পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबिष अवक्षा-आश्थानभन “নিরীশ্বর সাংখ্যকেই” সাংখ্য বলিতেছি। পতঞ্জলি-প্রণীত যোগশাস্ত্রকে সেশ্বর সাংখ্য বলিয়া থাকে। এ প্রবন্ধে তাহার কোন কথা নাই । সাংখ্যদর্শন অতি প্রাচীন হইলেও, বিশেষ প্রাচীন সাংখ্যগ্রন্থ দেখা যায় না। সাংখ্যপ্রবচনকে অনেকেই কপিল সত্ৰ বলেন, কিন্তু তাহা কখনই কপিলীপ্রণীত নহে। উহা ষে বৌদ্ধ, ন্যায়, মীমাংসা প্রভৃতি দশনের প্রচারের পরে প্রণীত হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ ঐ গ্রন্থমধ্যে আছে। ঐ সকল দর্শনের মত সাংখ্যপ্রবচনে খন্ডন করা দেখা যায়। তদ্ভিন্ন সাংখ্যকারিকা, তত্ত্বসমাস, ভোজবাত্তিক, সাংখ্যাসার, সাংখ্যপ্ৰদীপ, সাংখ্যাতত্ত্বপ্রদীপ ইত্যাদি গ্রন্থ এবং এই সকল গ্রন্থের ভাষ্য টীকা প্রভৃতি বহল গ্রন্থ অপেক্ষাকৃত অভিনব। কপিল অর্থাৎ সাংখ্যদর্শনের প্রথম অধ্যাপকের যে মত, তাহাই আমাদিগের আদরণীয় ও সমালোচ্য; এবং যাহা কাপিল সত্ৰ বলিয়া চলিত, তাহাই আমরা অবলম্বন করিয়া, অতি সংক্ষেপে সাংখ্যদর্শনের স্থল উদ্দেশ্য বাবাইয়া দিবার যত্ন করিব। আমরা যাহা কিছর বালিতেছি, তাহাই যে সাংখ্যোর মত, এমত বিবেচনা কেহ না করেন। যাহা কিছ বলিলে সাংখ্যোর মত ভাল করিয়া বঝা যায়, আমরা তাহাই বলিব। কতকগলি বিজ্ঞ লোকে বলেন, এ সংসার সখের সংসার। আমরা সখের জন্য এ পথিবীতে প্রেরিত হইয়াছি। যাহা কিছ দেখি, জীবের সখের জন্য সন্ট হইয়াছে। জীবের সখি বিধান করিবার জন্যই সন্টিকত্তা জীবকে সন্ট করিয়াছেন। সল্ট জীবের মঙ্গলাথ সন্টিমধ্যে কত কৌশল কে না দেখিতে পায় ? আবার কতকগলি লোক আছেন, তাঁহারাও বিজ্ঞ—তাঁহারাও বলেন, সংসারে সখি ত কই দেখি না-দঃখেরই প্রাধান্য। সন্টিকত্তা কি অভিপ্ৰায়ে জীবের সন্টি করিয়াছেন, তাহা বলিতে পারি না-তােহা মনষ্যবিদ্ধির বিচাৰ্য নহে-কিন্তু সে অভিপ্রায় যাহাই হউক, সংসারে জীবের সখের অপেক্ষা অসংখ অধিক। তুমি বলিবে, ঈশ্বর যে সকল নিয়ম অবধারিত করিয়া দিয়াছেন, সেগালি রক্ষা করিয়া চলিলেই কোন দঃখ নাই, নিয়মের লঙ্ঘনপৌনঃপন্যেই এত দঃখ। আমি বলি, যেখানে ঈশ্বর এমন সকল নিয়ম করিয়াছেন যে, তাহা অতি সহজেই লঙ্ঘন করা যায়, এবং তাহা লঙ্ঘনের প্রবত্তিও অতি বলবতী করিয়া দিয়াছেন, তখন নিয়ম লঙ্ঘন ব্যতীত নিয়ম রক্ষা যে তাঁহার অভিপ্রায়, এ কথা কে বলিবে ? মাদকসেবন পরিণামে মনষ্যের অত্যন্ত দঃখদায়ক —তবে মাদক সেবনের প্রবত্তি মনষ্যের হৃদয়ে রোপিত হইয়াছে কেন ? এবং মাদকসেবন এত সাসাধ্য এবং আশাসখকর কেন ? কতকগলি নিয়ম। এত সহজে লঙ্ঘনীয় যে, তাহা লঙ্ঘন করিবার সময় কিছই জানিতে পারা যায় না। ডাক্তার আঙ্গস স্মিথের পরীক্ষায় সপ্রমাণ হইয়াছে যে, অনেক সময়ে মহৎ অনিষ্কণ্টকারী কাব্বণিক আসিড-প্রধান বায় নিশ্বাসে গ্রহণ করিলে আমাদের কোন কম্পন্ট হয় না। বসন্তাদি রোগের বিষবীজ কখন আমাদিগের শরীরে প্রবেশ করে, তাহা আমরা জানিতেও পারি না। অনেকগলি নিয়ম। এমন আছে যে, তাহার উল্লঙ্ঘনে আমরা সব্বদা কস্ট পাইতেছি; কিন্তু সে নিয়ম কি, তাহা আমাদিগের জানিবার শক্তি নাই। ওলাউঠা রোগ কেন জন্মে, তাহা আমরা এ পৰ্যন্ত জানিতে পারিলাম না। অথচ লক্ষ লক্ষ লোক প্রতি বৎসর। ইহাতে কত দঃখ পাইতেছে। যদি নিয়মটি লঙ্ঘনের ক্ষমতা দিয়া নিয়মটি জানিতে দেন নাই, তবে জীবের মঙ্গল কামনা কোথা ? পিন্ডিত পিতার পত্র গডেমখ; তাহার মােখাঁতার যন্ত্রণায় পিতা রাত্রিদিন যন্ত্রণা পাইতেছেন। মনে কর, শিক্ষার অভাবে সে মাখােতা জন্মে নাই। পত্রটি স্থলবদ্ধি লইয়াই ভুমিল্ঠ হইয়াছিল। কোন নিয়ম লঙ্ঘন করায় পত্রের মস্তিক্ষক অসম্পণে এ নিয়ম কি কখন মনীষীবদ্ধির আয়ত্ত হইবে ? মনে কর, ভবিষ্যতে হইবে। তবে যত দিন সে নিয়ম আবিস্কৃত না হইল, তত দিন যে মনষ্যজাতি দঃখ পাইবে, ইহা সন্টিকত্তার অভিপ্রেত নহে, কেমন করিয়া বলিব ? আবার, আমরা সকল নিয়ম রক্ষা করিতে পারিলেও দঃখ পাইব না, এমত দেখি না। একজন নিয়ম লঙ্ঘন করিতেছে, আর একজন দঃখভোগ করিতেছে। আমার প্ৰিয়বন্ধ আপনার কত্তব্য সাধনাথ রণক্ষেত্রে গিয়া প্ৰাণত্যাগ করিলেন, আমি তাঁহার বিরহযন্ত্রণা ভোগ করিলাম। আমার জলিমবার পশ্চাশ বৎসর পাৰোব যে মন্দ আইন বা মন্দ রাজশাসন হইয়াছে, আমি তাহার ফলভোগ করিতেছি। কাহারও পিতামহ ব্যাধিগ্রহন্ত ছিলেন, পৌত্র কোন নিয়ম লঙ্ঘন না করিয়াও ব্যাধিগ্ৰহন্ত হইতে পারে। আবার গোটাকত এমন গরতের বিষয় আছে যে, সবাভাবিক নিয়মানবত্তী হওয়াতেও দঃখ। 良总9