পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী বাঙ্গালীর সমস্তবের সম্ভাবনা নাই। যতদিন না। সশিক্ষিত জ্ঞানবন্ত বাঙ্গালীরা বাঙ্গালা ভাষায় BB DDDu DDBD DDBB BDDBS DBuBuDDD BDDuuD DDDBB BBB BBB DB এ কথা কৃতবিদ্য বাঙ্গালীরা কেন যে বাঝেন না, তাহা বলিতে পারি না। যে উক্তি ইংরাজিতে হয়, তাহা কয়জন বাঙ্গালীর হৃদয়ঙ্গম হয় ? সেই উক্তি বাঙ্গালায় হইলে কে তাহা হৃদয়ঙ্গম না করিতে পারে? যদি কেহ এমত মনে করেন যে, সাঁশিক্ষিতদিগের উক্তি কেবল সশিক্ষিতদিগেরই বাবা প্রয়োজন, সকলের জন্য সে সকল কথা নয়, তবে তাঁহারা বিশেষ ভ্ৰান্ত। সমস্ত বাঙ্গালীর উন্নতি না হইলে দেশের কোন মঙ্গল নাই। সমস্ত দেশের লোক ইংরাজি বঝে না, কস্মিন কালে বঝিবে, এমত প্রত্যাশা করা যায় না। সতরাং বাঙ্গালায় যে কথা উক্ত না হইবে, তাহা তিন কোটী বাঙ্গালী কখন বঝিবে না বা শনিবে না। এখনও শনে না, ভবিষ্যতে কোন কালেও শনিবে না। যে কথা দেশের সকল লোকে বঝে না বা শনে না। সে কথায় সামাজিক বিশেষ কোন উন্নতির সম্ভাবনা নাই। এক্ষণে একটা কথা উঠিয়াছে, এডুকেশন “ফিলটির ডেীন” করবে।*।। এ কথার তাৎপৰ্য্য এই যে, কেবল উচ্চ শ্রেণীর লোকেরা সশিক্ষিত হইলেই হইল, অধঃশ্রেণীর লোকদিগকে পথক। শিখাইবার প্রয়োজন নাই; তাহারা কাজে কাজেই বিদ্বান হইয়া উঠিবে। যেমন শোষক পদার্থের উপরি ভাগে জলসেক করিলেই নিম্ন স্তর পয্যন্ত সিক্ত হয়, তেমনি বিদ্যারােপ জল, বাঙ্গালী জাতিরপ শোষক-মাত্তিকার উপরিস্তরে ঢালিলে, নিম্পন্ন স্তর অর্থাৎ ইতর লোক পৰ্যন্ত ভিজিয়া উঠিবো! জল থাকাতে কথাটা একট, সরস হইয়াছে বটে। ইংরাজিশিক্ষার সঙ্গে এরপ জলযোগ না হইলে আমাদের দেশের উন্নতির এত ভরসা থাকিত না। জলও অগাধ, শোষকও অসংখ্যা। এতকাল শম্পক ব্ৰাহ্মণ পন্ডিতেরা দেশ উৎসন্ন দিতেছিল, এক্ষণে নব্য সম্প্রদায় জলযোগ করিয়া দেশ উদ্ধার করিবেন। কেন না, তাঁহাদিগের ছিদ্রগণে ইতর লোক পৰ্য্যন্ত রসাদ হইয়া উঠিবে। ভরসা করি, বোডের মণি সাহেব এবারকার আবকারি রিপোর্ট লিখিবার সময়ে এই জলপানা কথাটা মনে রাখবেন। সে যাহাই হউক, আমাদিগের দেশের লোকের এই জলময় বিদ্যা যে এতদর গডাইবে, এমত ভরসা আমরা করি না। বিদ্যা, জল বা দন্ধে নহে যে, উপরে ঢালিলে নীচে শোষিবে। তবে কোন জাতির একাংশ কৃতবিদ্য হইলে তাহাদিগের সংসগগণে অন্যাংশেরও শ্ৰীবদ্ধি হয় বটে। কিন্তু যদি ঐ দই অংশের ভাষার এরপে ভেদ থাকে যে, বিদ্বানের ভাষা মাখে বঝিতে পারে না, তবে সংসগের ফল ফলিবে কি প্রকারে ? প্রধান কথা এই যে, এক্ষণে আমাদিগের ভিতরে উচ্চ শ্রেণী এবং নিমশন শ্রেণীর লোকের মধ্যে পরস্পর সহৃদয়তা কিছমাত্র নাই। উচ্চ শ্রেণীর কৃতবিদ্য লোকেরা, মাখ। দরিদ্র লোকদিগের কোন দঃখে দঃখী নহেন। মািখ দরিদ্রেরা, ধনবান এবং কৃতবিদ্যাদিগের কোন সখে সখী নহে। এই সহাদয়তার অভাবই দেশোষিতির পক্ষে সম্প্রতি প্রধান প্রতিবন্ধক। ইহার অভাবে, উভয় শ্রেণীর মধ্যে দিন দিন অধিক পার্থক্য জন্মিতেছে। উচ্চ শ্রেণীর সহিত যদি পার্থক্য জন্মিল, তবে সংসগ-ফল জন্মিবে কি প্রকারে? যে পথক, তাহার সহিত সংসগ কোথায় ? যদি শক্তিমন্ত ব্যক্তিরা অশক্তদিগের দঃখে দঃখী, সখে সখী না হইল, তবে কে আর তাহাদিগকে উদ্ধার করিবে? আর যদি আপামর সাধারণ উদ্ধত না হইল, তবে যাঁহারা শক্তিমন্ত, তাঁহাদিগেরই উন্নতি কোথায়? এরপ। কখন কোন দেশে হয় নাই যে, ইতর লোক চিরকাল এক অবস্থায় রহিল, ভদ্র লোকদিগের অবিরত শ্ৰীবদ্ধি হইতে লাগিল। বরং যে যে সমাজের বিশেষ উন্নতি হইয়াছে, সেই সেই সমাজে উভয় সম্প্রদায় সমকক্ষ, বিমিশ্রিত এবং সহৃদয়তা-সম্পন্ন। যতদিন এই ভাব ঘটে নাই—যতদিন উভয়ে পার্থক্য ছিল, ততদিন উন্নতি ঘটে নাই। যখন উভয় সম্প্রদায়ের সামঞ্জস্য হইল, সেই দিন হইতে শ্ৰীবদ্ধি আরম্ভ। রোম, এথেন্স, ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা ইহার উদাহরণস্থল। সে সকল কাহিনী সকলেই অবগত আছেন। পক্ষান্তরে সমাজমধ্যে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে পার্থক্য থাকিলে সমাজের যেরপ আনিস্ট হয়, তাহার উদাহরণ সম্পার্টা, ফ্রান্স, মিশর এবং ভারতবর্ষ। এথেন্স এবং সম্পার্ট দই SS uu DDBD uDuuDB DDDB BDB BBD DDBDSS BBBB S BB BDB DDD উচ্চ শিক্ষাপক্ষীয় লোক এই কথা বলতেন। RER