পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নািভকম রচনাবলী অনন্ত বিস্তার এককালে চক্ষে গ্রহণ করিতে হইবে, কাব্য নাটক সমালোচনও সেইরূপ। মহাভারত এবং রামায়ণের অনেকাংশ এমন অপকৃলট যে, তাহা কেহই পড়িতে পারে না। যে আগবীক্ষণিক সমালোচনায় প্রবত্ত হইবে, সে কখনই এই দই ইতিহাসের বিশেষ প্রশংসা করিবে না। কিন্তু মোটের উপর দেখিতে গেলে বলিতে হইবে যে, এই দই ইতিহাসের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কাৰ্য श्रथिवौटऊ उाव्र नाई। মুরুং উত্তরচরিত সর্বন্ধে মােটের উপর দুই চাৰিটা কথা না বললে নয়। অধিক বলিবার ऋान्ा नाश् । কবির প্রধান গণ, সন্টিক্ষমতা। যে কবি সন্টিক্ষম নহেন, তাঁহার রচনায় অন্য অনেক গণ থাকিলেও বিশেষ প্ৰশংসা নাই। কালিদাসের ঋতুসংহার, এবং টমসনের তদ্বিষয়ক কাব্যে উৎকৃষ্ঠািট বাহ্য প্রকৃতি বৰ্ণনা আছে। উভয় গ্ৰন্থই আদ্যোপান্ত সমধর, প্রসাদগণবিশিষ্ট, এবং সবভাবানকারী। তথাপি এই দাই কাব্য প্রধান কাব্য বলিয়া গণ্য হইতে পারে না-কেন না, তদভয়মধ্যে সন্স্টিচাতুৰ্য্য কিছই নাই। সন্টিক্ষমতা মাত্রই প্রশংসনীয় নহে। অনেক ইংরাজি আখ্যায়িকালেখকের রচনামধ্যে নতেন সন্টি অনেক আছে। তথাপি ঐ সকলকে অপকৃলট গ্রন্থমধ্যে গণনা করিতে হয়। কেন না, সেই সকল সন্টি স্বভাবানকারিণী এবং সৌন্দৰ্য্যবিশিষ্টা নহে। অতএব কবির সন্টি সর্বভাবানকারী এবং সৌন্দৰ্য্যবিশিষ্ট না হইলে, কোন প্রশংসা নাই। সৌন্দৰ্য্য এবং সর্বভাবানকারিতা, এই দইয়ের একটি গণ থাকিলেই কবির সন্টির কিছ: প্রশংসা হইল বটে, কিন্তু উভয় গণ না থাকিলে কবিকে প্রধান পদে অভিষিক্ত করা যায় না। আরব্য উপন্যাস বলিয়া যে বিখ্যাত আরব্য গ্রন্থের প্রচার হইয়াছে, তল্লেখকের সন্টির মনোহারিত্ব আছে, সন্দেহ নাই। কিন্তু তাহাতে সর্বভাবানকারিত না থাকায় “আলেফ লয়লা।” পথিবীর অত্যুৎকৃষ্ট কাব্যগ্রন্থমধ্যে গণ্য নহে। কেবল সর্বভাবানকারিণী সন্টিরও বিশেষ প্রশংসা নাই। যেমন জগতে দেখিয়া থাকি, কবির রচনার মধ্যে তাহারই অবিকল প্রতিকৃতি দেখিলে কবির চিত্রনৈপণ্যের প্রশংসা করিতে হয়, কিন্তু তাহাতে চিত্রনৈপণ্যেরই প্রশংসা, সক্ৰিটচাতুষ্যের প্রশংসা কি ? আর তাহাতে কি উপকার হইল ? যাহা বাহিরে দেখিতেছি, তাহাই গ্রন্থে দেখিলাম; তাহাতে আমার লাভ হইল কি ? যথার্থ প্রতিকৃতি দেখিয়া আমোদ আছে বটে-কেবল সর্বভাব-সঙ্গত গণবিশিষ্টা সন্টিতে সেই আমোদ মাত্র জন্মিয়া থাকে। কিন্তু আমোদ ভিন্ন অন্য লাভ যে কাব্যে নাই, সে কাব্য সামান্য বলিয়া গণিতে হয়। অনেকে এই কথা বিস্ময়কর বলিয়া বোধ করিবেন। কি এ দেশে, কি সসভ্য ইউরোপীয় জাতিমধ্যে, অনেক পাঠকেরই এইরহপ সংস্কার যে, ক্ষণিক চিত্তরঞ্জন ভিন্ন কাব্যের অন্য উদ্দেশ্য নাই। বস্তুতঃ অধিকাংশ কাব্যে (বিশেষতঃ গদ্য কাব্যে বা আধনিক নবেলে) এই চিত্তরঞ্জন প্রবত্তিই লক্ষিত হয়-তাহাতে চিত্তরঞ্জন ভিন্ন গ্রন্থকারের অন্য উদ্দেশ্য থাকে না; এবং তাহাতে চিত্তরঞ্জনোপযোগিতা ভিন্ন আর কিছ থাকেও না। কিন্তু সে সকলকে উৎকৃষ্ট কাব্য বলিয়া १ाशा बाशेऊ °ांद्र ना । যদি চিত্তরঞ্জনই কাব্যের উদ্দেশ্য হইল, তবে বেন্থামের তাকে দোষ কি ?* কাব্যেও চিত্তরঞ্জন হয়, শতরঞ্চি খেলায়ও চিত্তরঞ্জন হয়। বরং অনেকেরই ঐবানহো অপেক্ষা একবাজি শতরঞ্চি খেলায় অধিক আমোদ হয়। তবে তাঁহাদের পক্ষে কাব্য হইতে শতরঞ্চি উৎকৃষ্ট বস্তু? এবং সঙ্কট কালিদাসাদি অপেক্ষা একজন পাকা খেলোয়াড় বড় লোক ? অনেকে বলিবেন যে, কাব্যপ্রদত্ত মূল বিশদ্ধ আনন্দ-সেই জন্য কাব্যের ও কবির প্রাধানা। শত্রুপ্তের আমােদ অবিশদ্ধ এরপ তাক যদি অযথাৰ্থ না হয়, তবে চিত্তরঞ্জন ভিন্ন কাব্যের মােখ্য উদ্দেশ্য আর কিছ অবশ্য আছেই আছে। সেটি কি ? অনেকে উত্তর দিবেন, “নীতিশিক্ষা”। যদি তাহা সত্য হয়, তবে “হিতোপদেশ” রঘবংশ

  • বোথাম বলেন, আমোদ সমান হইলে কাব্যের এবং "পপিন খেলার একই দর।

SW