাঁহাকে কাটাইতে হইত।-তিনি নিজে এ কথা বলিয়া গিয়াছেন। মাসের পর মাস ‘বঙ্গদর্শনের বহলাংশ তিনি রচনা করিয়া পরিণা করিতেন। বঙ্কিমচন্দ্ৰ সাহিত্যক্ষেত্রে যে কঠোর সাধনায় লিপ্ত হইয়াছিলেন তাহাতে তাঁহার লেখনী সোনার কুঃ ইয়া দাঁড়ায়; যাহাই লিখতেন এই সােনার কাঠির পর্শে তাহাই যেন সােনা হইয়া গত শতাব্দীর ষািঠ দশকের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের একখানি ইংরেজী উপন্যাস (Rajmohan's Wife) এবং তিনখানি বাংলা উপন্যাস (“দগেশনন্দিনী’, ‘কপালকুন্ডলা’ এবং “মাণালিনী”)। প্রকাশিত হইয়াছিল। ‘দগেশনন্দিনী’ প্রকাশ হইবা মাত্র বঙ্কিমচন্দ্ৰ ষে প্রশংসা লাভ করিয়াছিলেন, অন্যান্য উপন্যাসগলিও পর পর বাহির হইলে অনােরােপ অভিনন্দনই পাইতে থাকেন। ইংরেজী শিক্ষিত পাঠক-সমাজ বাংলা সাহিত্যে এক অভিনব যাগের সচেনা এই উপন্যাসগলির মধ্যে দেখিতে পাইলেন। বিশেষ বিশেষ ঘটনা। এই সকল উপন্যাসের উপজীব্য হইলেও বঙ্কিমচন্দ্রকে বাঙালী সমাজ লইয়াই আলোচনা করিতে হইয়াছিল। বাঙালীর সখেদঃখ অভাব-অনটন, আচার-আচরণ, ইতিহাস-ঐতিহ্য এ সকল দিকেও তাঁহার লেখনী পরিচালিত হইতেছিল। বঙ্কিমচন্দ্ৰ পাশ্চাত্ত্য শিক্ষায় ব্যুৎপন্ন। উচ্চশিক্ষিত’ হইয়াও, অন্য দশ জনের মত ইঙ্গবঙ্গীভূত না হইয়া কিরাপে তিনি বাঙালী তথা সত্বদেশী ভাবাপন্ন হইয়া উঠিলেন, ইহা বাস্তবিকই অনসন্ধেয় বিষয়। বঙিকমচন্দ্রের কলেজী শিক্ষা কলেজ পরিত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই পরিসমাপ্ত না হইয়া ঐ সময়ের অগ্রগামী ভাবধারার সঙ্গে পরিচয়ের প্রকৃষ্ট পন্থা হইয়া দাঁড়ায়। আর এই ভাবধারার সঙ্গে পরিচয়লাভের ফলেই তিনি যে সমাজ তথা মানব-সেবায় উদ্বদ্ধ এবং প্রবত্ত হইয়াছিলেন তাহাও সম্যক বঝা যায়। বঙ্কিমচন্দ্ৰ “সাম্য প্রবন্ধে শাক্যসিংহ এবং যীশগ্ৰীস্টের স্তরে ‘সাম্যাবতার রসোকে করিয়াছিলেন, পস্তকখানির প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও জীবিত-কালে আর প্রকাশিত করেন নাই। কিন্তু প্রথম জীবনে বঙ্কিমচন্দ্ৰ পাশ্চাত্ত্য ভাবধারায় কতখানি প্রভাবিত হইয়াছিলেন, এই একটি