পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विविध अवक-आयछिाऊब्र नका भिन्थ তীৱাতায় এই সখি সব্বােসখাপেক্ষা গরতের; যাঁহারা নৈসগিক শোভাদশনপ্রিয় বা 町 তাঁহারা ইহার অনেক উদাহরণ মনে করিতে পরিবেন; সৌন্দয্যের উপভোগজনিত সখি, অনেক সময়ে তীব্রতায় অসহ্য হইয়া উঠে। তৃতীয়তঃ, অন্যান্য সখি পৌনঃপন্যে অপ্রীতিকর হইয়া উঠে, সৌন্দৰ্য্যজনিত সখি চিরনতেন, এবং চিরপ্রীতিকর। অতএব যাঁহারা মনষ্যেজাতির এই সখবদ্ধন করেন, তাঁহারা মনষ্যেজাতির উপকারকদিগের মধ্যে সব্বোচ্চ পদ প্রাপ্তির যোগ্য। যে ভিখারী খঞ্জনী বাজাইয়া নেড়ার গীত গাইয়া মন্টিভিক্ষা লইয়া যায়, তাহাকে কেহ মনষ্যজাতির মহোপকারী বলিয়া স্বীকার করিবে না বটে, কিন্তু যে বালিমীকি, চিরকালের জন্য কোটি কোটি মনষ্যের অক্ষয় সখি এবং চিত্তোৎকাষের উপায় বিধান করিয়াছেন, তিনি যশের মন্দিরে নিউটন, হাবি, ওয়াট বা জেনারের অপেক্ষা নিম্পন্ন স্থান পাইবার যোগ্য নহেন। অনেকে লেকি, মেকলে প্রভৃতি অসারগ্রাহী লেখকদিগের অন্যবিত্তী হইয়া কবির অপেক্ষা পাদকোকারকে উপকারী বলিয়া উচ্চাসনে বসান ; এই গন্ডমখ দলের মধ্যে আধনিক অদ্ধশিক্ষিত কতকগলি বাঙ্গালি বাবা অগ্রগণ্য। পক্ষান্তরে ইংলন্ডের রাজপরিষ-চড়ামণি গ্রাডিলেটান, সঙ্কটলন্ডজাত মনষ্যদিগের মধ্যে হিউম, আদম স্মিথ, হন্টর, কলাইল থাকিতে ওয়ালটির সঙ্কটকে সব্বোপরি স্থান দিয়াছেন। যেমন মনষ্যের অন্যান্য অভাব পরিণার্থ এক একটি শিলািপবিদ্যা আছে, সৌন্দয্যাকাঙক্ষা পরিণার্থও বিদ্যা আছে। সৌন্দৰ্য্য সািজনের বিবিধ উপায় আছে। উপায়ভেদে সেই বিদ্যা পথক পথক রােপ ধারণ করিয়াছে। আমরা যে সকল সন্দর বস্তু দেখিয়া থাকি, তন্মধ্যে কতকগলির কেবল বণ মাত্র আছে— আর কিছ নাই; যথা আকাশ । আর কতকগালির, বণ ভিন্ন, আকারও আছে; যথা পম্প। কতকগালির, বণ ও আকার ভিন্ন, গতিও আছে; যথা উরগ। কতকগালির, বর্ণ, আকার, গতি ভিন্ন, রব আছে; যথা কোকিল। মনষ্যের বর্ণ, গতি ও রব ব্যতীত অর্থব্যক্ত বাক্য আছে। অতএব সৌন্দৰ্য্য সািজনের জন্য, এই কয়টি সামগ্রী-বণ, আকার, গতি, রব ও অর্থব্যক্তি বাক্য । যে সৌন্দয্যজননী বিদ্যার বণমাত্র অবলম্পােবন, তাহাকে চিত্রবিদ্যা কহে। যে বিদ্যার অবলম্বন আকার, তাহা দ্বিবিধ। জড়ের আকৃতিসৌন্দয্য যে বিদ্যার উদ্দেশ্য, তাহার নাম স্থাপত্য। চেতন বা উদ্ভিদের সৌন্দয্য যে বিদ্যার উদ্দেশ্য, তাহার নাম ভাসািকযT্য । যে সৌন্দৰ্য্যজনিকা বিদ্যার সিদ্ধি গতির দ্বারা, তাহার নাম নিত্য। রব যাহার অবলম্পােবন, সে বিদ্যার নাম সঙ্গীত । বাক্য যাহার অবলম্বন, তাহার নাম কাব্য । কাব্য, সঙ্গীত, নিত্য, ভাস্কৰ্য্য, স্থাপত্য এবং চিত্র, এই ছয়টি সৌন্দৰ্য্যজনিকা বিদ্যা। ইউরোপে এই সকল বিদ্যার যে জাতিবাচক নাম প্রচলিত আছে তাহার অন্যবাদ করিয়া “সক্ষম শিলপ” নাম দেওয়া হইয়াছে। সৌন্দৰ্য্যপ্রসতি এই ছয়টি বিদ্যায় মনষ্যেজীবন ভূষিত ও সখময় করে। ভাগ্যহীন বাঙ্গালির কপালে এ সখি নাই। সক্ষম শিলেপির সঙ্গে তাহার বড় বিরোধ। তাহাতে বাঙ্গালির বড় অনাদর, বড় ঘণা। বাঙ্গালি সখী হইতে জানে না। সবীকার করি, সকল দোষটকু বাঙ্গালির নিজের নহে। কতকটা বাঙ্গালির সামাজিক রীতির দোষ-পািব্ব পরিষের ভদ্রাসন পরিত্যাগ করা হইবে না, তাতেই অসংখ্য সন্তান-সন্ততি লইয়া গত্তামধ্যে পিপীলিকার ন্যায়, পিল পিল করিতে হইবে-সতরাং স্থানাভাব্যবশতঃ পরিস্কৃতি এবং সৌন্দৰ্য্যসাধন সম্ভবে না। কতকটা বাঙ্গালির দারিদ্র্যজন্য। সৌন্দৰ্য্য অর্থসাধ্য-অনেকের সংসার চলে না। তাহার উপর সামাজিক রীত্যনসারে আগে পৌরস্ত্ৰীগণের অলঙ্কার, দোেলদ গোৎসবের ব্যয়, পিতৃশ্ৰাদ্ধ, মাতৃশ্ৰাদ্ধ, পত্র-কন্যার বিবাহ দিতে অবস্থার অতিরিক্ত ব্যয় করিতে হইবে।-সে সকল ব্যয় সম্পন্ন করিয়া, শািকরশালা তুল্য কদৰ্য্য স্থানে বাস করিতে হইবে, ইহাই সামাজিক রীতি। ইচ্ছা করিলেও সমাজশঙ্খলে বদ্ধ বাঙ্গালি, সে রীতির বিপরীতচরণ করিতে পারেন। 8.S.O. KI S-SO