পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बस्क्भि नष्नावली সৰব-জগতের আধার বলিয়া চিন্তা করি, তখন তাঁহার নাম ব্ৰহ্ম বা পরব্রহ্ম বা পরমাত্মা। আর যখন তাঁহাকে ব্যক্তি, উপাস্য, সেই জন্য চিন্তনীয়, স্যগণ, এবং সমস্ত জগতের সন্টিস্থিতিপ্ৰলয়কৰ্ত্তাস্বরপ চিন্তা করি, তখন তাঁহার নাম সাধারণ কথায় ঈশ্বর, বেদে প্রজাপতি, পরাণেতিহাসে বিষ্ণ, বা শিব। আর যখন এককালীন তাঁহার উভয়বিধ লক্ষণ চিন্তা করিতে পারি, অর্থাৎ যখন তিনি আমার হৃদয়ে সম্পণে সবরপে উদিত হন, তখন তাঁহার নাম শ্ৰীকৃষ্ণ । আমি। কেন, তখনই শ্ৰীকৃষ্ণ নাম কেন ? বাবাজি। গীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ আপনাকে এই উভয় লক্ষণযক্ত সবরপে ধোয় বলিয়া নিন্দিন্ট করিয়াছেন, এ জন্য আমি তাঁহার দাসানদাস, সেই নামেই তাঁহাকে অভিহিত করি। একবার তোমরা কৃষ্ণনাম কর!! বল কৃষ্ণ! কৃষ্ণ ! হরি! হরি! বাবাজি তখন হারিবোল দিয়া উঠিলেন। এক ব্ৰাহ্মণ পরিবেশন করিতেছিল, সে হরিবোল। শনিয়া বলিল, “বাবাজি ! অত হরিবোলের ধােম কেন ? পাটাটা রান্না বড় ভাল হয়েছে, বটে!” তাই ত! সৰ্ব্বনাশ! এতিক্ষণ কথাবাত্তায় অন্যমনা ছিলাম, দেখি নাই যে, বাবাজি এক রাশি ছাগমাংস উদরাসাৎ করিয়া দ্বিতীয় তৈমরিলাঙ্গের ন্যায় অস্থির স্তােপ সাজাইয়া রাখিয়াছেন! কুদ্ধ হইয়া বলিলাম, “বাবাজি! এই তোমার হরিবোল! এই তোমার বৈষ্ণবধৰ্ম্ম! তুমি কন্ঠী ছিড়িয়া ফেল। আমরা কেহ তোমার সঙ্গে আহারাদি করিব না।” বাবাজি। কেন, কি হয়েছে বাপ ? আমি। আমার মাথা হয়েছে! তুমি বৈষ্ণব নামের কলঙ্ক! এক রাশ, যাহার নাম করিতে নাই, তাই খেয়ে পার করিলে, আবার জিজ্ঞাসা কর কি হয়েছে ? বাবাজি। পাঁটা খেয়েছি ? বাপ, ভগবান, কোথায় বলেছেন যে, পটিা খাইও না ? যদি পরাণ ইতিহাসের দোহাই দিতে চাও, তবে পদ্মপরিাণ খোল, দেখাইব যে, মাংস দিয়া বিষ্ণর ভোগ দিবার ব্যবস্থা আছে। ভগবান স্বয়ং ক্ষত্ৰিয়কুলে জন্মগ্রহণ করিয়া, অন্যান্য ক্ষত্ৰিয়ের ন্যায় মাংসেই নিত্যসেবা করিতেন। তিনি পাপাচরণের জন্য জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বটে ? তুই বেটা আবার বৈষ্ণব ? আমি । তবে অহিংসা পরম ধৰ্ম্মম বলে কেন ? বাবাজি। অহিংসা যথাৰ্থ বৈষ্ণব কন্যা বটে, কিন্তু কুলত্যাগ করিয়া বৌদ্ধঘরে গিয়া জাত আমি ছেদো কথা বঝিতে পারি না। বাবাজি। দেখ, বাপা! বৈষ্ণব নাম গ্রহণ করিবার আগে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম কি, বোঝ। তোমার কন্ঠীতে বৈষ্ণব হয় না, কুড়োজালিতেও নয়, নিরামিষেও নয়, পঞ্চসংস্কারেও নয়, দেড় কাহিন বৈষ্ণবীতেও নয়। জগতের সব্বশ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব কে বলা দেখি ? আমি। নারদ, ধ্রুব, প্ৰহাদ৷ বাবাজি। প্ৰহাদই সব্বশ্রেদ্ঠ। প্ৰহাদ বৈষ্ণবধৰ্ম্মেমরি কি ব্যাখ্যা করিয়াছেন, শন, সব্বত্র দৈত্যাঃ সমতামপেত সমত্বমারাধনমচুতস্য। অর্থাৎ “হে দৈত্যগণ! তোমরা সবােত্র সমাদশী হও । সমত্ব, অর্থাৎ সকলকে আত্মবৎ জ্ঞান করাই বিষ্ণর যথার্থ উপাসনা।” কণ্ঠী, কুড়োজালি, কি দেখাসা রে মােখা! এই যে সমদৰ্শিতা, ইহাই সেই অহিংসা-ধর্মের যথাৰ্থ তাৎপৰ্য্য। সমাদশী হইলে আর হিংসা থাকে না। এই সমদৰ্শিতা থাকিলেই মনষ্যে, বিষ্ণনাম জানক না জানক, যথাৰ্থ বৈষ্ণব হইল। যে খ্ৰীষ্টীয়ান, কি মাসলমান, মনষ্যেমাত্রকে আপনার মত দেখিতে শিখিয়াছে, সে যিশরই পজা করােক আর পীর প্যােগন্সবরেরই পজা করােক, সে-ই পরম বৈষ্ণব। আর তোমার কন্ঠী কুড়োজালির নিরামিষের দিলে, যাহারা তাহা শিখে নাই, তাহারা কেহই বৈষ্ণব, নহে। আমি। মাছ পাঁচটা খেয়ে কি তবে বৈষ্ণব হওয়া যায় ? বাবাজি। মািখ! তোকে বঝাইলাম কি ? আমি। তবে আমাকেও একখানা পাতা দিতে বলন। তখন পাতা, এবং কিঞ্চিৎ অন্ন এবং মহাপ্ৰসাদ পাইয়া আমিও ভোজনে বসিলাম। পাকের কাৰ্য্যটা অতি পরিপাটিরাপ হইয়াছিল। ছাগমাংস ভোজনে আমার ক্ষধা বদ্ধির লক্ষণ দেখিয়া 史的坎