পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिर्ताबष अवक-छेखब्राफ़ीब्रङ তাঁহার দোষগলিনও মনোহর। কিন্তু গািণতিরেকে যে সকল দোষ, তাহা মনোহর হইলেও দোষ বটে। পরাশরাম অতিরিক্ত পিতৃভক্ত বলিয়া মাতৃহন্তা, তাহা বলিয়া কি মাতৃবধ দোষ নহে ? পাগডবেরা মাতৃ-কথার অতিরিক্ত বশ বলিয়া একটি পত্নীর পণ৪ সবামী, তাই বলিয়া কি অনেকের একপত্নীত্ব দোষ নয় ? রামচন্দ্রও অনেক নিন্দনীয় কৰ্ম্ম করিয়াছেন।-যথা বালিবধ। কিন্তু তিনি যে সকল অপরাধে অপরাধী, তন্মধ্যে এই সীতা বিসঙ্কজ নাপরাধ সব্বাপেক্ষা গরতর। শ্ৰীরামের চরিত্র কোন দোষে কলাষিত করিয়া কবি তাঁহাকে এই অপরাধে অপরাধী কারিয়াছেন, তাহার আলোচনা করা যাউক । যাঁহারা সাম্রাজ্য শাসনে ব্ৰতী হয়েন, প্রজারঞ্জন তাঁহাদিগের একটি মহাদ্ধাশ্চম । গ্রীক ও রোমক ইতিব্বত্তে ইহার অনেক উদাহরণ প্রকাশিত আছে। কিন্তু ইহার সীমাও আছে। সেই সীমা অতিক্ৰম করিলে, ইহা দোেষরাপে পরিণত হয়। যে রাজা প্রজার হিতাৰ্থ আপনার অহিত করেন, সে রাজার প্রজারঞ্জনপ্রবত্তি গণে। ব্রিটিস কৃত আত্মপত্রের বধদন্ডাজ্ঞা এই গণের উদাহরণ। যে রাজা প্রজার প্রিয় হইবার জন্য হিতাহিত সকল কায্যেই প্রবত্ত, সেই রাজার প্রজারঞ্জনপ্রবত্তি দোষ। নাপোলেয়নদিগের যাদ্ধে প্রবত্তি ইহার উদাহরণ। রোবসপীর ও দাতোকৃত বহা প্রজাবিধ ইহার নিকৃষ্টতর উদাহরণ। ভবভূতির রামচন্দ্র এই প্রজারঞ্জনপ্রবত্তির বশীভুত হইয়া সীতাকে বিসর্জন করেন। অনেকে সাবাথ সিদ্ধির জন্য প্রজারঞ্জক ছিলেন। কিন্তু রামচন্দ্রের চরিত্রে সবার্থপরতামাত্র ছিল না। সতরাং তিনি সবাৰ্থ জন্য প্রজারঞ্জনে ব্ৰতী ছিলেন না। প্রজারঞ্জন রাজাদিগের কত্তব্য বলিয়াই, এবং ইক্ষবাকুবংশীয়দিগের কুলধৰ্ম্ম বলিয়াই তাহাতে তাঁহার এতদর দাঢ্য। তিনি স্নেহং দিয়াং তথা সৌখ্যং যদি বা জানকীমপি। আরাধনায় লোকস্য মণ্ডতো নাস্তি মে ব্যথা ॥* এবং দশম খের মখে সীতার অপবাদ শনিয়া বলিলেন, সত্যং কেন্যাপি কায্যেণ লোকস্যারাধনম ব্ৰতং। যৎ পজিতং হি তাতেন মাঞ্চ প্ৰাণাংশ্চ মঞ্চতা৷ ” ভবভূতির রামচন্দ্র এই বিষম ভ্ৰমে ভ্ৰান্ত হইয়া কুলধৰ্ম্মম এবং রাজধৰ্ম্ম পালনাথ, ভাৰ্য্যাকে পবিত্ৰা জানিয়াও ত্যাগ করিলেন। রামায়ণের রামচন্দ্র সেরাপ নহেন। তিনিও জানিতেন যে, সীতা পবিত্ৰা,- অন্তরাত্মা চ মে বেত্তি সীতাং শব্দ্ধং যশস্বিনীম। তিনি কেবল রাজকুলসলভ অকীৰ্ত্তি শঙ্কাবশতঃ পবিত্ৰা পতিমাত্রজীবিতা পত্নীকে ত্যাগ করিলেন। “আমি রাজা শ্ৰীীরামচন্দ্ৰ ইক্ষবাকুবংশীয়, লোকে আমার মহিষীর অপবাদ করে। আমি এ অকীৰ্ত্তি সহিব না-যে সন্ত্রীর লোকাপবাদ, আমি তাহাকে ত্যাগ করিব।” এইরপ রামায়ণের রামচন্দ্রের গকিবইেত চিত্তভাব। বাস্তবিক সব্বত্রই, রামায়ণের রামচন্দ্ৰ হইতে ভবভূতির রামচন্দ্র অধিকতর কোমলপ্ৰকৃতি। ইহার এক কারণ এই উভয় চরিত্র, গ্ৰন্থ রচনার সময়োপযোগী। রামায়ণ প্রাচীন গ্রন্থ। কেহ। কেহ বলেন যে, উত্তরকাণড বালিমীকিপ্রণীত নহে। তাহা হউক বা না হউক, ইহা যে প্রাচীন রচনা, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। তখন আয্যজাতি বীরজাতি ছিলেন। আয্য রাজগণ বীর স্বভাবসম্পন্ন ছিলেন। রামায়ণের রাম মহাবীর, তাঁহার চরিত্র গাম্ভীৰ্য্য এবং ধৈৰ্য্যপরিপািণ । ভবভূতি যৎকালে কবি-তখন ভারতবষীয়েরা আর সে চরিত্রের নহেন। ভোগাকাঙক্ষা, অলসাদির দ্বারা, তাহদের

  • “প্রজারঞ্জনের অন্যুরোধে স্নেহ, দয়া, আত্মসখ, কিবা জানকীকে বিসর্জন করিতে হইলেও আমি কোনরাপ ক্লেশ বোধ করিব না।” নসিংহবাবার অন্যবাদ।

“লোকের আরাধনা করা সাধ ব্যক্তিদের পক্ষে সব্বতোভাবেই বিধেয়, এবং এইটি তাঁহাদের পক্ষে মহৎৱতস্বরূপ। কারণ, পিতা আমাকে এবং প্রাণ পরিত্যাগ করিয়াও তাহা প্রতিপালন করিয়াছিলেন।”-ঐ &