পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्किन ब्रफ़नावनी ৪৫৮,oooooooooooo বার প্রক্ষিপ্ত হয়, তাহা রক্তবর্ণ। পীত তরঙ্গ, এক ইণ্ডিতে ৪৪,ooo বার, এবং প্রতি সেকেন্ডে ৫৩৫,oooooooooooo বার, প্রক্ষিপ্ত হয়। এবং নীল তরঙ্গ প্রতি ইণ্ডিতে ৫১,১১০ বার এবং প্রতি সেকেন্ডে ৬২২,oooooooooooo বার প্রক্ষিপ্ত হয়। পরিমাণের রহস্য ইহা অপেক্ষা আর কি বলিব ? এমন অনেক নক্ষত্র আছে যে, তাহার আলোক পথিবীতে পঞ্চাশ বৎসরেও পৌছে না। সেই নক্ষত্র হইতে যে আলোকরেখা আমাদের নয়নে আসিয়া লাগে, তাহার তরঙ্গসকল কতবার প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে ? এবার যখন রাত্রে আকাশ প্রতি চাহিবে, তখন এই কথাটি একবার মনে করিও । (সমন্দ্রি-তরঙ্গ) এই অচিন্ত্য বেগবান সক্ষম হইতে সক্ষম জ্যোতিস্তরঙ্গের আলোচনার পর, পার্থিব জলের তরঙ্গমালার আলোচনা অবিধেয় নহে। জ্যোতিস্তরঙ্গের বেগের পরে, সমদ্রের ঢেউকে আচল মনে করিলেও হয়। তথাপি সাগর-তরঙ্গের বেগ মন্দ নহে। ফিন্ডলে সাহেব প্রমাণ করিয়াছেন যে, অতি বহৎ সাগরোশিমািসকল ঘণ্টায় ২০ মাইল হইতে ২৭৷০ মাইল পৰ্যন্ত বেগে ধাবিত হয়। সেকারেসবি সাহেব গণনা করিয়াছেন যে, আটলাণ্টিক সাগরের তরঙ্গ ঘণ্টায় প্রায় ৩৩ মাইল চলে। এই বেগ ভারতবষীয় বাহুপৰীয় রথের বেগের অপেক্ষা ক্ষিপ্ৰতর। যাঁহারা বাঙ্গালার নদীবগে নৌকারোহণ করিতে ভীত, সাগরোমির পরিমাণ সম্বন্ধে তাঁহাদের কিরােপ অন্যমান, তাহা বলিতে পারি না। উপকথায় “তালগাছপ্রমাণ ঢেউ” শানা যায়-কিন্তু কেহ তাহা বিশ্বাস করে না। সমদ্রে তদপেক্ষা উচ্চতর ঢেউ উঠিয়া থাকে। ফিন্ডলে সাহেব লিখেন, ১৮৪৩ অব্দে কৰ্ম্মবলের নিকট ৩oo ফিট অর্থাৎ ২oo হাত উচ্চ ঢেউ উঠিয়াছিল। ১৮২০ সালে নরওয়ে প্রদেশের নিকট ৪oo ফিট পরিমিত ঢেউ উঠিয়াছিল। সমাদের ঢেউ অনেক দরে চলে। উত্তমাশা অন্তরীপে উদ্ভূত মগ্ন তরঙ্গ তিন সহস্র মাইল দীরস্থ উপদ্বীপে প্ৰহত হইয়া থাকে। আচাৰ্য্য বাচ বলেন যে, জাপান দ্বীপাবলীর অন্তগত সৈমোদা নামক স্থানে একটা ভূমিকম্প হয়; তাহাতে ঐ স্থানসমীপস্থ “পোতাশ্রয়ে” এক বহৎ উৰ্ম্মি প্রবেশ করিয়া, সরিয়া আসিলে পোতাশ্রয় জলশান্য হইয়া পড়ে। সেই ঢেউ প্রশান্ত মহাসাগরের পরপারে, সানফ্রনসিস্কো নগরের উপকালে প্ৰহত হয়। সৈমোদা হইতে ঐ নগর ৪৮.ool মাইল। তরঙ্গরাজ ১২ ঘণ্টা ১৬ মিনিটে পার হইয়াছিলেন অর্থাৎ মিনিটে ৬০ মাইল 5ळ्नशाच्छ्6ळ्नन् । doFLAGKPS এই বঙ্গদেশের সাহিত্যে চন্দ্রদেব অনেক কায্য করিয়াছেন। বর্ণনায়, উপমায়,-বিচ্ছেদে, মিলনে,-অলঙ্কারে, খোেশামোদে-তিনি উলটি পালটি খাইয়াছেন। চন্দ্ৰবদন, চন্দ্ররাশিম, চন্দ্রকরলেখা, শশী, মসি ইত্যাদি সাধারণ ভোগ্য সামগ্রী অকাতরে বিতরণ করিয়াছেন; কখন স্ত্রীলোকের সঙ্কন্ধোপরি ছড়াছড়ি, তখন তাঁহাদিগের নখরে গড়াগড়ি গিয়াছেন; সাধাকর হিমকরকরনিকর, মাগাঙ্ক, শশাঙ্ক, কলঙ্ক প্রভৃতি অন্যপ্ৰাসে, বাঙ্গালী বালকের মনোমান্ধ করিয়াছেন। কিন্তু এই উনবিংশ শতাব্দীতে এইরােপ কেবল সাহিত্য-কুঞ্জে লীলা খেলা করিয়া, কার। সাধ্য নিস্তার পায় ? বিজ্ঞান-দৈত্য সকল পথ ঘেরিয়া বসিয়া আছে। আজি চন্দ্রদেবকে বিজ্ঞানে ধরিয়াছে, ছাড়াছাড়ি নাই। আর সাধের সাহিত্য-বান্দাবনে লীলা খেলা চলে নাকুঞ্জম্বারে সাহেব অকুর রথ আনাইয়া দাঁড়াইয়া আছে; চল, চন্দ্র, বিজ্ঞান-মথ রায় চল; একটা কংস বধ করিতে হইবে। যখন অভিমন্য-শোকে ভদ্ৰাজজন অত্যন্ত কাতর, তখন তাঁহাদিগের প্রবোধাৰ্থ কথিত হইয়াছিল যে, অভিমন্য, চন্দ্ৰলোকে গমন করিয়াছেন। আমরাও যখন নীলগগন-সমন্দ্রে এই সবণের দ্বীপ দেখি, আমরাও মনে করি, বঝি এই সবৰ্ণময় লোকে সোনার মানষে সোনার থালে সোনার মাছ ভাজিয়া সোনার ভাত খায়, হীরার সরবত পান করে, এবং অপব্ব পদার্থের শয্যায় শয়ন করিয়া সর্বপ্নশন্য নিদ্রায় কাল কাটায়। বিজ্ঞান বলে, তাহা নহে—এ পোড়া লোকে যেন কেহ যায় না-এ দন্ধ মরভূমি মাত্র। এ বিষয়ে কিঞ্চিৎ বলিব। S6:V N