পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী সত্রে সন্ত্রকার বলেন, “ঈদশ্যেশ্বরসিদ্ধিঃ সিদ্ধা।” সে কি প্রকার ঈশ্বর ? “স হি সন্ববিৎ সব্বকত্তা,” ৩, ৫৬ ৷ তবে সাংখ্য নিরীশ্বর হইল কই ? বাস্তবিক এ কথা ঈশ্বর সম্পবন্ধে উক্ত হয় নাই। সাংখ্যকার বলেন, জ্ঞানেই মাক্তি, আর কিছতেই মাক্তি নাই। পণ্যে, অথবা সত্ত্ববিশাল উদ্ধাবলোকেও মাক্তি নাই; কেন না, তথা হইতে পানজন্ম আছে, এবং জরামরণাদি দঃখ আছে। শেষ এমনও বলেন যে, জগৎকারণে লয় প্রাপ্ত হইলেও মাক্তি নাই; কেন না, তাহা হইতে জলমগ্নের পনরািখানের ন্যায় পািনর খান আছে (৩, ৫৪)। সেই লয়প্রাপ্ত আত্মা সম্পবন্ধে তিনি বলিয়াছেন যে, তিনি “সৰববিৎ এবং সব্বকত্তা।” ইহাকে যদি ঈশ্বর বলিতে চাও, তবে ঈদ শেখর সিদ্ধ। কিন্তু ইনি জগৎসুলটা বা বিধাতা নহেন। “সব্বকত্তা” অর্থে সব্বশক্তিমান, সৰ্ব্ববাসস্টিকারক নহে। अgध नब्रिgछन-टुबन আমরা পকেবা বলিয়াছি, সাংখ্য-প্রবচনকার ঈশ্বর মানেন না, বেদ মানেন। বোধ হয়, পথিবীতে আর কোন দর্শন বা অন্য শাস্ত্ৰ নাই, যাহাতে ধৰ্ম্মপান্তকের প্রামাণ্য সবীকার করে অথচ ধৰ্ম্মপান্তকের বিষয়ীভূত এবং প্রণেতা জগদীশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। এই বেদাভক্তি মরুভূক্স, অতিশয় বিস্ময়কর পদার্থ। আমরা এ বিষয়টি কিঞ্চিৎ সবিস্তরে লিখিতে মন বলেন, বেদশব্দ হইতে সকলের নাম, কম, এবং অবস্থা নিশ্চিমত হইয়াছিল। বেদ, পিতৃ, দেবতা এবং মনষ্যের চক্ষ; অশক্য, অপ্রমেয়; যাহা বেদ হইতে ভিন্ন, তাহা পরকালে নিম্ৰফল, বেদ ভিন্ন গ্ৰন্থ মিথ্যা। ভূত ভবিষ্যৎ বৰ্ত্তমান, শব্দ সপশ রােপ গন্ধ, চতুস্রবণ, ত্ৰিলোক, চতুরাশ্রম, সকলই বেদ হইতে প্রকাশ; বেদ মনষ্যের পরম সাধন; যে বেদজ্ঞ, সেই সৈনাপত্য, রাজ্য, দন্ডনেতৃত্ব এবং সব্বলোকাধিপত্যের যোগ্য। যে বেদজ্ঞ, সে যে আশ্রমেই থাকুক না কেন, সেই ব্রহ্মে লীন হওয়ার যোগ্য। যাহারা ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাস, বেদই তাহদের পক্ষে পরম প্রমাণ । বেদ অজ্ঞের শরণ, জ্ঞানীদেরও শরণা। যাহারা সবগ বা আনন্ত্য কামনা করে, ইহাই তাহাদিগের শরণ। যে ব্রাহ্মণ তিন লোক হত্যা করে, যেখানে সেখানে খায়, তাহার যদি ঋগোিবদ মনে থাকে, তবে তাহার কোন পাপ হয় না। শতপথ ব্ৰাহ্মণ বলেন, বেদান্তগত সব্বভুত। বেদ, সকল ছন্দঃ, স্তোম, প্রাণ, এবং দেবতাগণের আত্মা। বেদই আছে। বেদ অমত। যাহা সত্য, তাহাও বেদ। বিষ্ণপরিাণে আছে, দেবাদির রােপ, নাম, কলম, প্ৰবৰ্ত্তন, বেদশব্দ হইতে সন্ট হইয়াছিল। অন্যত্র ঐ পরাণে বিষ্ণকে বেদময় ও ঋগ যজঃসামাত্মক বলা হইয়াছে। ভারতে শান্তিপক্ষেও আছে যে, বেদ শব্দ হইতে সৰ্ব্বভূতের রূপ নাম কৰ্ম্মােদর ঋক সংহিতার ও তৈত্তিরীয় সংহিতার মঙ্গলাচরণে সায়নাচাৰ্য্য ও মাধবাচায্য লিখিয়াছেন, “বেদ হইতে অখিল জগতের নিম্পমাণ হইয়াছে।” এইরুপ সব্বত্র বেদের মাহাত্ম্য। কোন দেশে কোন ধৰ্ম্ম গ্রন্থের, বাইবেল, কোরাণ প্রভৃতি কিছরই ঈদশ মহিমা কীৰ্ত্তিত হয় নাই। এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, যে বেদ এইরপ সকলের পকেবািগামী বা উৎপত্তির মািল, তাহা কোথা হইতে আসিল ? এ বিষয়ে মতভেদ আছে। কেহ কেহ বলেন, বেদের কত্তা কেহ নাই।-- এ গ্রন্থ কাহারও প্রণীত নহে, ইহা নিত্য এবং অপৌরষেয়। অন্যে বলেন যে, ইহা ঈশ্বরপ্রণীত, সতরাং সন্ট এবং পৌরষেয়। কিন্তু হিন্দীশাস্ত্রের কি আশ্চৰ্য্য বৈচিত্র্য! সকলেই বেদ মানেন, কিন্তু বেদের উৎপত্তি সম্পবন্ধে কোন দাইখানি শাস্ত্রীয় গ্রন্থের ঐক্য নাই। যথা (১) ঋগ্বেদের পরিষসক্তে আছে, বেদপােরষি যজ্ঞ হইতে উৎপন্ন। (২) অথব্ববেদে আছে, স্তম্ভ হইতে ঋগ যজষ সাম অপাক্ষিত হইয়াছিল। (৩) অথবববেদে অন্যত্র আছে যে, ইন্দ্ৰ হইতে বেদের জন্ম। (৪) ঐ বেদের অন্যত্র আছে, ঋগোিবদ কাল হইতে উৎপন্ন। (৫) ঐ বেদে অন্যত্র আছে, বেদ গায়ত্রীমধ্যে নিহিত। R 90