পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बश्कत्र ब्रष्नाबव्ी এই ত পোড়া চন্দ্ৰলোক! এক্ষণে জিজ্ঞাসা, এখানে জীবের বসতি আছে কি ? আমরা যত দর জানি, জল বায় ভিন্ন জীবের বসতি নাই; যেখানে জল বা বায় নাই, সেখানে আমাদের জ্ঞানগোচরে জীব থাকিতে পারে না। যদি চন্দ্রলোকে জল বায় থাকে, তবে সেখানে জীব থাকিতে পারে; যদি জল বায় না থাকে, তবে জীব নাই, এক প্রকার সিদ্ধ করিতে পারি। এক্ষণে দেখা যাউক, তদ্বিষয়ে কি প্রমাণ আছে। মনে কর, চন্দ্র পথিবীর ন্যায় বায়বীয় মন্ডলে বেষ্টিত। মনে কর, কোন নক্ষত্র, চন্দ্রের পশ্চাদ্ভাগ দিয়া গতি করবে। ইহাকে জ্যোতিষে সমাবরণ (Occultation) বলা যাইতে পারে। } নক্ষত্র চন্দ্র কর্তৃক সমাবত হইবার কালে প্রথমে, বায়স্তরের পশ্চাদ্বত্তী হইবে; তৎপরে চন্দ্রশরীরের পশ্চাতে লাকাইবে। যখন বায়বীয় স্তরের পশ্চাতে নক্ষত্ৰ যাইবে, তখন নক্ষত্ৰ পৰিবৰ্তমত উদ্ভািজবুল বোধ হইবে না; কেন না, বায় আলোকের কিয়ৎপরিমাণে প্রতিরোধ করিয়া থাকে। নিকটস্থ বস্তু আমরা যত সাপটি দেখি, দারস্থ বস্তু আমরা তত সাপস্ট দেখিতে পাই না—তাহার কারণ, মধ্যবত্তীর্ণ বায়স্তর। অতএব সমাবরণীয় নক্ষত্র ক্রমে হ্রস্বতেজা হইয়া পরে চন্দ্ৰান্তরালে অদশ্য হইবে। কিন্তু এরাপ ঘটিয়া থাকে না। সমাবরণীয় নক্ষত্র একেবারেই নিবিয়া যায়— ঘুকৃত্যুর পথে তাহার উজ্জ্বলতার কিছুমাত্র হ্রাস হয় না। চন্দ্ৰ বায় থাকিলে কখন এরূপ NT । চন্দ্ৰে যে জল নাই, তাহারও প্রমাণ আছে, কিন্তু সে প্রমাণ অতি দারাহ-সাধারণ পাঠককে আলেপ ব্যবৰ্মান যাইবে না। এবং এই সকল প্রমাণ বৰ্ণ-রেখা পরীক্ষক (Spectroscope) যন্ত্রের বিচিত্র পরীক্ষায় স্থিরীকৃত হইয়াছে; চন্দ্ৰলোকে জলও নাই, বায়ও নাই। যদি জল বায় না থাকে, তবে পথিবীবাসী জীবের ন্যায় কোন জীব তথায় নাই। আর একটি কথা বলিয়াই আমরা উপসংহার করিব। চান্দ্রিক উত্তাপও এক্ষণে পরিমিত হইয়াছে। চন্দ্ৰ এক পক্ষকালে আপনি মেরুদন্ডের উপর সম্পবিত্তন করে, অতএব আমাদের এক পক্ষাকালে এক চান্দ্রিক দিবস। এক্ষণে সমরণ করিয়া দেখা যে, পৌষ মাস হইতে জ্যৈষ্ঠ মাসে আমরা এত তাপাধিক্য ভোগ করি, তাহার কারণ-পৌষ মাসে দিন ছোট, জ্যৈািঠ মাসের দিন তিন চারি ঘণ্টা বড়। যদি দিনমান তিন চারি ঘণ্টা মাত্র বড় হইলেই, এত তাপাধিক্য হয়, তবে পাক্ষিক চান্দ্ৰ দিবসে না জানি, চন্দ্র কি ভয়ানক উত্তপ্ত হয়। তাতে আবার পথিবীতে জল, বায়, মেঘ আছে—তজ্ঞজন্য পার্থিব সন্তাপ বিশেষ প্রকারে শমতা প্রাপ্ত হইয়া থাকে, কিন্তু জল বায় মেঘ ইত্যাদি চন্দ্রে কিছই নাই। তাহার উপর আবার চন্দ্ৰ পাষাণময়। অতি সহজে উত্তপ্ত হয়। অতএব চন্দ্রলোক অত্যন্ত তপ্ত হইবারই সম্ভাবনা। বিখ্যাত দরবীক্ষণ নিৰ্ম্মাণকারীর পত্র লর্ড রস চন্দ্রের তাপ পরিমিত করিয়াছেন। তাঁহার অন্যাসন্ধানে স্থিরীকৃত হইয়াছে যে, চন্দ্রের কোন কোন অংশ এত উষ্ণ, তত্তালনায় যে জল অগ্নিসংস্পশে ফটিতেছে, তাহাও শীতল। সে সন্তাপে কোন পার্থিব জীব রক্ষা পাইতে পারে না-মহত্ত জন্যও রক্ষা পাইতে পারে না। এই কি শীতরশিম, হিমকর, সাধাংশ ? হায়! হায়! অন্ধ পত্রকে পদ্মলোচন আর কেমন করিয়া বলিতে হয়!" অতএব সখের চন্দ্রলোক কি প্রকার, তাহা এক্ষণে আমরা একপ্রকার বকিতে পারিয়াছি। চন্দ্রলোক পাষাণময়,-বিন্দীণ, ভগ্ন, ছিন্ন-ভিন্ন, বন্ধাের, দন্ধ, পাষাণময়! জলশন্য, সাগরশন্য, উত্তপ্ত, জব্বলন্ত, নরককুড়তুল্য এই চন্দ্রলোক ! এই জন্য বিজ্ঞানকে কাব্য অাঁটিয়া উঠিতে পারে না। কাব্য গড়ে-বিজ্ঞান ভাঙ্গে ।

  • যদি কেহ বলেন যে, চন্দ্র সম্বয়ং উত্তপ্ত হউন, আমরা তাঁহার আলোকের শৈত্য পশের প্রত্যক্ষ দ্বারা জানিয়া থাকি। বাস্তবিক এ কথা সত্য নহে-আমরা পাপশী দ্বারা চন্দ্রলোকের শৈত্য বা উষ্ণতা কিছই অনভূত করি না। অন্ধকার-রাত্রের অপেক্ষা জ্যোৎস্না রাত্রি শীতল এ কথা যদি কেহ মনে করেন, তবে সে তাঁহার মনের বিকার মাত্র। বরং চন্দ্রালোকে কিশ্চিৎ সন্তাপ আছে; সেটকু এত অলপ যে, তাহা আমাদিগের সম্পশের অন্যভবনীয় নহে। কিন্তু জান্তেদেশী, মেলনি, পিয়াজি প্রভৃতি বৈজ্ঞানিকেরা পরীক্ষার দ্বারা তাহা সিদ্ধ করিয়াছেন।

f cकन ना, बाश नाई।