পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাৰলী দর্শনেরও উদ্দেশ্য জ্ঞান বটে, কিন্তু জ্ঞানেরও উদ্দেশ্য আছে। সেই উদ্দেশ্য নিঃশ্রেয়স, মক্তি; নিৰবাণ বা তদ্বৎ নামান্তরবিশিস্ট পারলৌকিক অবস্থা। ইউরোপীয় ফিলসফিতে জ্ঞানই সাধনীয়; দশনে জ্ঞান সাধন মাত্র। ইহা ভিন্ন আর একটি গারতের প্রভেদ আছে। ফিলসফির উদ্দেশ্য, জ্ঞানবিশেষ-কখন আধ্যাত্মিক, কখন ভৌতিক, কখন নৈতিক বা সামাজিক জ্ঞান। কিন্তু সব্বত্র পদাৰ্থ মাত্রেরই জ্ঞান দর্শনের উদ্দেশ্য। ফলতঃ সকল প্রকার জ্ঞানই দশনের অন্তগত । সংসার দঃখময়। প্রাকৃতিক বল, সব্বদা মনষ্যে-সখের প্রতিদ্বন্দ্বী। তুমি যাহা কিছ: সখভোগ কর, সে বাহ্য প্রকৃতির সঙ্গে যাদ্ধ করিয়া লাভ কর। মনীষাজীবন, প্রকৃতির সঙ্গে দীঘ সমর মাত্র-যখন তুমি সমরজয়ী হইলে, তখনই কিঞ্চিৎ সখিলাভ করিলে। কিন্তু মনষ্যবল হইতে প্রাকৃতিক বল অনেক গণে গরতর। অতএব মনষ্যের জয় কদাচিৎ-প্রকৃতির জয়ই প্রতিনিয়ত ঘটিয়া থাকে। তবে জীবন যন্ত্রণাময়। আৰ্য্যমতে ইহার আবার পৌনঃপন্য আছে। ইহজন্মে, অনন্ত দঃখে কোনরপে কাটাইয়া, প্রাকৃতিক রণে শেষে পরাস্ত হইয়া, যদি জীব দেহত্যাগ করিল। -তথাপি ক্ষমা নাই-আবার জন্মগ্রহণ করিতে হইবে, আবার সেই অনন্ত দঃখ ভোগ করিতে হইবে-আবার মরিতে হইবে,--আবার জন্মিতে হইবে,--আবার দঃখ। এই অনন্ত দঃখের কি न्दिीद्ध न्पाईरै ? शन्मरक्षाद्ध न्ाङ्छाद्म न्ाग्ने ? ইহাের দই উত্তর আছে। এক উত্তর ইউরোপীয়, আর এক উত্তর ভারতবষীয়। ইউরোপীয়েরা বলেন, প্রকৃতি জোয়; যাহাতে প্রকৃতিকে জয় করিতে পাের, সেই চেন্টা দেখ। এই জীবন-রণে প্রকৃতিকে পরাস্ত করিবার জন্য আয়ন্ধ সংগ্ৰহ করা। সেই আয়ন্ধ, প্রকৃতিকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি নিজেই বলিয়া দিবেন। প্রাকৃতিক তত্ত্ব অধ্যয়ন কর-প্রকৃতির গঞ্জ তত্ত্ব সকল অবগত হইয়া, তাহারই বলে তাহাকে বিজিত করিয়া, মনষ্যেজীবন সখময় করা। এই উত্তরের ফল-ইউরোপীয় বিজ্ঞানশাস্ত্র। ভারতবষীয় উত্তর এই যে, প্রকৃতি অজেয়-যন্ত দিন প্রকৃতির সঙ্গে সম্পবিন্ধ থাকিবে, তত দঃখ থাকিবো। অতএব প্রকৃতির সঙ্গে সম্পবিন্ধবিচ্ছেদই দঃখ নিবারণের একমাত্র উপায়। সমন্বন্ধবিচ্ছেদ কেবল জ্ঞানের দ্বারাই হইতে পারে। এই উত্তরের ফল ভারতবষীয় দশন । সেই জ্ঞান কি ? আকাশকুসম বলিলেই একটি জ্ঞান হয়-কেন না, আকাশ কি, ত আমরা জানি, এবং কসম কি, তাহাও জানি, মনের শক্তির দ্বারা উভয়ের সংযোগ করিতে কিন্তু সে জ্ঞান, দর্শনের উদ্দেশ্য নহে। তাহা ভ্ৰমজ্ঞান। যথাৰ্থ জ্ঞানই দর্শনের উদ্দেশ্য। যথাৰ্থ জ্ঞানকে প্রমাজিজ্ঞান বা প্রমা প্রতীতি বলে । সেই যথাৰ্থ জ্ঞান কি ? BBD DS SDDDBD DDBD DBBD DSDBDD BDDB BBB BDBDDDS কতকগলি বিষয় ইন্দ্ৰিয়ের সাক্ষাৎ সংযোগে জানিতে পারি। ঐ গহ, এই বক্ষ, ঐ নদী, এই পৰ্ব্ববত আমার সম্মখে রহিয়াছে; তাহা আমি চক্ষে দেখিতে পাইতেছি, এজন্য জানি যে, ঐ গহ, এই ব্যক্ষ, ঐ নদী, এই পৰ্ব্ববত আছে। অতএব জ্ঞাতব্য পদার্থের সঙ্গে চক্ষরিন্দ্রিয়ের সংযোগে আমাদিগের এই জ্ঞান লব্ধ হইল (১)। ইহাকে চাক্ষষ প্রত্যক্ষ বলে। এইরপ, গহমধ্যে থাকিয়া শনিতে পাইলাম, মেঘ গজিতেছে, পক্ষী ডাকিতেছে ; এখানে মেঘের ডাক, পক্ষীর রব আমরা কর্ণের দ্বারা প্রত্যক্ষ করিলাম। ইহা শ্রবণ প্রত্যক্ষ। এইরপ চাক্ষষ, শ্রাবণ, ঘণজ্য, ত্বাচ, এবং রাসন, পণেচন্দ্ৰিয়ের সাধ্য পাঁচ প্রত্যক্ষ। মনও একটি ইন্দ্ৰিয় বলিয়া আষ্য দাশ নিকেরা গণিয়া থাকে, অতএব তাঁহারা মানস প্রত্যক্ষের কথা বলেন। মন বহিরিান্দ্ৰিয় নহে । অন্তরিন্দ্ৰয়ের সঙ্গে বহিৰিবষয়ের সাক্ষাৎসংযোগ অসম্ভব। অতএব মানস প্রত্যক্ষে বহির্বিষয় অবগত হওয়া যায় না; কিন্তু অন্তজ্ঞান, মানস প্রত্যক্ষের দ্বারাই হইবে। যে পদাৰ্থ প্রত্যক্ষ হয়, তদ্বিষয়ে আমাদিগের জ্ঞান জন্মে, এবং তদ্ব্যাতিরিক্ত বিষয়ে জ্ঞানও সচিত হয়। আমি রদ্ধদ্বার গহমধ্যে শয়ন করিয়া আছি, এমত সময়ে মেঘের ধবনি শানিলাম, ইহাতে শ্রাবণ প্রত্যক্ষ হইল। কিন্তু সে প্রত্যক্ষ ধৰনির, মেঘের নহে। মেঘ। এখানে আমাদের প্রত্যক্ষের বিষয় নহে। অথচ আমরা জানিতে পারিলাম যে, আকাশে মেঘ আছে! ধৰনির (১) গহ, পৰবতাদি দরে রহিয়াছে-আমাদিগের চক্ষে সংলগ্ন নহে, তবে ইন্দ্ৰিয়ের সংযোগ হইল। কি প্রকারে ? দলটি পদাৰ্থ বিক্ষিপ্ত রশিমর দ্বারা। ঐ রাশিম আমাদিগের নয়নাভ্যন্তরে প্রবেশ করিলে मीको छ्न्न। SSV :