পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबक्ष श्रबश्क-श्राष्ौना ●बर नबौना নলিনী হৃদয়ে ধারণ করেন, সে কেন স্বচ্ছ সলিলে আপনার রাপের ছায়া দেখিয়া দিন না। काप्नेहेहद ? আমরা অতিথি অভ্যাগতের প্রতি অমনোযোগী-তাহার কারণ, আমরা স্বামী পত্রের প্রতি সুধিত্বমূলক্ষ্মী। আমাদের ক্ষুদ্র হৃদয়ে আপনারা এত স্থান গ্রহণ করিয়াছেন যে, অন্য ধর্মের आद्ध छान नाश् । আর-শেষ কথা, আমরা কি ধৰ্ম্মমভীতা নাহি ? ছি! ধৰ্ম্মমভীতা বলিয়াই, আপনাদিগকে আর কিছর বালিতে পারিলাম না। তোমরাই আমাদিগের ধৰ্ম্মম। তোমাদের ভয়ে ভীতা বলিয়া, অন্য ধর্মের ভয় করি না। সকল ধৰ্ম্মম কৰ্ম্ম আমরা স্বামী পত্রে সমপণ করিয়াছি- অন্য ধর্ম জানি না। লেখাপড়া শিখাইয়া আমাদিগকে কোন ধশ্চেম বাঁধিবেন ? যত শিখান না কেনআমরা বাঙ্গালির মেয়ে, সকল বন্ধন ছিাড়িয়া এই পাতিব্ৰত্য বন্ধনে আপনা। আপনি বাঁধা পাড়ব । যদি ইহাতে অধৰ্ম্ম হয়, সে আপনাদের দোষ, আপনাদেরই গণ্য। আর যদি আমার ন্যায় মািখরা বালিকার কথায় রাগ না করেন, তবে জিজ্ঞাসা করি, আপনারা গর, আমরা শিষ্য-আপনারা আমাদের কোন ধৰ্ম্মম শিখাইয়া থাকেন ? লেখাপড়া শিখিব ? কেন ? তোমাদের মখচন্দ্ৰ দেখিয়া যে সখি, লেখাপড়ায় কি তাত ? তোমাদের সংখসাধনে যে ধৰ্ম্মম শিক্ষা, লেখাপড়ায় কি তাত ? দেখ, তোমাদের দেখিয়া আমরা আত্মবিসর্জন শিখিয়াছি, লেখাপড়ায় কি তাহা শিখাইবে ? আর লেখাপড়া শিখিব কখন ? তোমাদের মখ ভাবিতে ভাবিতে দিন যায়, ছাই লেখাপড়া শিখিবা কখন ? छि! आर्नोनिरशन्न निन्मा! aीब्लक्रीकाभि हादी । R e ভাল, কোন রসিকচড়ামণি “নবীনা এবং প্রবীণা” লিখিলেন ? লেখক মহাশয়! তুমি যা বলিয়াছ, সব সত্যু-একটি মিথ্যা নহে। আমরা অলস বটে,- কিন্তু আমরা অলস না হইয়া, কাজ কারিয়া বেড়াইলে, তোমাদের দশা কি হইত ? এ বিজরি তোমাদের হৃদয়াকাশে স্থির না থাকিলে, কাহার প্রীত চাহিয়া, এ দীঘ দঃখদারিদ্র্যময় জীবন কাটাইতে ? এ সৌদামিনী স্থির না থাকিলে, তোমরা এ সংসারান্ধকারে কোথায় আলো পাইতে ? আমরা কাজ করিব ? করিব, ক্ষতি কি, কিন্তু দেখা যেন, আমাদের তিলেক না দেখিয়া, তোমরা তৈলশান্য প্রদীপের মত হঠাৎ নিবিয়া বসিও না; জলশান্য মাছের মত বার বার পচ্ছ আছড়াইতে থাকিও না; আর রাখালশন্য বাছরের মত হামবারবে তোমাদের গােহগোহািল পারাপণ করিও না। আমরা কাজ করিতে যাইব, কিন্তু তোমরা এ ঢল ঢল চঞ্চল রািপতরঙ্গ যে দেখিতে পাইবে না ! এ কলকন্ঠ ধৰনি ক্ষণেক না। শনিলে যে গীতিমােন্ধ হরিণের ন্যায় সংসারারণ্যে শব্দান্বেষণ করিয়া বেড়াইবে -কপালখানা ! আবার বলেন কি না, কাজ করে না! আমরা অতিথি অভ্যাগতকে খাইতে দিই না;-দিব কি, তোমরা যে ঘরে কিছ রােখ না। ইংরেজের আপিসের কি গণ বলিতে পারি না—যাইবার সময় যাও যেন নন্দদালাল-ফিরে এস যেন কুম্ভকৰ্ণ । নিজের নিজের উদর-এর একটি আধমণি বস্তা-আমরা যেই হিন্দরে মেয়ে, তাই তাহাতে কোন মতে ত্রিশ সেরা ঠাসিয়া দিই-তৃতার উপর আবার অতিথি অভ্যাগত! : ধৰ্ম্মেমরি বন্ধনে বাঁধিবেন ? ক্ষতি নাই, কিন্তু যে একাদশী নিরামিষের বাঁধনে বধিয়া রাখিয়াছেন, তার উপর এ বন্ধনে আর কাজ কি ? আপনারা একাদশীর ভার নিন, আমরা লেখাপড়া শিখিয়া-ধৰ্ম্মেমরি বন্ধন অটো করিয়া বধিতে রাজি আছি। আমার মনে বড় সাধ, একবার আপনাদিগের সঙ্গে অবস্থার বিনিময় করি। গালিগালাজ দিবার আগে, একবার কত সখি দঃখ বঝিয়া লাউন। আমরা মরিলে আপনারা একাদশী করবেন, নিরামিষ খাইবেন, ঠোঁটি পরিবেন; আপনারা সবগারোহণ করিলে আমরা “দ্বিতীয় সংসার” করিবি-জীয়ন্তে আপনার সন্তান প্রসব করবেন, রন্ধনশালার তত্ত্বাবধান করিবেন-বাড়ীতে বিবাহ উপস্থিত হইলে, গোঁপের উপর ঘোমটা টানিয়া বরণডালা মাথায় করিয়া সত্ৰী আচার করবেন, বাসর ঘরে রসের হাসি হাসিয়া বাসর জাগিবেন, সখের সীমা থাকিবে না। -আমরা যৌবনে বহি হাতে করিয়া কলেজে যাইব Rock