পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী নিৰ্ম্মপ্রয়োজনীয় ধন নাই, সে ভাল ? দ্বিতীয় অবস্থা যে প্রথমোক্ত অবস্থা হইতে শতগণে ভাল, তাহা বদ্ধিমানে অস্বীকার করবেন না। প্রথমোক্ত অবস্থায় কাহারও মঙ্গল নাই। যিনি টাকার গাদায় গড়াগড়ি দেন, এ দেশে প্রায় তাঁহার গাদ্দ ভজন্ম ঘটিয়া উঠে। আর যাহারা নিতান্ত অন্নবস্ত্রের কাঙ্গাল, তাহদের কোন শক্তি হয় না। কেহ অধিক বড় মানষ না হইয়া, জনসাধারণের সবচ্ছন্দাবস্থা হইলে সকলেই মনষ্যেপ্রকৃত হইত। দেশের উন্নতির সীমা থাকিত না। এখন যে জন পাঁচ ছয় বাবতে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশ্যনের ঘরে বসিয়া মদ, মদ, কথা কহেন, তৎপরিবত্তে তখন এই ছয় কোটি প্রজার সমদ্রগডজনিগম্ভীর মহানিনাদ শানা যাইত। আমরা দেখাইলাম যে, যাঁহারা বিবেচনা করেন যে, জমীদার দেশের পক্ষে প্রয়োজনীয় ব্য উপকারী, তাহদের তদ্রপ বিশ্বাসের কোন কারণ নাই। ఇx* বঙ্গদর্শনে এই প্ৰবন্ধ প্রকাশিত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়প্রণীত বহবিবাহ সম্প্ৰবন্ধীয় দ্বিতীয় পাস্তকের কিছল তীব্র সমালোচনায় আমি কত্ত ব্যানরোধে বাধ্য হইয়াছিলাম। তাহাতে তিনি কিছু বিরক্তও DBBDBDBD S BDD BDD S KB BDD BBD BDDDB DDD S gg BDBBBD DDBDBDBDDS BD প্রতিপন্ন করা আমার উদ্দেশ্য ছিল, সে উদ্দেশ্য সফল হইয়াছিল। অতএব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের DDDBBDBBBD uDBD BuDuDB DDDD DuBuBD BB BDDDBDD DDDB BBD DDDBDBD BDD BD DDDD DDD এক্ষণে তিনি অনারক্তি বিরক্তির অতীত। তথাপি দেশস্থ সকল লোকেই তাঁহাকে শ্রদ্ধা করে, এবং আমিও তাঁহাকে আন্তরিক শ্রদ্ধা করি, এজন্য ইহা এক্ষণে পনিমাদ্রিত করার ঔচিত্য বিষয়ে অনেক বিচার করিয়াছি। বিচার কারিয়া যে অংশে সেই তীব্র সমালোচনা ছিল, তাহা উঠাইয়া দিয়াছি। কোন না কোন দিন কথাটা উঠিবে, দোষ তাঁহার, না। আমার। সবিচার জন্য প্ৰবন্ধটির প্রথমাংশ পনিমাদ্রিত করিলাম। ইচ্ছা ছিল যে, এ সময়ে উহা পনিমাদ্রিত করব না, কিন্তু তাহা না করিলে আমার জীবদ্দশায় উহা আর পনিমাদ্রিত হইবে কি না সন্দেহ। উহা বিলপ্ত করাও অবৈধ; কেন না, ভাল হউক, মন্দ হউক, উহা আমাদের দেশে আধনিক সমাজসংস্কারের ইতিহাসের অংশ হইয়া পডিয়াছে- উহার দ্বারাই বহবিবাহবিষয়ক আন্দোলন নিববাপিত হয়, এই রােপ প্রসিদ্ধি। আর এখনও Malabari সম্প্রদায় প্রবাল-তাঁহারা না পারেন, এমন কাজ নাই ] প্রায় দই বৎসর হইল, পন্ডিতবর শ্ৰীযক্ত ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর বহবিবাহের অশাস্ত্রীয়তা সম্বন্ধে একখানি পস্তক প্রচার করেন। তদত্তরে শ্ৰীযক্ত তারানাথ তর্কবাচস্পতি, এবং অন্যান্য কয়জন পন্ডিত যদাচ্ছাপ্রবত্ত বহবিবাহের শাস্ত্রীয়তা প্রমাণ করিতে যত্ন পাইয়াছিলেন। প্ৰত্যুত্তরে বিদ্যাসাগর মহাশয় দ্বিতীয় পাস্তক প্রচার করিয়াছেন। ইহার বিচাৰ্য্য বিষয় এই যে, যদচ্ছাক্ৰমে বহবিবাহ হিন্দীশাস্ত্রসম্মত কি না। আমরা প্রথমেই বলিতে বাধ্য হইলাম যে, আমরা ধর্মশাস্ত্রে সম্পপণ্য অজ্ঞ; সতরাং এ বিচারে বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রতিবাদীদিগের মত খণডন করিয়া জয়ী হইয়াছেন কি না, তাহা আমরা জানি না। এবং সে বিষয়ে কোন অভিপ্ৰায় ব্যক্ত করিতে অক্ষম। তবে এ বিষয়ে অশাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তিরও কিছ বক্তব্য থাকিতে পারে। আমাদিগের যাহা বক্তব্য, তাহা অতি সংক্ষেপে বলিব। বহবিবাহ যে সমাজের অনিষটকারক, সকলের বডজনীয়, এবং স্বাভাবিক নীতিবিরদ্ধে, তাহা বোধ হয় এ দেশের জনসাধারণের হৃদয়ঙ্গম হইয়াছে। সশিক্ষিত বা অলপ শিক্ষিত, এ দেশে এমত লোক বোধ হয় অলপই আছে, যে বলিবে, “বহবিবাহ অতি সম্প্রথা, ইহা ত্যাজ্য নহে।” যাঁহারা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পন্তকের প্রতিবাদ করিয়াছেন, বোধ হয়, তাঁহাদেরও এই মাত্র উদ্দেশ্য যে, তাঁহারা আপন আপন জ্ঞানমত বহবিবাহের শাস্ত্রীয়তা প্ৰতিপন্ন করেন। তাঁহাদের প্রণীত গ্ৰন্থ আমরা সবিশেষ পড়ি নাই, কিন্তু বোধ হয় তাঁহারা কেহই বলেন না যে, বহবিবাহ সপ্রথা, ইহা তোমরা ত্যাগ করিও না। যদি কেহ এমত কথা বলিয়া থাকেন, তবে ইহা বলা যাইতে পারে যে, তাঁহার মত কুসংস্কারবিশিস্ট লোক এক্ষণে অতি অলপ। যাঁহারা স্বয়ং • বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার। দ্বিতীয় পত্তিক। শ্ৰীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত 'কলিকাতা, শ্ৰীপীতাম্বর বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা সংস্কৃত বলে মািদত। SB