পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-ৰাজালির বাহুবল পারে। সতরাং বাঙ্গালিকে অধিক পরিশ্রম করতে হয় না। পরিশ্রম অধিক না করিলে শরীরে DBBDBD DBD DO S DBDBDDD BDBBBD DBBD DBBB BBDD S তাঁহারা আরও বলেন যে, ভূমি উষ্ণবরা হইলে আহারের জন্য মািগয়া পশহননাদির আবশ্যকতা হয় না। পশমহনন ব্যবসায়, বল, সাহস ও পরিশ্রমের কার্য্য, মনীষাকে সর্বদা পরিশ্রমে নিরত রাখে, এবং তাহাতে ঐ সকল গণ অভ্যন্ত এবং সাফাত্তিপ্রাপ্ত হয়। দেখা যাইতেছে যে, বঙ্গদেশ ভিন্ন আরও উন্মবাের দেশ আছে। ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক অংশ বঙ্গদেশাপেক্ষায় উদ্বরতায় নতুন নহে। সে সকল দেশের লোক দৰবল নহে। অনেকে বলেন, জলবায়ার দোষে বাঙ্গালিরা দািবল। ষে দেশের বায় আদ্র অথচ তাপযক্তি, সে দেশের লোক দৰবল। কেন হয়, তাহা শারীরতত্ত্ববিদেরা ভাল করিয়া বঝান নাই। বায়র আদ্রতা সম্পবন্ধে নিম্নলিখিত টীকা পাঠ করিলেই সংশয় দরি হইতে পারে (৩)। আর যাঁহারা ಸ್ಟ್ಗಳ್ಗೆ ಆಗೇ। বীয্য জানেন, তাঁহারা তাপকে দৌবল্যের কারণ বলিয়া সম্বীকার অনেকে মোটামটি বলেন যে, জলসিক্ত তাপযক্ত বায় অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, তন্নিবন্ধন বাঙ্গালিরা নিত্য রািগ্ন, এবং তাহাই বাঙ্গালির দািব্বলতার কারণ। অনেকে বলেন, আনুষই অনাথের মলে। এ দেশের ভূমির প্রধান উৎপাদ্য চাউল, এবং এ দেশের লোকের খাদ্য ভাত। ভাত অতি আসার খাদ্য, তাহাতেই বাঙ্গালির শরীর গঠে না। এজন্য SDDD DDDBSS uDD DBDDDBB BDDD DBBBB শারীরতত্ত্ববিদেরা বলেন যে, খাদ্যের রাসায়নিক বিশ্লেষণ সম্পাদনা করিলে দেখা যায় যে, তাহাতে আটাচ, গ্রটেন প্রভৃতি কয়েকটি সামগ্ৰী আছে। গ্রটেন নাইট্রোজেন-প্রধান সামগ্রী। তাহাতেই শরীরের পন্টি। মাংসপেশী প্রভৃতির পন্টির জন্য এই সামগ্রীর বিশেষ প্রয়োজন। ভাতে ইহা অতি অলপ পরিমাণে থাকে। মাংসে বা গমে ইহা অধিক পরিমাণে থাকে। এই জন্য মাংসভোজী এবং গোধ্যমভোজীদিগের শরীর অধিক বলবান-“ভেতো” জাতির শরীর দৰবল। ময়দায় গ্রটেন শতভাগে দশভাগ থাকে। (৪); মাংসে (Fibrin বা Musculine) ১৯ ভাগ। (৫); এবং ভাতে ৭ কি ৮ ভাগ মাত্র থাকে। (৬)। সতরাং বাঙ্গালি দৰবল হইবে বৈ কি ! কেহ কেহ বলেন, বাল্যবিবাহই বাঙ্গালির পরমশত্ৰ—বাল্যবিবাহের কারণেই বাঙ্গালির শরীর দৰবল। যে সন্তানের মাতা পিতা অপ্রাপ্তবয়ঃ, তাহদের শরীর ও বল চিরকাল অসম্পণে থাকিবে, এবং যাহারা অলপবয়স হইতে ইন্দ্ৰিয়সখে নিরত, তাহারা বলবান হইবার সম্ভাবনা কি ? বাঙ্গালি মনষ্যেরই কি, বাঙ্গালি পাশােরই কি, দািব্বলতা যে জলবায় বা মাত্তিকার গণ, তাহা সহজেই বােকা যায়। কিন্তু জলের বা বায়ার বা মাত্তিকার কোন দোষের এই কুফল, তাহা কোন পন্ডিতে অবধারিত করেন নাই। (e) The high humidity of the atmosphere in Bengal, and more especially in its eastern districts, has become proverbial; and if the term be used in reference to the quantity of vapour in the air as measured by its tension, the popular belief is justified by observations. But if used in the more usual sense of relative humidity, that is, as referring to the percentage of vapour in the air in proportion to that which would saturate it, the average annual humidity of a large part of Bengal is sensibly lower than that of England. The quantity of vapour in the air of Calcutta, relative to the dry air, is on the average of the year, about twice as great as in that of London; but the relative humidity of the former equals that of the latter only in the three first months of the rains, which are among the driest months of an European climate.-Bengal Administration Report, 1872-73, Statistical Summary.-page 5-6. (s) Johnstone's Chemistry of Common Life, Vol. 1, p. 100. (s) Ibid, p. 125. (). Ibid, p. 101. Tdd