পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विविक्ष अवक-थातौना qबर नबीना কারণ; পরিষ বলিন্ঠ, সতরাং পরষই কাৰ্য্যকত্তা: সত্ৰীজাতিকে কাজে কাজেই তাঁহাদিগের বাহবিলের অধীন হইয়া থাকিতে হয়। আত্মপক্ষপাতী পরিষগণ, যতদর আত্মসখের প্রয়োজন, ততন্দর পয্যন্ত সত্ৰীগণের উন্নতির পক্ষে মনোযোগী; তাহার অতিরেকে তিলাদ্ধা নহে। এ কথা অন্যান্য সমাজের অপেক্ষা আমাদিগের দেশে বিশেষ সত্য। প্রাচীন কালের কথা বলিতে চাহি না; তৎকালীন সত্ৰীজাতির চিরাধীনতার বিধি ; কেবল অবস্থাবিশেষ ব্যতীত সত্ৰীগণের ধনাধিকারে নিষেধ; সত্ৰী ধনাধিকারিণী হইলেও সন্ত্রীর দান বিক্রয়ে ক্ষমতার অভাব; সহমরণ বিধি ; বহকালপ্রচলিত বিধবার বিবাহ নিষেধ; বিধবার পক্ষে প্রচলিত কঠিন নিয়মসকল, সন্ত্রীপরিষে গরতের বৈষম্যের প্রমাণ। তৎপরে মধ্যকালেও সত্ৰীজাতির অবনতি আরও গরতর হইয়াছিল। পরষ প্ৰভু, সন্ত্রী দাসী; সন্ত্রী জল তুলে, রন্ধন করে, বাটনা বাটে, কুটনা কোটে। বরং বেতনভাগিন BBBBD DDB BBBDB BBS BD DDBD DDDBDB BD BBD DDD DDD S DBDDBD পরিষের শিক্ষার গণে হউক, সত্ৰীশিক্ষার গণে হউক বা ইংরাজের দলটান্তের গণে হউক, অবস্থার পরিবত্তান হইতেছে। কিন্তু ষেরপ পরিবত্তান হইতেছে, তাহার সব্বাংশই কি উন্নতিসচক ? বঙ্গীয় যবকদিগের যে অবস্থান্তর ঘটিতেছে, তাহার বিশেষ আন্দোলন শনিতে পাই; কিন্তু বঙ্গীয় যাবতীগণের যে অবস্থান্তর ঘটিতেছে, তাহা কি উন্নতি ? এ প্রশেনর উত্তর দিবার পর্বে পািব্বকালে বঙ্গীয়া যাবতী কি ছিলেন, এক্ষণে কি হইতেছেন, তাহা সন্মরণ করা আবশ্যক। প্রাচীনার সহিত নবীনার তুলনা আবশ্যক। পািকবকালের যাবতীগণের নাম করিতে গেলে, আগে শাঁখা শাড়ী সিন্দরকৌটা মনে পড়িবে; কঙ্কণ, এবং শঙ্খ (যাহার জটিল, তাহার বাউটি নামে সোনার শঙখ)-মন্টিমধ্যে দঢ়তর সম্পমাজজনী বা রন্ধনের বেড়ি; কপালে কলা-বউয়ের মত সিন্দরের রেখা, নাকে চন্দ্রমন্ডলের মত নথ ; দাঁতে অমাবস্যার মত মিশি; এবং মস্তকের ঠিক মধ্যভাগে, পৰবতশঙ্গের ন্যায়। তুঙ্গ কবরীশিখর। আমরা স্বীকার করি যে, সেকেলে মেয়ে যখন গাছকোমর বধিয়া, ঝাঁটা হাতে, খোঁপা খাড়া করিয়া, নথ নাড়িয়া দাঁড়াইত, তখন অনেক পরিষের হৃৎকম্প হইত। যাঁহারা এবম্বিধা প্রাঙ্গণবিহারিণী রসাবতীর সঙ্গে বাদানবাদ সাহস করিতেন, তাঁহারা একটা সতক তাঁহাদের হস্তের সমাজজনীর বিশেষ কোন সম্বন্ধ ছিল। তাঁহাদিগের ভাষাও যে বিশেষ প্রকারে অভিধানসম্মত ছিল, এমত বলিতে পারি না; কেন না, তাঁহারা “পোড়ারম্যুখো”। “ডেকােরা” ইত্যাদি নিপাতনসাধ্য শব্দ আধনিক প্রাণনাথ প্রাণকান্তাদির স্থলে ব্যবহার করিতেন, এবং “আবাগী” “শতেক খায়ারী” প্রভৃতি শব্দ আধনিক “সখী” “ভগিনী” স্থলে প্রয়োগ করিতেন। এক্ষণে যে সন্দরীকুল চরণালীক্তকে বঙ্গভূমিকে উত্তজবলা করিতেছেন, তাঁহারা ভিন্নপ্রকৃতি। সে শাঁখা শাড়ী সিন্দর মিশি। মল মাদলী, কিছই নাই; অনাভিধানিক প্রিয় সম্বোধনসকল সন্দরীগণের রসনা ত্যাগ করিয়া বাঙ্গলা নাটকে আশ্রয় লইয়াছে; যেখানে আগে মোটা মনসাপেড়ে শাড়ী মেয়ে মোড়া গনিক্লাথ ছিল, এক্ষণে তাহার স্থানে শান্তিপরে ডুরে, রাপের জাহাজের সাঁচ সন্তা কাপেট কেতাব হইয়াছে; পরিধেয় আট ছাড়িয়া চরণে নামিয়াছে; কবরী মদ্ধো ছাড়িয়া সকন্ধে পড়িয়াছে; এবং অঙ্গের সবৰ্ণ পিন্ডত্ব ছাড়িয়া অলঙ্কারে পরিণত হইতেছে। ধালিকােদমিরঙ্গিনীগণ সাবান সাগন্ধাদির মহিমা বঝিয়াছেন; কলকন্ঠধবনি পাপিয়ার মত গগনপ্লাবী না হইয়া মাজারের মত অসফট হইয়াছে। পতির নাম এক্ষণে আর ডেকরা সৰ্ব্ববর্তনেশে নহে; তত্তৎস্থানে সম্বোধনপদসকল দীনবন্ধ-বাবার গ্রন্থ হইতে বাছিয়া বাছিয়া নীতি হইয়া ব্যবহৃত হইতেছে। স্থলে কথা এই প্রাচীনার অপেক্ষা নবীনার রচি কিছ ভাল। সত্ৰীজাতির রচির কিছ সংস্কার হইয়াছে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে তােদশ উন্নতি হইয়াছে কি না, বলিতে পারি না। কয়েকটি বিষয়ে নবীনগণকে আমরা নিন্দনীয়া বিবেচনা করি। তাঁহাদিগের কোন প্রকারে নিন্দা করা আমাদিগের ঘোরতর বেআদবি। তবে চন্দ্রের সঙ্গে তাঁহাদিগের সাদশ্যে সম্পণ করিবার জন্য তাঁহাদিগের কিঞ্চিৎ কলঙ্করাটনায় প্রবত্ত হইলাম। ૨ઉS