পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম () নাবলী। DDDB BBDD BuuD D BB DDB BBDS “স্বয়ং জিতেন্দ্ৰিয় হইয়া আত্মপরাজয়পকেবািক, ইন্দ্রিয়পরতন্ত্ৰ প্ৰমত্ত বিপক্ষাদিগকে ত পরাজয় করিতেছেন ?” পরে,- “বিপক্ষের রাজ্য আক্রমণকালে আপন অধিকার ত দঢ়রপে সংরক্ষিত করেন ?” পথিবীতে যত সৈনিক জন্মিয়াছেন, তন্মধ্যে হানিবল একজন অত্যুৎকৃষ্ণাট। কিন্তু তিনি এই কথা বিস্মত হওয়াতে সব হারাইয়াছিলেন। তিনি যখন ইতালিতে অনিবাৰ্য্য, সিপিও ত আফ্রিকাতে সৈন্য লইয়া গিয়া তাঁহার কৃত রণজিয়সকল বিফল করিয়াছিলেন। “এবং তাহাদিগকে পরাজিত করিয়া পনেকবার সব সব পদে ত প্রতিষ্ঠিত করিয়া থাকেন ?” রোমকেরা ইহা করিতেন, এবং ভারতবর্ষে ইংরেজেরা ইহা করেন। এই জন্য এতদভয় সাম্রাজ্য क्रेलभ दिग्लाइ ब्लाऊ दर्काब्रशाCछ। নিম্নলিখিত তিনটি বাক্যে সমদায় রাজকাৰ্য্য নিঃশেষে বৰ্ণিত হইয়াছে— “আপনি তা আভ্যন্তরিক ও বাহ্য জনগণ হইতে আপনাকে, আত্মীয় লোক হইতে তাহাদিগকে, এবং পরস্পর হইতে পরস্পরকে রক্ষা করিয়া থাকেন ?” তাহার পর বজোট ও এন্টিমেটের কথা“আয়ব্যয়নিযক্ত গণক ও লেখকবগা আপনার আয়সকল পৰিবাহে ত নিরাপণ করিতেছে ?” আমরা জানিতাম, এটি ভারতবর্ষে উইলসন সাহেবের সলিস্ট; কিন্তু তাহা নহে। 今R颈一 “রাজ্যস্থ কৃষকেরা ত সন্তুষ্টচিত্তে কালব্যাপন করিতেছে ?" এই কথা নারদ। যেমন যধিস্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, আমরা তেমনি ভারতবষীয় রাজপ্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসা করি। অনেকের বোধ আছে, “ইরিগেশ্যন ডিপার্টমেণ্ট"টি ভারতবর্ষে একটি নতন কান্ড দেখাইতেছে। তাহা নহে। নারদ বলিতেছেন “রাজ্যমধ্যে স্থানে স্থানে সলিলপণে বহৎ বহৎ তড়িাগ ও সরোবর সকল ত নিখাত হইয়াছে ? কৃষিকাৰ্য্য ত বান্টিনিরপেক্ষ হইয়া সম্পন্ন হইতেছে ?” এ কথা ইংরেজীদিগের মনে থাকিলে উড়িষ্যাদিতে দভিক্ষ ঘটিত না। নিম্নলিখিত বাক্যটির প্রতি ব্রিটিশ গবৰ্ণমেন্ট মনোযোগ করিলে আমাদিগের বিবেচনায় उठाव्य श्व। “কৃষকদিগের গহে বীজ ও অন্নাদির ত অসন্তাব নাই। আবশ্যক হইলে তা পাদিক বদ্ধিতে অনগ্রহসােবরােপ শতসংখ্যক ঋণ দান করিয়া থাকেন।” এক্ষণে এই নিয়মের অভাবে এ দেশের কৃষকেরা মহাজনের নিকট বিক্রীত। মহাজনের নিকটেও সকলে সকল সময়ে পায় না-অনেকেই আন্নাভাবে শীণ-বীজাভাবে ভরসাশন্য। যে পায়, সেও দ্বিপাদ, বদ্ধিতে নাহিলে পায় না। অনেকে বলিবেন যে, যে অর্থশাস্ত্র অনবগত, অর্থশাস্ত্রীঘটিত যে আপত্তি, তাহা আমরা অবগত আছি এবং মহাভারতকারও অবগত ছিলেন। এই জন্যই নারদের ঐ বাক্যমধ্যেই তিনটি গারতের নিয়ম সন্নিবিল্ট আছে। প্রথম-“আবশ্যক হইলে” ঋণ দিতে বলিতেছেন-ইহার অর্থ যে, যাহাকে না দিলে চলে না, তাহাকেই দিবেন। অতএব যে মহাজনের নিকট ঋণ পাইতে পরিবে, তাহাকে ঋণ দেওয়া এই কথায় প্রতিষিদ্ধ হইল। সতরাং রাজা ব্যবসায়ী হইলেন না। যাহাকে রাজা না দিলে সে দন্দশাগ্রান্ত হইবে, তাহাকেই দিবেন। দ্বিতীয়তঃ “অনগ্রহসােবর প” দিবেন।--অর্থাৎ ব্যবসায়ীর ন্যায় লাভাকাঙক্ষায় দিবেন না। তবে পাদিক বদ্ধির কথা কেন ? এ নিয়ম না করিলে যে সে নিম্পপ্রয়োজনেও ঋণ লাইবার সম্ভাবনা-বর্ণগুক জাতি সৰস্বত্রই আছে। আর ঋণ দিলেই কতক আদায় হয়, কতক আদায় হয় না। যদি বদ্ধির নিয়ম না থাকে, তবে রাজাকে ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয়। ক্ষতি সবীকার করিয়া রাজকোষ হইতে ঋণ দিতে হইলে রাজ্য চলা ভার। তৃতীয়তঃ “শতসংখ্যক” ঋণ দিবে-ইহার উদ্ধৰ দিবে না। অর্থাৎ প্রজার জীবননিঝবাহাথে যে পর্যন্ত প্রয়োজন, তাহাই রাজা ঋণস্বরপ Հ8է: