পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী পত্রিকে দারিদ্র্যাদঃখে দঃখী করিতে চাহিল; এখানে মাতা সবাথািপর; কেন না, আপনার সখের অভিপ্ৰায়ে অন্যকে দঃখী করিল। মনষ্যের স্নেহ অধিকাংশই এইরুপ প্রণয়ী প্রণয়ভাজন উভয়েরই চিত্তসখকর, কিন্তু সাবাথ পর, পশ্যবিত্ত। কেবল, প্রণয়ী অন্য সখাপেক্ষা প্রণয়সখের অভিলাষী, এই জন্য লোকে এইরুপ চেন্নাহকে অস্বার্থপর বলে। কিন্তু স্নেহের যে সখি, সে স্নেহযক্তেরা; স্নেহযক্ত আপন সখের আকাঙক্ষী বলিয়া, সাধারণ মনষ্যস্নেহকে সাবাথািপর বত্তি বলিতে হইবে। কিন্তু সবার্থসাধন জন্য স্নেহ মনষ্যহাদয়ে স্থাপিত নহে। মানষের যতগলি বত্তি আছে, বোধ হয়, সব্বাপেক্ষা এইটি পবিত্র ও মঙ্গলকর। মনষ্যের চরিত্র এ পৰ্যন্ত তাদশে উৎকর্ষ লাভ করে নাই বলিয়াই মনষ্যস্নেহ অদ্যাপি পশ্যাবৎ। পশবং, কেন না, পশদিগেরও বৎসস্নেহ, দাম্পত্যপ্রণয় এবং বাৎসল্য, দাম্পত্য ব্যতীত পরস্পর অন্যবিধ প্রণয় আছে। প্রথমটি মানষের অপেক্ষা অলপ পরিমাণে নহে। মেহের যথাৰ্থ সাবরােপই অসাবাথপরতা। যে মাতা পত্রের সখের কামনায় পত্রিমখদর্শন কামনা পরিত্যাগ করিলেন, তিনিই যথাৰ্থ স্নেহবতী। যে প্রণয়ী, প্ৰণয়ের পাত্রের মঙ্গলাৰ্থ আপনার প্রণয়জনিত সখিভোগও ত্যাগ করিতে পারিল, সেই প্রণয়ী। যত দিন না। সাধারণ মনষ্যের প্ৰেম, এই রােপ বিশদ্ধতা প্রাপ্ত হইবে, তত দিন মানষের ভালবাসা হইতে সবার্থপরতা কলঙ্ক ঘচিবে না। এবং রেহের যথার্থ সাফাত্তি ঘটিবে না। যেখানে ভালবাসা এইরপ বিশদ্ধি প্রাপ্ত হইবে বা যাহার হৃদয়ে হইয়াছে, সেইখানে ভালবাসার দ্বারায় ভালবাসার অত্যাচার নিবারণ হইতে পারে, এবং হইয়াও থাকে। এরপ বিশদ্ধ প্রণয়বিশিষ্ট মনষ্য দলভি নহে। কিন্তু এ প্রবন্ধে তাঁহাদিগের কথা বলিতেছি না-তাঁহারা অত্যাচারীও নহেন। অন্যত্র, ধর্মের শাসনে প্ৰণয় শাসিত করাই ভালবাসার অত্যাচার নিবারণের একমাত্র উপায়। সে ধৰ্ম্মম কি ? ধন্মের যিনি যে ব্যাখ্যা করন না, ধৰ্ম্ম এক। দাইটি মাত্ৰ মলসন্ত্রে সমস্ত মনষ্যের নীতিশাস্ত্র। কথিত হইতে পারে। তাহার মধ্যে একটি আত্মসম্পবিন্ধীয়, দ্বিতীয়টি পর্যসম্পবিন্ধীয়। যাহা আত্মসম্পবিন্ধীয়, তাহাকে আত্মসংস্কারনীতির মহল বলা যাইতে পারে-এবং আত্মচিত্তের সাফত্তি এবং নিৰ্ম্মলতা রক্ষাই তাহার উদ্দেশ্য। দ্বিতীয়টি, পর সম্পবিন্ধীয় বলিয়াই তাহাকে যথার্থ ধৰ্ম্মনীতির মািল বলা যাইতে পারে। “পরের অনিন্ট করিও না ; সাধ্যানসারে পরের মঙ্গল করিও।” এই মহতী উক্তি জগতীয় তাবদ্ধমশাস্ত্রের একমাত্র মািল, এবং একমাত্র পরিণাম । অন্য যে কোন নৈতিক উক্তি বল না কেন, তাহার আদি ও চরম ইহাতেই বিলীন হইবে । আত্মসংস্কারনীতির সকল তত্ত্বের সহিত, এই মহানীতিতত্ত্বের ঐক্য আছে। এবং পরহিতনীতি এবং আত্মসংস্কারনীতি একই তত্ত্বের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা মাত্র। পরহিতরতি এবং পরের অহিতে বিরতি, ইহাই সমগ্র নীতিশাস্ত্রের সার উপদেশ। অতএব এই ধৰ্ম্মমর্থনীতির মহল সত্ৰাবলম্বন করিলেই ভালবাসার অত্যাচার নিবারণ হইবে। যখন স্নেহশালী ব্যক্তি রেহের পাত্রের কোন কায্যে হস্তক্ষেপ করিতে উদ্যত হয়েন, তখন তাঁহার মনে দঢ় সঙ্কলপ করা উচিত যে, আমি কেবল আপনি সখের জন্য হস্তক্ষেপ করিব না; আপনার ভাবিয়া, যাহার প্রতি স্নেহ করি, তাহার কোন প্রকার অনিন্ট করিব না। আমার যতটকু কািট সহ্য করিতে হয়, করিব; তথাপি তাহার কোন প্রকার অহিতে তাহাকে প্রবত্ত করিব না। এ কথা শানিতে অতি ক্ষদ্র, এবং পরাতন জনশ্রীতির পনরাক্তি বলিয়া বোধ হইতে পারে, কিন্তু ইহার প্রয়োগ সকল সময়ে তত সহজ বোধ হইবে না। উদাহরণ স্বরপ, দশরথকৃত রামনিৰ্ব্ববাসন মীমাংসাৰ্থ গ্রহণ করিব; তন্দ্বারা এই সামান্য নিয়মের প্রয়োগের কঠিনতা অনেকের হৃদয়ঙ্গম হইতে পারিবে। এস্থলে কৈকেয়ী এবং দশরথ উভয়েই ভালবাসার অত্যাচারে প্রবত্ত; কৈকেয়ী দশরথের উপরে; দশরথ রামের উপরে। ইহার মধ্যে কৈকেয়ীর কায্য সবাথািপর এবং নশংস বলিয়া চিরপরিচিত। কৈকেয়ীরা কাৰ্য্য সবার্থপর ও নশংস বটে, তবে তৎপ্রতি যতটা DDD DBBDD DDBBLBLBBS DBuD DDBD D DBD DB DBDB DD Buu BBB BD BBB কামনা করে নাই; আপনার পত্রের শােভ কামনা করিয়াছিল। সত্য বটে, পত্রের মঙ্গলেই মাতার মঙ্গল; কিন্তু যে বঙ্গীয় পিতা-মাতা স্বীয় জাতিপাতের ভয়ে পত্রিকে শিক্ষাৰ্থ ইংলন্ডে যাইতে দেন না, কৈকেয়ীর কায্য তদপেক্ষা যে শতগণে অসাবাথািপর, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। Rise,