পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बष्किअ ब्रा5नाबकी হৃদয়োদ্ভেদ হয়। যে বাল্যকালের ক্রীড়ার সঙ্গিনী, কৈশোরে জীবনসখের প্রথম শিক্ষাদাত্রী, যৌবনে যে সংসারসৌন্দয্যের প্রতিমা, বাদ্ধক্যে যে জীবনাবলম্বন—ভাল বাসক বা না বাসক, কে সে স্ত্রীকে ত্যাগ করিতে পারে ? গহে যে দাসী, শয়নে যে অপসরা, বিপদে যে বন্ধ, রোগে যে বৈদ্য, কায্যে যে মন্ত্রী, ক্রীড়ায় যে সখী, বিদ্যায় যে শিষ্য, ধৰ্ম্মে যে গর-ভাল বাসক বা না বাসক, কে সে স্ত্রীকে সহজে বিসর্জন করিতে পারে? আশ্রমে যে আরাম, প্রবাসে যে চিন্তা-সবাস্থ্যে যে সখি, রোগে যে ঔষধ-অজ্ঞজনে যে লক্ষয়ী, ব্যয়ে যে যশঃ,-বিপদে যে বদ্ধি, সম্পদে যে শোভা-ভাল বাসক বা না বাসক, কে সে সন্ত্রীকে সহজে বিসর্জন করিতে পারে ? আর যে ভাল বাসে, পত্নী বিসজজন তাহার পক্ষে কি ভয়ানক দীঘটনা! আবার যে রামের ন্যায়। ভাল বাসে ? যে পত্নীর সপশমাত্রে অস্থিরচিত্ত-জানে না যে, “সখমিতি বা দঃখামিতি বা, প্ৰবোধো নিদ্রা বা কিম বিষবিষপঃ কিম মন্দঃ। তব সপশোঁ সপশে মম হি পরিমাঢ়েন্দ্ৰিয়গণো, বিকারশৈচতনাং ভ্ৰময়তি সমন্মীলয়তি চ৷”* যাহার পক্ষে “মালানিস্য জীবকুসমস্য বিকাশনানি, সন্তপণানি সকলোন্দ্রিয়মোহনানি । এতানি তে সবচনানি সরোরহাক্ষি, কণামতানি মনসশচ রসায়নানি৷ যাহার বাহ সীতার চিরকালের উপাধ্যান সবােপহেতুরনাপাশ্রিতোহনায়া, রামবােহরপধানিমেষ তো৷” যার পত্নী —“গেহে লক্ষন্মীরিয়মমািতবত্তি নয়নয়োরসাবস্যাঃ সপশো বপষি বহলশচন্দনরসঃ। অয়ং কণ্ঠে বাহঃ শিশিরমসাণো মৌক্তিকসরঃ ”$ তাহার কি কষ্ট, কি সব্বনাশ, কি জীবনসঙ্কবািবধবংসাধিক যন্ত্রণা! তৃতীয়াঙ্কে সেই যন্ত্রণার উপযক্ত চিত্র প্রণয়নের উদ্যোগেই প্রথমাঙ্কে কবি এই প্রণয় চিত্ৰিত করিয়াছেন। এই প্রণয় সব্ব প্ৰফল্লিকর মধ্যাহ্নসােয্য—সেই বিরহযন্ত্রণা ইহার ভাবী করালকাদম্বিনী-যদি সে মেঘের কালিমা অনভব করিবে, তবে আগে সেই সায্যের প্রখরতা দেখা। যদি সেই অনন্ত

  • “এক্ষণে আমি সখিভোগ করিতেছি, কি দঃখভোগ করিতেছি; নিদ্রিত আছি, কি জাগরিত আছি; কিম্বা কোন বিষপ্রবাহ দেহে রক্তপ্রবাহের সহিত মিশ্রিত হইয়া, আমার এরপ অবস্থা ঘটাইয়া দিয়াছে, অথবা মদ (মাদক দ্রব্য সেবন) জনিত মত্ততাবশতঃ এরপ হইতেছে, ইহার কিছই স্থির করিতে পারিতেছি না”।-নসিংহবাবার অন্যবাদ, ৩o পাঠা।

এই প্ৰবন্ধ নসিংহবাবার অন্যবাদের সমালোচনা উপলক্ষে লিখিত হইয়াছিল। অতএব সে অন্যবাদ সব্বাঙ্গে সম্পৰ্ণে না হইলেও তােহাঁই উদ্ধত হইবে। “কমলনয়নে! তোমার এই বাক্যগলি, শোকান্দিসন্তপ্ত জীবনরাপ কুসমের বিকাশক, ইন্দ্ৰিয়গণের মৃত্যু గగా, কণ্যের অমান্তস্বরপ, এবং মনের গ্রানিপরিহারক (রসায়ন) ঔষধস্বরুপ।” ৩১. পাঠা।

  • “রামবাহ বিবাহের সময় হইতে, কি গহে, কি বনে, সব্বত্রই শৈশবাবস্থায় এবং পরে যৌবনাবস্থাতেও তোমার উপাধানের (মাথায় দিবার বালিসের) কাষ্য করিয়াছে।” ঐ ৩১ পন্ঠা।

$ “ইনিই আমার গাহের লক্ষীস্বরপ, ইনিই আমার নয়নের অমতশলাকাস্বরপ, ইহারই এই সপশা গাত্রলগ্ন চন্দন করপে সখিপ্রদ, এবং ইহারই এক বাহ আমার কন্ঠস্থ শীতল এবং কোমল মক্তাহারস্বরূপ।” ঐ ৩১ পাঠা। NdQ,