পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী অবষ্ণু কৌশল্যার আলাপ, ইত্যাদি অতি মনােহয়, কিন্তু সে সকল উজ্জত করিবার আর जदकाa aाई । চন্দ্ৰকেতু, অশ্বমেধের অশ্বরক্ষক সূৈন্য লইয়া, বাল্মীকির আশ্রম সন্নিধানে উপনীত হইলেন। তাঁহার অবত্তমানে সৈন্যদিগের সহিত লবের বাচসা হওয়ায় লব অশ্ব হরণ করিলেন এবং যদ্ধে চন্দ্রকেতুর সৈন্যদিগকে পরাস্ত করিলেন। চন্দ্ৰকেতু আসিয়া তাহাদিগের রক্ষায় প্রবত্ত হইলেন। চন্দ্রকেতু এবং লব পরস্পরের প্রতি বিপক্ষতাচরণকালে এত দীর উভয়ে উভয়ের প্রতি সৌজন্য এবং সদ্ব্যবহার করিলেন যে, ইহা-নাটকের এতদংশ পড়িয়া বোধ হয় যে, সভ্যতার চড়াপদবাচ্য কোন ইউরোপীয় জাতি কর্তৃক প্রণীত হইয়াছে। ভবভূতির সময়ে ভারতবষীয়েরা সামাজিক ব্যবহার সম্পবন্ধে বিশেষ উৎকৰ্ষ লাভ করিয়াছিলেন, ইহা তাহার এক প্রমাণ। আকাশে যেরপ নক্ষত্র ছড়ান, ভবভূতির রচনামধ্যে সেইরাপ কবিত্বরত্ন ছড়ান আছে। চতুৰ্থ এবং পশ্চিম অঙ্ক হইতে এই সকল রত্ন আহরণ করিতে পারিলাম না, তথাপি পঞ্চম হইতে দাই একটি উদাহরণ না দিয়া থাকিতে পারা যায় না। লব চন্দ্রকেতুর সৈন্যের সহিত যাদ্ধ করিতেছিলেন, এমন সময়ে চন্দ্রকেতু তাঁহাকে যাদ্ধে আহবান করাতে তাহাদিগকে ত্যাগ করিয়া চন্দ্রকেতুর দিকে ধাবমান হইলেন, “স্তনায়িত্নরবাদিভাবলীনামবমন্দা দিব দপ্তসিংহশাবঃ।” (১) তিনি চন্দ্ৰকেতুর দিকে আসিতেছেন, পরাজিত সৈন্যগণ তখন তাঁহার পশ্চাৎ ধাবিত হইতেছে;- দপেণ কৌতুকবিতা ময়ি বদ্ধলক্ষ্যঃ পশ্চাদবলৈ রনসতোেহয়মদীণ ধন্বা। দ্বেধাসমদ্ধতমারাত্তরলস্য ধত্তে মেঘস্য লাঘবতচাপধারস্য লক্ষমীম৷ (২) নিঃসহায় পদচারী বালকের প্রতি বহ সেনা ধাবমান দেখিয়া চন্দ্রকেতু তাহাদিগকে নিবারণ করিলেন। দেখিয়া লব ভাবিলেন, “কথমনকক্ষপতে নাম ?” ভারতবষীয় কোন গ্রন্থে এরপ বাক্য প্রযক্ত আছে, এ কথা অনেক ইউরোপীয় সহজে বিশ্বাস করিবেন না। লব কর্তৃক জম্ভকাস্ত্র প্রয়োগ বৰ্ণনা অস্বাভাবিক, অতিপ্রাকৃত, এবং অস্পষ্ট হইলেও, আমরা তাহা উদ্ধত না করিয়া থাকিতে পারিলাম না;- পাতালোদরকুঞ্জপঞ্জিততমঃশ্যামৈন ভোজভাকৈরক্তপ্তস্ফারদারীকটেকপিলজ্যোতিজবলন্দীপ্তিভিঃ।। কলপাক্ষেপকঠোর ভৈরবমর্যদ্বস্তৈরবাকীষ্যতে মীললেমঘতড়িৎকড়ারকুৰ্ম্মবৈবািদ্রকেেটরিব৷ (৩) লবের সহিত রামের রপসাদশ্য দেখিয়া, সমন্ত্রের মনে একবার আশা জন্মিয়াই, সীতা নাই, এই কথা মনে পড়াতে সে আশা তখনই নিবারিত হইল। ভাবিলেন, “লতায়াং পািব্বলিনায়াং প্ৰসনস্যাগমঃ কুতঃ!” বদ্ধ সমন্ত্রের মখে এই বাক্য শনিয়া, সহৃদয় পাঠকের রোমিও সম্পবন্ধে দ্বন্ধ মণ্টােগর মাখে কীটদংশিত কুসমকোরকের উপমা মনে পড়িবে। ষািঠাঙ্কের বিস্কম্ভকটি বিশেষ মনোহর। বিদ্যাধর মিথনি গগনমাগে থাকিয়া। লব-চন্দ্রকেতুর যন্ধ দেখিতেছিলেন। যন্ধে তাঁহাদিগের কথোপকথনে বর্ণিত হইয়াছে। শ্ৰীযন্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় লিখিয়াছেন যে, ভবভূতির কাব্যের “মধ্যে মধ্যে সংস্কৃতে এবং প্রাকৃতে এমত দীঘী সমাসঘটিত রচনা আছে, তাহাতে অর্থ বোধ ও রসগ্রহ সম্পবন্ধে ব্যাঘাত ঘটিয়া উঠে।” ভবভূতির অসাধারণ দোষ নির্বাচনকালে বিদ্যাসাগর মহাশয় এই কথা বলিয়াছেন। আমরা (১) যেমন মেঘের শব্দ শনিয়া, দাপ্ত সিংহ-শিশও হস্তি-বিনাশ হইতে নিবত্ত হয়, সেইরােপ। (২) সকৌতুক দিপো আমার প্রতি বদ্ধলক্ষ্য হইয়া ধন উখিত করিয়া, সৈন্যের দ্বারা পশ্চাতে অনািসত হইয়া, ইনি দাই দিক হইতে বায় সম্প্রচালিত এবং ইন্দ্ৰধনাশোভিত মেঘের মত দেখাইতেছেন। (৩) পাতালাভ্যন্তরবত্তীর্ণ কুঞ্জমধ্যে রাশীকৃত অন্ধকারের ন্যায় কৃষ্ণবণ এবং উত্তপ্ত, প্ৰদীপ্ত পিত্তলের পিঙ্গলবৎ জ্যোতিবিশিস্ট জম্ভকাস্ত্রগলির দ্বারা আকাশমন্ডল ব্ৰহ্মা"ডপ্রলয়কালীন দনিবার ভৈরব বায়ার দ্বারা বিক্ষিপ্ত এবং মেঘমিলিত বিদ্যৎকর্তৃক পিঙ্গলবণ এবং গাহষিক্ত প্তিবৎ দেখাইতেছে। NA V