পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वष्किञ ब्रहः॥६८॥ করিয়া তুলিলেন। তাঁহাদের রাগিণীর উপর উপরাগিণীও হইল। যদি উপরাগিণী হইল, উপরাগ না হয় কেন ? তাহাও হইল। তখন রাগ রাগিণী, উপরাগ উপরাগিণী সকলে সখে ঘরকন্না করিতে লাগিলেন। তাহদের পত্রিপৌত্ৰাদি জন্মিল। কিন্তু এ কেবল রহস্য নহে। এই রহস্যের ভিতর বিশেষ সারা আছে। রাগ-রাগিণীকে আকারবিশিস্ট করা, কেবল রসিকতামাত্র নহে। শব্দশক্তি কে না জানে ? কোন একটি শব্দবিশেষ শ্রবণে মনের একটি বিশেষ ভােব উদয় হইয়া থাকে, ইহা সকলেই জানে। আবার কোন দশ্য বস্তু দেখিয়াও সেই ভাব উদয় হইতে পারে। মনে কর, আমরা কখন কোন শত্ৰশোকাতুরা মাতার ক্ৰন্দনধবনি শানিলাম। মনে কর, এস্থলে আমরা রোদনকারিণীকে দেখিতে পাইতেছি না, কেবল ক্ৰন্দনধৰনিই শনিতে পাইতেছি। সেই ধবনি শনিয়া আমাদিগের মনে শোকের আবিভােব হইল। আবার যখন সেইরােপ রোদন্নানকারী সম্বর শনিব-আমাদের সেই শোক মনে পড়িবেসেইরূপ শোকের আবিভােব হইবে। মনে কর, আমরা অন্যত্র দেখিলাম যে, এক পত্ৰশোকাতুরা মাতা বসিয়া আছেন। কাঁদিতেছেন না-কিন্তু তাঁহার মািখাবয়ব দেখিয়াই, তাঁহার উৎকট মানসিক যন্ত্রণা অন্যভব করিতে পারিলাম। সেই সন্তাপ ক্লিন্ট মিলান মখমন্ডলের আধিব্যক্তি আমাদের হৃদয়ে অঙ্কিত রহিল। সেই অবধি, যখন আবার সেইরূপ ক্লিন্ট মাখমন্ডল দেখিব, তখন আমাদের সেই শোক মনে পড়িবে-হৃদয়ে সেই শোকের আবিভােব হইবে। অতএব সেই ধবনি, এবং সেই মাখের ভাব, উভয়ই আমাদের মনে শোকের চিহ্নস্বরূপ। সেই ধবনিতে সেই শোক মনে পড়ে। মানস প্রকৃতির নিয়মানসারে ইহার আর একটি চমৎকার ফল জন্মে। শব্দ, এবং মািখকান্তি, উভয়ই শোকের চিহ্ন বলিয়া পরস্পরকে সন্মতিপথে উদ্দীপ্ত করে। সেইরূপ শব্দ শনিলেই, সেইরাপ মািখকান্তি মনে পড়ে; সেইরাপ মািখ দেখিলেই, সেইরােপ শব্দ মনে পড়ে। এইরপ ভুয়োভুয়ঃ উভয়ে একত্র সমাতিগত হওয়াতে, উভয়ে উভয়ের প্রতিমাস্বরপে পরিণত হয়। সেই শোকব্যঞ্জক মািখাবয়বকে সেই শোকসচক ধবনির সাকার প্রতিমা বলিয়া বোধ হয়। ধৰনি এবং মাত্তির এইরুপ পরস্পর সম্প্ৰবন্ধাবলম্বন করিয়াই প্রাচীনেরা রাগ রাগিণীকে দিগের আশ্চৰ্য্য কবিত্বশক্তি ও কল্পনাশক্তির পরিচয়স্থল। আমরা পািব্বপরিষদিগের কীৰ্ত্তি যতই আলোচনা করি, ততই তাঁহাদিগের মহানভােব দেখিয়াই চমৎকৃত হই। দই একটি উদাহরণ দিই। অনেকেই টোড়ি রাগিণী শনিয়াছেন। সহৃদয় ব্যক্তিরা তচ্ছবিণে যে একটি অনিব্বচনীয় ভাবে অভিভূত হয়েন, তাহা সহজে বক্তব্য নহে। সচরাচর যাহাকে কবিরা “আবেশ” বলিয়া থাকেন, তাহা ঐ ভাবের একাংশ-কিন্তু একাংশমাত্র। তাহার সঙ্গে ভোগাভিলাষ মিলিত কর। সে ভোগাভিলাষ নীচপ্রবত্ত নহে। যাহা কিছ নিম্পমাল সখিকর, অন্যজনের অসাপেক্ষ, কেবল আধ্যাত্মিক, সেই ভোগেরই অভিলাষ। কিন্তু সে ভোগাভিলাষের সীমা নাই, তৃপ্তি নাই, রোধ নাই, শাসন নাই। ভোগে এবং ভোগসমূখে অভিলাষ আপনি উছলিয়া উঠিতেছে। আকাঙ্ক্ষা বাড়িতেছে। প্রাচীনেরা এই টােড়ি রাগিণীর মাত্তি কলপনা করিয়াছেন, সে পরমাসন্দরী যাবতী, বস্ত্ৰালঙ্কারে ভূষিতা, কিন্তু বিরাহিণী। আকাঙ্ক্ষার অনিবত্তিহেতুই তাহাকে বিরাহিণী কলপনা করিতে হইয়াছে। এই বিরাহিণী সন্দিরী বনবিহারিণী, বনমধ্যে নিজনে একাকিনী বসিয়া মধ্যাপানে উন্মাদিনী হইয়াছে, বীণা বাজাইয়া গান করিতেছে, তাহার বসন ভূষণ সকল সংখলিত হইয়া পড়িতেছে, বনহরিণীসকল আসিয়া তাহার সম্মখে তটস্থভাবে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে। এই চিত্র অনির্বাচনীয় সন্দের-কিন্তু সৌন্দৰ্য্যু ভিন্ন ইহার আর এক চমৎকার গণ আছে। ইহা টোড়ি রাগিণীর যথার্থ প্রতিমা। টোড়ি রাগিণী শ্রবণে মনে যে ভাবের উদয় হয়, এই প্রতিমা দশানে ঠিক সেই ভােব জলিমবে। এইরুপ অন্যান্য রাগ রাগিণীর ধ্যান। মলতানী, দীপক রাগের সহধৰ্ম্মিণী, দীপকের পাশ্ববৰ্ত্তিনী, রক্তবস্ত্রাবতা গৌরাঙ্গী সন্দরী। ভৈরবী শক্লিাবের পরিধানা নানালঙ্কারভাষিতা -३७ाम 1 , r এই সকল ব্যান সম্পবন্ধে যে মতভেদ আছে, তাহার সন্দেহ নাই। যখন বৈজ্ঞানিক বক্তান্তেই 总*懿