পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बeका ब्रा5नाबढ़ी যে, আমরা আপামর সাধারণের পাঠোপযোগিতা-সাধনে মনোযোগ করিব না। যাহাতে এই পত্ৰ সব্বজনপাঠ্য হয়, তাহা আমাদিগের বিশেষ উদ্দেশ্য। যাহাতে সাধারণের উদ্ষেতি নাই, তাহাতে কাহারই উন্নতি সিদ্ধ হইতে পারে না ইহা বলিয়াছি। যদি এই পত্রের দ্বারা সব্বসাধারণের মনোরঞ্জন সঙ্কলপি না করিতাম, তবে এই পত্র প্রকাশ ব্যথা কাষ মনে করিতাম। অনেকে বিবেচনা করেন যে, বালকের পাঠোপযোগী অতি সরল কথা ভিন্নষ, কিছই সাধারণ্যের বোধগম্য বা পাঠ্য হয় না। এই বিশ্বাসের উপর নিভাির করিয়া যাঁহারা লিখিতে প্রবত্ত হয়েন, তাঁহাদিগের রচনা কেহই পড়ে না। যাহা সশিক্ষিত ব্যক্তির পাঠোপযোগী নহে, তাহা কেহই পড়িবে না। যাহা উত্তম, তাহা সকলেই পড়িতে চাহে ; যে না বঝিতে পারে, সে বঝিতে যত্ন করে। এই যত্নই। সাধারণের শিক্ষার মািল। সে কথা আমরা স্মরণ রাখিব। তৃতীয়, যাহাতে নব্য সম্প্রদায়ের সহিত। আপামর সাধারণের সহাদয়তা সম্পর্বদ্ধিত হয়, আমরা তাহার সাধ্যানসারে অন্যামোদন করিব। আরও অনেক কাজ করিব বাসনা করি। কিন্তু যত গজেজ, তত বিষে না । গতিজনিকারী মাত্রেরই পক্ষে এ কথা সত্য। বাঙ্গালা সাময়িক পত্রের পক্ষে বিশেষ। আমরা যে এই কথার সত্যতার একটি নতন উদাহরণস্বরপ হইব না, এমত বলি না। আমাদিগের পর্বতনেরা এইরহপ এক এক বার অকালগজন করিয়া, কালে লয়প্রাপ্ত হইয়াছেন। আমাদিগের আদলেট যে সেরাপ নাই, তাহা বলিতে পারি না। যদি তাহাই হয়, তথাপি আমরা ক্ষতি বিবেচনা করিব না। এ জগতে কিছই নিৰ্ম্মফল নহে। একখানি সাময়িক পত্রের ক্ষণিক জীবনও নিমফল হইবে না। যে সকল নিয়মের বলে, আধনিক সামাজিক উন্নতি সিদ্ধ হইয়া থাকে, এই সকল পত্রের জন্ম, জীবন, এবং মত্য তাহারই প্রক্রিয়া। এই সকল সামান্য ক্ষণিক পত্রেরও জন্ম, অলঙঘ্য সামাজিক নিয়মাধীন, মত্য ঐ নিয়মাধীন, জীবনের পরিণাম ঐ অলঙ্ঘ্য নিয়মের অধীন । কালস্রোতে এ সকল জলবদ্বদ মাত্র। এই বঙ্গদর্শন কালস্রোতে নিয়মাধীন জলবদ্ধদস্যবৱপ ভাসিল; নিয়মবলে বিলীন হইবে। অতএব ইহার লয়ে আমরা পরিতাপযক্তি হইব না। ইহার জন্ম কখনই নিৰ্ম্মফল হইবে না। এ সংসারে জলবদ্ধদও নিম্প্রকারণ বা নহে । সঙ্গীত [ ১২৭৯ সালের বঙ্গদর্শনে সঙ্গীতবিষয়ক তিনটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাহার কিয়দংশ * জগদীশনাথ রায়ের রচিত। অবশিষ্ট অংশ আমার রচনা। যতটকে আমার রচনা, তাহাই আমি পনিমাদ্রিত করিলাম। ইহা প্রবন্ধের ভগ্নাংশ হইলেও পাঠকের বঝিবার কািন্ট হইবে না। ] সঙ্গীত কাহাকে বলে ? সকলেই জানেন যে, সরবিশিষ্ট শব্দই সঙ্গীত। কিন্তু সাির কি ? কোন বস্তুতে অপর বস্তুর আঘাত হইলে, শব্দ জন্মে ; এবং আহত পদার্থের পরমাণমধ্যে কক্ষপন জন্মে। সেই কম্পনে, তাহার চারি পাশ্বাস্থ বায়ও কম্পিত হয়। যেমন সরোবর মধ্যে জলের উপরি ইন্টকখন্ড নিক্ষিপ্ত করিলে, ক্ষদ্র ক্ষদ্র তরঙ্গমালা সমদ্ভূত হইয়া চারি দিকে মন্ডলাকারে ধাবিত হয়, সেইরাপ কল্পিত বায়ার তরঙ্গ চারি দিকে ধাবিত হইতে থাকে। সেই সকল তরঙ্গ কণামধ্যে প্রবিন্স্ট হয়। কণামধ্যে একখানি সক্ষম। চম্পমা আছে। ঐ সকল বায়বীয় তরঙ্গপরম্পরা সেই চলেম পরিা প্ৰহত হয়; পরে তৎসংলগ্ন অস্থি প্রভৃতি দ্বারা শ্রাবণ স্নায়তে নীতি হইয়া মস্তিত্সকমধ্যে প্রবিন্স্ট হয়। তাহাতে আমরা শব্দানভব করি। অতএব বায়ার প্রকক্ষপ শব্দজ্ঞানের মােখ্য কারণ। বৈজ্ঞানিকেরা স্থির করিয়াছেন যে, যে শব্দে প্রতি সেকেন্ডে ৪৮.ooo বার বায়ার প্রকক্ষপ হয়, তাহা আমরা শনিতে পাই, তাহার অধিক হইলে শনিতে পাই না। মসরে সাবতি অবধারিত করিয়াছেন যে, প্রতি সেকেন্ডে ১৪ বারের ন্যানসংখ্যক প্রকল্প যে শব্দে, সে শব্দ আমরা শনিতে পাই না। এই প্রকল্পের সমান মাত্রা সরের কারণ। দাইটি প্রকল্পের মধ্যে যে সময় গত হয়, তাহা যদি সকল বারে সমান থাকে, তাহা হইলেই সাের জন্মে। গীতে তাল যেরপে, মাত্রার সমতা মাত্ৰ-শব্দপ্রকম্পে সেইরাপ থাকিলেই সাের জন্মে। ষে শব্দে সেই সমতা নাই, তাহা সররাপে পরিণত হয় না। সে শব্দ “বেসর” অৰ্থাৎ গন্ডগোল মাত্র। তালই সঙ্গীতের সার। Str8